মার্চ ১৬, ২০২৫
Home » আনোয়ারায় ইউনিয়ন পরিষদের চা দোকানে : চেয়ারম্যান-প্যানেল চেয়ারম্যান পরষ্পরকে দোষারোপ
Screenshot_2025-01-23-16-23-44-692_com.facebook.katana

ওসমান গনি, বিশেষ প্রতিনিধি  

 চট্টগ্রামের আনোয়ারায় ইউনিয়ন পরিষদের সরকারী চেয়ার চায়ের দোকানে বিক্রির অভিযোগ উঠেছে। মঙ্গলবার (২১ জানুয়ারি) বিকেলে উপজেলার হাইলধর ইউনিয়ন পরিষদের পাশ্ববর্তী একটি চায়ের দোকানে পরিষদের সদস্যরা এসব চেয়ার দেখতে পেলে বিষয়টি জানাজানি হয়। ঘটনাটি নিয়ে এলাকায় তোলপাড় সৃষ্টি হয়েছে। তবে ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ার কিভাবে চায়ের দোকানে গেল তা জানে না বলে জানান হাইলধর ইউপি চেয়ারম্যান কলিম উদ্দিন।
হাইলধর ইউপি সদস্য রিয়াজ উদ্দিন রাশেদ জানান, মঙ্গলবার বিকেলে ইউনিয়ন পরিষদ অফিসের পাশে নাজিম সওদাগরের চায়ের দোকানে চা খেতে গেলে আমরা পরিষদের ব্যবহারের চেয়ারগুলো দেখতে পাই। পরে জিজ্ঞেস করা হলে চায়ের দোকানি আমাদের জানায়, চেয়ারম্যান স্থানীয় মফিজুর রহমান নামে এক ব্যক্তির মাধ্যমে ১২ হাজার টাকায় চেয়ারগুলো বিক্রি করেছেন। তিনি আরও বলেন, চেয়ারম্যান আগেও রোহিঙ্গাদের ভোটার হতে বিভিন্ন সনদ দেওয়ার ঘটনাও ঘটে।
চেয়ারগুলো বিক্রি করা মফিজুর রহমান আনোয়ারা হাইলধর ইউনিয়নের ৭নং ওয়ার্ড আওয়ামী লীগের দপ্তর সম্পাদক। তার বিরুদ্ধে অভিযোগ রয়েছে আওয়ামী লীগের চেয়ারম্যান কলিম উদ্দীনের সাথে মিলে পরিষদের চাউল আত্মসাৎ করে বিক্রিসহ বিভিন্ন অপকর্ম করে আসছে। ৫ আগস্ট আওয়ামী সরকার পতনের পরে এলাকায় তার নেতৃত্বে জুয়ার আসর বসানোর ছবি ভাইরাল হয়।
হাইলধর ইউনিয়ন পরিষদের প্যানেল চেয়ারম্যান ইলিয়াছ মাহমুদ খোকন বলেন, বিষয়টি জানার পর আমরা খোঁজ নিচ্ছি। কিভাবে পরিষদের চেয়ার চায়ের দোকানে গেল। এটা নিয়ে আমরা পরিষদের সদস্য মোরশেদা বেগম, উম্মে সাদিয়া সুলতানা, মোহাম্মদ সেলিম উদ্দিন, রিয়াজ উদ্দিন রাশেদ, মোহাম্মদ ইসমাইল, মোহাম্মদ মোজাহের মিয়া, আবুল ফয়েজের উপস্থিতিতে একটা জরুরি বৈঠকে বসেছি।
তবে হাইলধর ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান কলিম উদ্দিন মুঠোফোনে বলেন, গত ৫ আগস্টের পর থেকে একদিনের জন্যও আমি পরিষদে যাইনি। কিন্তু পরিষদের চেয়ার চায়ের দোকানে কেমনে গেল এটা আমারও প্রশ্ন। পরিষদে চেয়ার আমি আরও কিনে দিয়েছি। বিক্রি করার তো প্রশ্নেই আসে না। প্যানেল চেয়ারম্যান বিষয়টি জানতে পারবেন। এ বিষয়ে আনোয়ারা উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) তাহমিনা আকতার বলেন, ‘বিষয়টি এখনো আমাকে কেউ বলেনি। অভিযোগ পেলে তদন্ত করে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নেওয়া হবে।

Loading

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *