শুক্রবার , ৫ই জুলাই, ২০২৪ খ্রিস্টাব্দ || ২১শে আষাঢ়, ১৪৩১ বঙ্গাব্দ - বর্ষাকাল || ২৯শে জিলহজ, ১৪৪৫ হিজরি

সখীপুরে দুই সন্তানের জননীর আত্নহত্যা

প্রকাশিত হয়েছে- মঙ্গলবার, ১৫ আগস্ট, ২০২৩

 

মোঃমেরাজ শিকদার, সখীপুর(টাঙ্গাইল)প্রতিনিধিঃ

টাঙ্গাইলের সখিপুর উপজেলার কালিয়া ইউনিয়নের ০৭ নং ওয়ার্ডের বাসারচালা উত্তর পাড়া গ্রামের মোঃ রাকিব হোসেন(২৮)এর স্ত্রী সোনিয়া আক্তার(২০)গলায় ওড়না পেচিয়ে নিজ থাকার ঘরে ফাঁসিতে ঝুলে মৃত্যু বরণ করেছে। সোমবার (১৪ আগষ্ট) সকাল ১০টায় এ ঘটনা ঘটে।
জানা যায়,নিহত সোনিয়া আক্তার ৬ বছরের একটি কন্যা শিশু এবং ৩ বছরের একটি পুত্র সন্তানের জননী ।স্বামী সন্তানএবং দাদী শাশুড়ীকে নিয়ে একই বাড়িতে বসবাস করত তারা।স্থানীয় প্রতক্ষ্যদর্শী নিহতের চাচাশ্বশুর আবুল কাশেম(৫৫) বলেন, বাড়িতে সমাজ সেবা সংগঠন থেকে মাঠ কর্মকর্তা কিস্তির টাকা তুলতে এলে, ঘরের দরজা আটকানো দেখে প্রথমে সে আমাকে অবগত করে পরে বিষয়টি আমি নিহত সোনিয়া আক্তার এর স্বামীকে বললে সে স্থানীয়দের সহায়তায় টিনের বেড়া কেটে ভিতরে প্রবেশ করে।
নিহতের স্বামী মৃত বাদশা মাস্টারের ছেলে রাকিব হোসেন (২৮) বলেন,আমাদের সাথে কোন ঝগড়া কিংবা মারামারি হয়নি,আমি ঘটনার সময় বাজারে ছিলাম, স্থানীয় আবুল কাশেম (৫৫)চাচা আমাকে খবর দিলে আমি এসে স্থানীয়দের সাথে নিয়ে দরজার কাছে টিনের বেড়া কেটে ভিতরে প্রবেশ করলে,স্ত্রী সোনিয়া আক্তারকে থাকার ঘরের বারান্দার আড়ার সাথে ওড়না পেচিয়ে ফাঁসিতে ঝুলে থাকা অবস্থায় দেখতে পাই,তখন কাঁচি দিয়ে ওড়না কেটে নিচে নামিয়ে সবাই মিলে হাত পা টিপতে থাকি এবং চিকিৎসার জন্য সখিপুর উপজেলা উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে নিয়ে যাওয়ার সময় নিকটস্থ আন্দি বাজারের কাছাকাছি এলে একজন তাকে মৃত বলে ঘোষণা করলে,আমরা লাশ নিয়ে বাড়ি চলে আসি পরে সখিপুর থানা পুলিশকে অবহিত করি।আমার মাসিক ৪ টি ও সাপ্তাহিক দুই টি কিস্তিসহ মোট ৬ টি এনজিওতে কিস্তি রয়েছে।
এব্যাপারে সখিপুর থানা তদন্তকারী কর্মকর্তা(এস আই)নজরুল বলেন,নিহতের মামা রাশিদুল ইসলাম বাদী হয়ে সখিপুর থানায় একটি অপমৃত্যু মামলা রুজু করেছে।
ইতিমধ্যে থানা পুলিশের একটি টিম ঘটনাস্থল পরিদর্শন করেছি,প্রাথমিক ভাবে ধারণা করা হচ্ছে কিস্তির টাকা জোগাড় করতে মানসিক অসুস্থ হয়েই এমন ঘটনা ঘটতে পারে।
লাশ ময়নাতদন্তের জন্য মর্গে পাঠানোর প্রস্তুতি চলছে।
ময়নাতদন্তের পরই জানা যাবে ফাঁসিতে ঝুলে মৃত্যুর প্রকৃত রহস্য কি?তবে প্রাথমিক ভাবে নিহতের শরীরে কোন আঘাতের চিহ্ন পায়নি পুলিশ।
এ ঘটনার সত্যতা নিশ্চিত করেন স্থানীয় ইউপি সদস্য ফজলুল হক।