ভোলা বোরহানউদ্দিনে বড় মাণিকা ৫নং ওয়ার্ডে পূর্ব-পরিকল্পিত ভাবে হত্যা।
মোহাম্মদ জুয়েল মাস্টার,দৈনিক
মানবাধিকার প্রতিদিন
ভোলা বোরহানউদ্দিন বড় মানিকা ৫ নং ওয়ার্ডে বউ বাজার সংলগ্ন উত্তর পশ্চিম পাশে, মোস্তফা চাঁপাদার বাড়িতে,পূর্ব শত্রু তার জের ধরে,মোহাম্মদ মোস্তফা চাঁফাদার (৫৭) কে পূর্ব পরিকল্পনা মাফিক হত্যা করা হয়।
ভুক্তভোগী ও অভিযোগকারীনি,মোস্তফা চাকলাদার এর স্ত্রী,মোছাম্মদ মোহছেনা আক্তার (৪৫) জানান, আমার স্বামী মৃত মোহাম্মদ মোস্তফা চাপাদার(৫৭) একজন সহজ সরলক প্রকৃতির লোক ছিল, তিনি কখনো কারো সাথে তেমন কোন ঝগড়া বিবাদপ জারাতেন না। হত্যাকারীরা,মোহাম্মদ হানিফ বাঘা,পিতা: মৃত ভূইয়া বাঘা(৫৭)মোহাম্মদ ইউসুফ বাঘা (২৫) পিতা:মোহাম্মদ হানিফ বাঘা মোহাম্মদ ইব্রাহিম বাঘা(২৮) পিতা:মোহাম্মদ হানিফ বাঘা,মোছাম্মদ পারবিন (৪০),স্বামী:মোহাম্মদ হানিফ বাঘা মোসাম্মদ মমতাজ( ৪০)স্বামী:মৃত সহিজল হাং এরা আমাদেরই পাড়া প্রতিবেশ। এরা দুষ্ট ও ডাকাত প্রকৃতির লোক বটে,এই সমাজে বিভিন্ন বিচ্ছিন্ন অসামাজিক কর্মকান্ডের সাথে এর জড়িত আছেন। এ সমাজের কেউ তাদের ভয়ে সঠিক বিচার করার সাহস পায় না। আমাদের পরিবারের সাথে এদের পরিবারের পূর্ব থেকেই ছোট-খাটো সমস্যা ছিল,যেমন,মাঝে মাঝে কথা কাটা-কাটি ও ঝগড়া-বিবাদ প্রায় লেগেই থাকতো । এরই জের ধরে,আমার স্বামী মৃত:মোস্তফা চাঁপাদারকে পূর্ব পরিকল্পনা মাফিক ডেকে নিয়ে, কিল, ঘুসি,লাঠি ধারা শরীরের বিভিন্ন স্থানে আঘাত করেন। এক পর্যায়ে মাটিতে লুটিয়ে পড়লেন উপরে অভিযুক্ত মোহাম্মদ হানিফ গংরা বুকের উপর উঠিয়া পারাতে থাকেম এবং বেজাগায় লাথি মারেন। এক পর্যায়ে আমাদের ডাক-চিৎকার শুনে আশ পাশের পাড়া-প্রতিবেশীরা এগিয়ে আসলে,হামলাকারী মোহাম্মদ হানিফ গংরা পালিয়ে যান। তারপর আমার স্বামী মৃত, মোহাম্মদ মোস্তফা চাপাদার (৫৭)কে হামলাকারী হানিফ গংদের কবল থেকে রক্ষা করে,ভোলা সদর হসপিটালে পাঠানো হয়। ভোলা সদর হসপিটালে রাত ১১:৪০ মিনিটে শেষ নিঃশ্বাস ত্যাগ করেন।
স্থানীয় সূত্রে জানা যায়,মোহাম্মদ হানিফ গংদের সাথে,মৃত মোহাম্মদ মোস্তফা চাপাদারদের সাথে আগে থেকেই পারিবারিক সমস্যা ছিল।এরই জের ধরে গত ১৪/০৪/২৪ ইং তারিখে ঝগড়া বাধে এবং এক পর্যায়ে মোহাম্মদ মোস্তফা চাফাদার (৫৭)কে কিল, ঘুসি ও লাথি মারে। মৃত মোহাম্মদ মোস্তফা চাপাদার (৫৭) শারীরিক অবস্থা এতটাই খারাপ হয়ে যায় যে,তাকে ভোলা সদর হাসপাতালে চিকিৎসার জন্য ভর্তি প্রয়োজন পড়ে।কিন্তু শারীরিক আঘাত এতটাই প্রবল ছিল যে,সে ১ ঘন্টা খানিকের মধ্যে মারা যান।
উপরিউক্ত অভিযোগের বিষয়টি সম্পর্কে গণমাধ্যম কর্মীরা,ভোলা সদর হাসপাতালের চিকিৎসকদের সাথে কথা বললে তারা জানান,বিষ খাওয়ার ফলে এবং শরীরে প্রচন্ড তীব্র আঘাতের ব্যথার কারণে মারা যান।
উপরিউক্ত অভিযোগের বিষয়টি প্রসঙ্গে বোরহানউদ্দিন থানার অফিসার ইনচার্জ শাহিন ফকিরের সাথে মুঠোফোনের মাধ্যমে কথা বললে তিনি জানান,মৃত মোহাম্মদ মোস্তফা চাপাদার(৫৭) মৃত্যুর দুর্ঘটনাটি একটি অপমৃত্যুর ঘটনা মনে হচ্ছে।তবে পরে ময়না তদন্তের রিপোর্ট আসলে,সঠিক ভাবে বলা যাবে যে,এটা খুন নাকি আত্ম-হত্যা। উপরিউক্ত বিষয়টি প্রসঙ্গে স্থানীয় ৯ নং বড় মানিকার ইউপি চেয়ারম্যান জসিম হায়দারের সাথে মুঠো ফোনের মাধ্যমে যোগাযোগ করতে চাইলেও যোগাযোগ করা সম্ভব হয়ে ওঠেনি।
উপরিউক্ত অভিযোগের বিষয়টি সম্পর্কে অভিযোগকারীনি মোসাম্মদ মোহসেনা আক্তার সংবাদকর্মীদের আরো জানান,যে স্থানীয় প্রভাবশালী ব্যক্তিদের কাছে তারা জিম্মি হয়ে আছেন। এর কারণে তারা চাপের মুখে এবং হুমকির সাথে দিনঅতিবাহিত করছেন এবং স্থানীয় প্রভাবশালী ব্যক্তিদের কারণে তার স্বামী: মৃত মোহাম্মদ মোস্তফা চাপাদার এর সঠিক বিচার পাওয়ার সম্ভাবনা খুবই কম। তারা বিচার পাচ্ছেন না বলে জানান। তাই বাংলাদেশ সরকারের মাননীয় প্রধানমন্ত্রী এবং আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর কাছে তদন্ত সাপেক্ষে হত্যার বিচারের দাবি জানাচ্ছি।
এই সাইটে নিজম্ব নিউজ তৈরির পাশাপাশি বিভিন্ন নিউজ সাইট থেকে খবর সংগ্রহ করে সংশ্লিষ্ট সূত্রসহ প্রকাশ করে থাকি। তাই কোন খবর নিয়ে আপত্তি বা অভিযোগ থাকলে সংশ্লিষ্ট নিউজ সাইটের কর্তৃপক্ষের সাথে যোগাযোগ করার অনুরোধ রইলো।বিনা অনুমতিতে এই সাইটের সংবাদ, আলোকচিত্র অডিও ও ভিডিও ব্যবহার করা বেআইনি।
