শনিবার , ১১ই মে, ২০২৪ খ্রিস্টাব্দ || ২৮শে বৈশাখ, ১৪৩১ বঙ্গাব্দ - গ্রীষ্মকাল || ৩রা জিলকদ, ১৪৪৫ হিজরি

সখীপুরে গৃহবধূকে মারধরের অভিযোগে ইউপি চেয়ারম্যানের বিরুদ্ধে মানববন্ধন

প্রকাশিত হয়েছে- রবিবার, ৩ মার্চ, ২০২৪

সখীপুরে গৃহবধূকে মারধরের অভিযোগে ইউপি চেয়ারম্যানের বিরুদ্ধে মানববন্ধন

মোঃ আঃ হামিদ মুকুল টাঙ্গাইল

টাঙ্গাইলের সখীপুর উপজেলার বহুরিয়া ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যানের বিরুদ্ধে এক প্রবাসীর স্ত্রীকে তুচ্ছ ঘটনাকে কেন্দ্র করে পিটিয়ে আহত করার অভিযোগ ওঠেছে। ভুক্তভোগী জেলখানা মোড় সখীপুর পৌর এলাকার দুবাই প্রবাসী লাভলু মিয়ার স্ত্রী জেসমিন(৩৬)জানান,সখীপুরে শাহীন স্কুলের একটি ক্যাডেট শাখায় দুজনের মেয়ে একই শ্রেনিতে অধ্যয়নরত।ভুক্তভোগীর অভিযোগ, শনিবার ক্লাসের ফাঁকে দুজনের মধ্যে ঝগড়া হয়।এ নিয়ে দুই পরিবারের মধ্যে দ্বন্দ্ব চরমপর্যায়ে পৌঁছায়।

 

পরের দিন জেসমিন আক্তার বিষয়টি নুরে আলম মুক্তা বহুরিয়া ইউনিয়ন চেয়ারম্যানের কাছে তার স্ত্রীর অকথ্য ভাষায় গালিগালাজ করার অভিযোগ নিয়ে গেলে চেয়ারম্যান তার সাথে থাকা অভিযুক্ত রুবেল নিয়ে হঠাৎ আমার উপর চড়াও হয়ে কিল-ঘুষি লাথি মেরে গুরুত্বর জখম করে ফেলে চলে যায়।স্থানীয় লোকজন আমাকে উদ্ধার করে সখীপুর থানা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে নিয়ে আসে।এ ঘটনায় অভিযুক্ত ইউপি চেয়ারম্যান সরকার নুরে আলম মুক্তার কাছে জানতে চাইলে তিনি বলেন,স্কুলের ঘটনা স্কুলেই আপোষ হবে।এই কথা শুনে ওনি(গৃহবধূ) আমার দিকে তেড়ে আসে এবং আমাকে দেখে নিবে বলে হুমকি দিয়ে যায়।

সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে ভিডিও বিষয়ে জানান,আমাকে মারার চেষ্টা করা হলে তা হাত দিয়ে ফেরানোর চেষ্টা করি।আমি জনপ্রতিনিধি হয়ে কেন তাকে মারতে যাবো?এটি একটি মহল সুকৌশলে পরিকল্পিতভাবে তুচ্ছ ঘটনাকে কেন্দ্র করে বাড়তি ফাঁয়দা নেওয়ার চেষ্টা করছে।উল্লেখ্য:রবিবার বিকেলে সখীপুরের কালিদাস বাজারে এলাকাবাসী নিরীহ গৃহবধূ নির্যাতনের বিরুদ্ধে প্রতিবাদ সভার আয়োজন করে। এতে উপস্থিত বক্তারা বহুরিয়া ইউনিয়নের চেয়ারম্যান সরকার নুরে আলম মুক্তার দৃষ্টান্তমুলক শাস্তি দাবি করেন। এবিষয়ে সখীপুর থানার অফিসার ইনচার্জ শেখ শাহিনুর রহমান গণমাধ্যমকে বলেন, এ ঘটনায় ভুক্তভোগীর লিখিত অভিযোগ পেয়েছি। ঘটনায় তদন্ত সাপেক্ষে আইনানুগ ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে।