বৃহস্পতিবার , ২৮শে মার্চ, ২০২৪ খ্রিস্টাব্দ || ১৪ই চৈত্র, ১৪৩০ বঙ্গাব্দ - বসন্তকাল || ১৮ই রমজান, ১৪৪৫ হিজরি

রাণীশংকৈল ইক্ষু (আখ)সাবজোনের সকল কর্মকর্তা ও কর্মচারীগন এখন সরাসরি চাষিদের জমিতে

প্রকাশিত হয়েছে- শনিবার, ৬ মে, ২০২৩

রাণীশংকৈল ইক্ষু (আখ)সাবজোনের সকল কর্মকর্তা ও কর্মচারীগন এখন সরাসরি চাষিদের জমিতে

মোঃ আব্দুল জব্বার রাণীশংকৈল প্রতিনিধি (ঠাকুরগাঁও)

উত্তর বঙ্গের ভারি শিল্পপ্রতিষ্ঠান হলো ঠাকুরগাঁও চিনিকল শিল্প। কালের বিবর্তনে এই চিনিকল শিল্পটি কাচামালের অভাবে আজ অন্নান্য চিনিকলের মতোবন্ধ হওযার হুমকির সন্মুক্ষীন হয়েপড়েছে। ইক্ষু(আখ) একটি দীর্ঘ মেয়াদি ফসল। মানুষ এখন দীর্ঘ মেয়াদি ফসল ফলাতে রাজি হচ্ছে না। মানুষ এখন এই ডিজিটাল যুগে সল্প সময়ে সল্পমেয়াদি ফসল ফলিয়ে ভাগ্যের পরিবর্তন করতে চায়। মানুষ এখন সল্পমেয়াদি ফসল যেমনঃ আলু, মুলা,বেগুন, মরিচ,ভূট্রা,হাইব্রিড ধান ইত্যাদি আবাদে বেশী অভ্যস্ত হয়ে পরেছে। চলতি ২০২২-২০২৩ রোপন মৌসুমে ঠাকুরগাঁও চিনিকলে মোট=৪৬১০.০০ একর( রোপন+ মুড়ি সহ) আখের আবাদ হয়েছে। রাণীশংকৈল ইক্ষু(আখ)সাবজোনে=১৫৫.০০ একর( রোপন+মুড়ি সহ) ইক্ষু( আখের)আবাদ হয়েছে মাত্র। বিভিন্ন চাষির সঙ্গে আলাপচারিতায় বুঝাগেল কেন্দ্রে যে টুকু আখের আবাদ হয়েছে তা কেন্দ্রগুলোর সিডিএ,সিআইসি দের নিবিড় যোগাযোগ ও সাবজোন প্রধান সহ মিলহতে কেন্দ্র পরিদর্শনে আগত উর্ধতন কর্মকর্তা গনের আখ আবাদে বিভিন্ন সুযোগ-সুবিধার কথা শুনে এবং তাঁদের মর্যদাদানের জন্য। সদরদপ্তরের নির্দেশনা মোতাবেক আগামী ২০২৩-২০২৪ মাড়াই মৌসুমে একরপ্রতি=৪০.০০ মেঃটঃ আখ মিলে সরবরাহ করার জন্য সকল প্রকার পদ্দক্ষেপ গ্রহন করতে হবে। তারই ধারাবাহিকতায় আজ রাণীশংকৈল সাবজোন প্রধান জনাব শ্রীঃ রতন চন্দ্র রায়ের নির্দেশনায় রানী-২ কেন্দ্রের সিআইসি মোঃ ওবাইদুর রহমান মানিক এর পরিচালনায় ৭৯ ও ৮০ নং ইউনিটের সিডিএ মোঃ জামাল হোসেন ও মোঃ রিয়াজুর ইসলামের সহযোগিতায় রানীশংকৈল সাবজোনের রানী-২ সহ রানী-১, খটশিংগা, কাতিহার হাট ইক্ষু কেন্দ্রের সকল গার্ড,সিডিএ,সিআইসি গন একরপ্রতি =৪০.০০ মেঃটঃ আখ মিলে সরবরাহ করনের লক্ষে সরাসরি চাষিদের আখক্ষেতে চাষিদের সাথে মতবিনিময় ও আখের অন্তর্বর্তীকালীন পরিচর্যা যেমনঃ আগাছাদমন, হাল দেওয়া,পোকা ও রোগবালাই দমন, সার ও ফুড়াডান প্রয়োগ সহ ঘন-ঘন সেচ প্রদানের পরামর্শ প্রদান করছেন। মহেশপুর গ্রামের আখচাষি আলহাজ্ব মোঃ ইব্রাহিম আলী জানান, আমি গত মাড়াই মৌসুমে একরপ্রতি =৩৫-৪০ মেঃটঃ আখ মিলে সরবরাহ করেছি এবং আগামী মৌসুমেও একরপ্রতি=৪০ মেঃটঃ ইক্ষু (আখ) মিলে সরবরাহ করবো ( ইনশাআল্লাহ)। মহেশপুর গ্রামের ইক্ষু(আখ)চাষি আলহাজ্ব মোঃমাহাতাবউদ্দিন,মোঃ দবিরুল ইসলাম,মোঃ ফয়সাল আলী সাগর ছাড়া আরোও অনেকেই জানান আমরা গত মাড়াই মৌসুমে একরপ্রতি ২৬-৩০ মেঃটঃ আখ মিলে সরবরাহ করেছি এবং আগামী মাড়াই মৌসুমে ৩০-৪০ মেঃটঃ আখ মিলে সরবরাহ করবো( ইনশাআল্লাহ)। বনগাও গ্রামের আখচাষি মোঃ রেজাউল করিম ,মোঃ জসিম আলীর বর্গাদার ও মোঃ আল্লামাল ইকবাল হোসেনের বর্গাদার বলেন, আমাদের ইক্ষু(আখ)ক্ষেতে যথাযথ পরিচর্যার মাধ্যমে আমরা আমাদের ইক্ষু(আখের )ফলন একরপ্রতি=৩০-৩৫ মেঃটঃ মিলে সরবরাহ করবো( ইনশাআল্লাহ)। সন্ধ্যারই গ্রামের আখচাষি মোঃ নুরুল বলেন,আমি ভাইদের অনুরোধে চলতি বছর মাত্র=.৩২ শতক আখের আবাদ করেছি।ভাইদের আমার ইক্ষু(আখ)ক্ষেত যথাযথ পরিদর্শন ও পরামর্শ প্রদানে আমি ভীষণ খুশি।আমি আগামী মৌসুমে ২.০০ একর ইক্ষু (আখের) আবাদ করবো( ইনশাআল্লাহ)। সাবজোন প্রধান জনাব শ্রীঃ রতন চন্দ্র রায় বলেন, আমি মূলত আমার সাবজোনের সকল কেন্দ্রে আগামী মাড়াই মৌসুমে একরপ্রতি গড়ে ৩০-৩৫ মেঃটঃ ইক্ষু(আখ) মিলে সরবরাহ করনের জন্য এই পদ্দক্ষেপ গ্রহন করেছি। আমি আজ রাণী-২ কেন্দ্রের মতো আমার সাবজোনের প্রতিটি কেন্দ্রে আখের অন্তর্বর্তীকালীন পরিচর্যা সমুন্নত রাখার জন্য এই যৌথ অভিযান চালিয়ে যাবো।