ঢাকাবৃহস্পতিবার , ২৭ জুন ২০২৪
  1. অগ্নিকান্ড
  2. অনুষ্ঠান
  3. অপরাধ
  4. অবৈধ বালু উত্তোলন
  5. অভিনন্দন
  6. অভিযোগ
  7. অর্থনীতি
  8. আইন ও বিচার
  9. আওয়ামী লীগ
  10. আওয়ামী লীগে
  11. আক্রান্ত
  12. আটক
  13. আত্মহত্যা
  14. আদালত
  15. আনন্দ মিছিল
আজকের সর্বশেষ সবখবর

সাতক্ষীরা কালিগঞ্জে অনুমোদন ছাড়াই সরকারি গাছ কর্তন

মুজাহিদ,  সাতক্ষীরা :
জুন ২৭, ২০২৪ ৬:৪৫ অপরাহ্ণ
Link Copied!

সাতক্ষীরা কালিগঞ্জে অনুমোদন ছাড়াই সরকারি গাছ কর্তন
মুজাহিদ,  সাতক্ষীরা :
সাতক্ষীরা কালিগঞ্জে অনুমোদন ছাড়াই ৫ লক্ষাধিক টাকার সরকারি গাছ কর্তন করার অভিযোগ উঠেছে। জানা গেছে, কালিগঞ্জ উপজেলার “৮৬ চাম্পাফুল সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়” শত বছরের পুরাতন গাছ কর্তনের ক্ষেত্রে সরকারি নীতিমালা, শিক্ষা মন্ত্রণালয়ের নির্দেশনা থাকা সত্ত্বেও তা উপেক্ষা করে গাছ কেটেছেন অত্র বিদ্যালয়ের ভারপ্রাপ্ত প্রধান শিক্ষক শাহানা খাতুন ও ম্যানেজিং কমিটির সভাপতি বিশ্বজিৎ বসু। নিয়মের কোন তোয়াক্কা না করেই সরকারি গাছ কাটার ঘটনা ঘটেছে। ভারপ্রাপ্ত প্রধান শিক্ষক ও ম্যানেজিং কমিটির সভাপতি কর্তৃক গাছ কাটার ঘটনায় এলাকায় এখন ব্যাপক তোলপাড় সৃষ্টি হয়েছে। স্থানীয়রা জানান, চাম্পাফুল সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয় ক্যাম্পাসের ভেতর থেকে শত বছরের পুরাতন মেহগনি, আম, কাঠাল, নারিকেল গাছ সহ অন্যান্য মুল্যবান গাছ যার আনুমানিক বাজার মুল্য ৫ লক্ষাধিক টাকা। গাছ গুলো ভারপ্রাপ্ত প্রধান শিক্ষক ও ম্যানেজিং কমিটির সভাপতির নির্দেশে কাঠুরে দিয়ে গাছ কাটা হয় বিক্রয় করার নিমিত্তে। বন বিভাগ অফিসের সুত্রে জানা যায়, নিয়ম অনুযায়ী সরকারি প্রতিষ্ঠানের গাছ কাটতে হলে সংশ্লিষ্ট অফিস থেকে তাদের উর্ধ্বতন কর্মকতা থেকে অনুমোদন নিতে হবে।
এরপর বন বিভাগে আবেদন করতে হয়। সেই আবেদন সরেজমিনে যাচাই-বাছাই করে গাছের মূল্য নির্ধারণ করে কাটার অনুমোদন দেন। অথচ কালিগঞ্জ “চাম্পাফুল সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়” এর ভারপ্রাপ্ত প্রধান শিক্ষক ও ম্যানেজিং কমিটির সভাপতি এসব নিয়ম না মেনে নিজেদের খেয়াল খুশিমতো গাছ কেটে ফেলেছে। শিক্ষা মন্ত্রণালয়ের পরিপত্র অনুযায়ী সরকারি সকল শিক্ষা প্রতিষ্ঠানের জায়গায় অবস্থিত ঝড়ে পড়া বা কোন কারণে পুরনো গাছ কাটার প্রয়োজন হলে সে গাছ কাটা ও নিলামে বিক্রয় করার লক্ষ্যে জেলা, উপজেলা উপজেলা পর্যায়ে কমিটি গঠন করে দেওয়া হয়। উপজেলা পর্যায়ের কমিটির মধ্যে পদাধিকারবলে উপজেলা নির্বাহী অফিসার সভাপতি, সহকারী প্রকৌশলী শিক্ষা প্রকৌশল অধিদপ্তর সদস্য, বিভাগীয় বন কর্মকর্তার প্রতিনিধি সদস্য, সংশ্লিষ্ট শিক্ষা প্রতিষ্ঠানের প্রধান সদস্য সচিব।সংশ্লিষ্ট শিক্ষা প্রতিষ্ঠান এর আবেদনের প্রেক্ষিতে সভাপতি সভা আহবান করবেন ও গাছ কাটার প্রয়োজনীয়তা যাচাই পূর্বক গাছ কাটার সিদ্ধান্ত নিবেন। শিক্ষা প্রকৌশল অধিদপ্তরের সংশ্লিষ্ট প্রকৌশলী ও বন কর্মকর্তার মূল্যায়ন প্রতিবেদন সংগ্রহ করতঃ গাছ পরিমাপ পূর্বক গাছের বাজার মুল্য নির্ধারণ এবং গাছ বিক্রির সিডিউল তৈরি করবেন। এর পর প্রকাশ্যে নিলামে বা টেন্ডারের মাধ্যমে গাছ বিক্রি করবেন।
বিক্রয়কৃত টাকা সরকারি প্রতিষ্ঠানের ক্ষেত্রে সরকারের নির্ধারিত তহবিলে জমা প্রদান করতে হবে। এ ছাড়া গাছ কাটা সংক্রান্ত একটি প্রতিবেদন প্রযোজ্য ক্ষেত্রে মহাপরিচালক বরাবর প্রেরন করতে হবে। সরকারি অনুমতি ছাড়া শিক্ষা প্রতিষ্ঠানের গাছ কর্তন করা বিধিমোতাবেক দণ্ডনীয় অপরাধ। শাস্তি হিসেবে রয়েছে কারাদণ্ড এবং অর্থ জরিমানা। চাম্পাফুল সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের ভারপ্রাপ্ত প্রধান শিক্ষক শাহানা খাতুন ও ম্যানেজিং কমিটির সভাপতি বিশ্বজিৎ বসু পরস্পর যোগসাজশে অবলীলায় গাছ কাটায় জনমনে নেতিবাচক প্রভাব পড়ার পাশাপাশি প্রশ্ন উঠেছে তাদের খুটির জোর কোথায়? এ বিষয় “৮৬ নং চাম্পাফুল সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়” এর ভারপ্রাপ্ত প্রধান শিক্ষক শাহানা খাতুন এর সাথে মুঠো ফোনে আলাপকালে স্কুলের ক্যাম্পাসের ভেতর থেকে গাছ কাটার ব্যাপারে সংশ্লিষ্ট কর্মকর্তাদের অনুমোদন নিয়েছেন কিনা জানতে চাইলে তিনি বলেন, কালিগঞ্জ উপজেলা প্রাথমিক শিক্ষা অফিসার আশীষ কুমার  নন্দীর নিকট থেকে গত ০৪ মার্চ লিখিত অনুমতি নিয়েছেন। অপর এক প্রশ্নের জবাবে তিনি বলেন, বন বিভাগ এবং সংশ্লিষ্ট কর্মকর্তারা অনুমোদন দিলেই টেন্ডারের মাধ্যমে গাছ বিক্রি হবে।
এ বিষয় চাম্পাফুল সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয় এর ম্যানেজিং কমিটির সভাপতি বিশ্বজিৎ বসু এর সাথে মুঠোফোনে আলাপকালে বিদ্যালয় থেকে গাছ কাটার ব্যাপারে তিনি সত্যতা স্বীকার করে বলেন, কালিগঞ্জ উপজেলা প্রাথমিক শিক্ষা অফিসার এবং সাতক্ষীরা জেলা প্রশাসন থেকে নজরুল ইসলাম এর নিকট থেকে অনুমতি নেওয়া হয়েছে। গাছ কাটার আগে বন বিভাগের কর্মকর্তা এবং ইউএনও এর অনুমতি না নিয়ে গাছ কাটার ব্যাপারে জানতে চাইলে তিনি বলেন, গাছ কাটার জন্য অনুমতি নেওয়া লাগে না। গাছ নিলাম এবং টেন্ডার দেওয়ার জন্য তখন অনুমতি নেওয়া লাগে। এ বিষয় কালিগঞ্জ উপজেলা প্রাথমিক শিক্ষা অফিসার আশীষ কুমার নন্দী এর সাথে মুঠোফোনে আলাপকালে তিনি বলেন, বিদ্যালয়ের কমিটির অনুমোদন নিয়ে গাছ কেটেছে। তিনি গাছ কাটার জন্য লিখিত অনুমতি দিয়েছেন কিনা জানতে চাইলে তিনি বলেন ভারপ্রাপ্ত প্রধান শিক্ষক বলতে পারবে। অপর এক প্রশ্নের জবাবে তিনি বলেন আমি অনুমতি দিয়েছি কিনা হ্যা কিংবা না কোনটাই বলবো না। এ বিষয় কালিগঞ্জ উপজেলা নির্বাহী অফিসার দীপংকর দাস এর সাথে মুঠোফোনে একাধিকবার আলাপের চেষ্টা কালে আলাপ কলটি গ্রহণ না করায় তার বক্তব্য নেওয়া সম্ভব হয়নি। এ বিষয় বন বিভাগ  কর্মকর্তার সাথে যোগাযোগ করা সম্ভব হয়নি।

এই সাইটে নিজম্ব নিউজ তৈরির পাশাপাশি বিভিন্ন নিউজ সাইট থেকে খবর সংগ্রহ করে সংশ্লিষ্ট সূত্রসহ প্রকাশ করে থাকি। তাই কোন খবর নিয়ে আপত্তি বা অভিযোগ থাকলে সংশ্লিষ্ট নিউজ সাইটের কর্তৃপক্ষের সাথে যোগাযোগ করার অনুরোধ রইলো।বিনা অনুমতিতে এই সাইটের সংবাদ, আলোকচিত্র অডিও ও ভিডিও ব্যবহার করা বেআইনি।

Design & Developed by BD IT HOST