শনিবার , ২০শে এপ্রিল, ২০২৪ খ্রিস্টাব্দ || ৭ই বৈশাখ, ১৪৩১ বঙ্গাব্দ - গ্রীষ্মকাল || ১১ই শাওয়াল, ১৪৪৫ হিজরি

রাণীশংকৈল রামরায় দিঘী (রাণীসাগরে) জমে উঠেছে ঈদ আনন্দ

প্রকাশিত হয়েছে- সোমবার, ২৪ এপ্রিল, ২০২৩

রাণীশংকৈল রামরায় দিঘী (রাণীসাগরে) জমে উঠেছে ঈদ আনন্দ

মোঃ আব্দুল জব্বার রানীশংকৈল (ঠাকুরগাঁও) প্রতিনিধি

ঠাকুরগাঁও জেলা রাণীশংকৈল উপজেলার ৩ নং হোসেন গাঁও ইউনিয়নে এই রামরায় দিঘী (রাণীসাগর) অবস্থিত। এই দিঘী রাণীশংকৈল পৌরশহর থেকে প্রায় চার পাঁচ কিলোমিটার দূরে উত্তরগাঁও গ্রামে অবস্থিত । আমাদের মুসলিমদের বড় দুটি উৎসব হচ্ছে ঈদুল ফিতর ও ঈদুল আযহা। দীর্ঘ এক মাস সিয়াম সাধনার পর সকলের উৎসবের দিন হল ঈদুল ফিতর। এই উৎসবকে ঘিরে জমে উঠেছে রামরায় দিঘী (রাণীসাগরে)ঈদ আনন্দ।আজ ঈদের দ্বিতীয় দিনে সরজমিনে গিয়ে দেখা যায় বিভিন্ন জায়গা থেকে সহপরিবারে হাজার হাজার দর্শনার্থীর সমাগম। পীরগঞ্জ উপজেলা থেকে বেড়াতে আসা মোঃ ইকবাল কে জিজ্ঞাসা করা হলে তিনি বলেন আমি এর আগেও এই জায়গায় বেড়াতে এসেছিলাম কেন জানি আমাকে এই জায়গায় বারবার বেড়াতে আস্তে খুবই ইচ্ছে করে । বৈশাখের প্রচন্ড গরমে মানুষ আজ কাল অতিষ্ঠ হয়ে গেছে এই জায়গায় আসলে মুক্ত বাতাসে খোলা মেলা পরিবেশে প্রাণ জুড়িয়ে যায়। তাছাড়া ঈদ উপলক্ষে বিভিন্ন দোকান পাট ছোট ছোট শিশুদের আনন্দ দেওয়ার জন্য নাগরদোলা, নৌকা এবং বিভিন্ন খাবারের দোকান বসেছে। ঠাকুরগাঁও থেকে বেড়াতে আসা মোছাঃ সাহানাজকে জিজ্ঞাসা করা হলে তিনি বলেন পুকুর পাড়ে চারদিকে লিচুর বাগান আর নতুন করে সাজানো দেখে আমার মনমুগ্ধ হয়েছে এখানকার প্রাকৃতিক পরিবেশ খুব সুন্দর। ঈদ আনন্দ ভ্রমণে আসা ছোট্ট একটা শিশু বলে আমায় চাচ্চু আমি নৌকাতে চরে অনেক আনন্দ পেয়েছি এবং এত বড় দিঘী আমি কখনও দেখিনি। এই দিঘীর আয়তন প্রায় ৫০থেকে৬০ একর। দিঘীর পানিতে অতিথি পাখির কিচিরমিচির ডাক ঘুরতে আসা দর্শনার্থীদের মনজুড়িয়ে দেয়। দুপুর বেলায় দর্শনার্থী কম হলেও বিকেল হওয়ার সাথে সাথে হাজার হাজার দর্শনার্থী ভরে যায় পুরো দিঘী এতে জমে উঠেছে সকল গরিব ধনীর ঈদ আনন্দ।