মার্চ ১৬, ২০২৫
Home » তীব্র শীতে কবলে উত্তরের জনপদ, বৃষ্টির মত পড়ছে কুয়াশা
Screenshot_20250123_135112~2

 

সুশান্ত মালাকার দুপচাঁচিয়া (বগুড়া) প্রতিনিধি
মাঘের তীব্র শীতে আবারো স্থবির হয়ে পড়েছে উত্তরাঞ্চলের জনজীবন। সকাল থেকে বাতাসের সঙ্গে হাড় কাঁপানো শীত যেন জেলা সহ সর্বত্র জেঁকে বসেছে। ঘন কুয়াশার সঙ্গে পশ্চিমা বাতাস বাড়িয়ে দিয়েছে শীতের প্রচণ্ড প্রকোপ। ঘন কুয়াশা আর পশ্চিমা হিমেল বাতাসে বিপর্যন্ত এখানকার মানুষের জীবন। বৃষ্টির মত পড়ছে কুয়াশা এতে খেটে খাওয়া মানুষ বিপদে পড়েছেন। মহাসড়কে সব ধরনের যানবাহন চলছে হেডলাইট জ্বালিয়ে। তবুও জীবিকার প্রয়োজনে বের হতে হচ্ছে শ্রমজীবী ও খেটে খাওয়া মানুষের। বুধবার সকাল থেকে বৃহস্পতিবার পর্যন্ত দেখা মিলেনি, সূর্যের। এতে নিম্ন আয়ের মানুষ ও ছিন্নমূল মানুষেরা পড়েছেন চরম দুর্ভোগে। বিশেষ করে কৃষকরা মাঠে কাজ করতে গিয়ে পড়েছেন চরম বিপাকে। শীত ও কুয়াশায় বৃদ্ধ বয়স্ক ও শিশুরা কাবু হয়ে পড়েছেন। হাসপাতালে শীত জনিত রোগে আক্রান্ত রোগী বাড়ছে। জরুরি প্রয়োজন ছাড়া কেউ যেন ঘরের বাইরে বের হচ্ছেন না। গ্রামগুলোতে সাধারণ মানুষ আগুন জ্বালিয়ে শীত নিবারণের চেষ্টা করছেন। এছাড়া কুয়াশার চাদরে ঢাকা পড়েছে উত্তরাঞ্চলের জেলা সহ উপজেলা গুলো। বৃহস্পতিবার ২৩ জানুয়ারি উপজেলাতে সর্বনিম্ন তাপমাত্রা দেখা গেছে ১৮ ডিগ্রী সেলসিয়াস তাপমাত্রা। গত কয়েকদিন ধরেই জেলা সহ উপজেলাতে বেড়েছে শীতের প্রকট। ঘন কুয়াশার সঙ্গে হিমেল হাওয়ায় জেলার সহ উপজেলা মানুষের জনজীবন কাবু করে দিচ্ছে। সবচেয়ে বেশি দুর্ভোগ পোচ্ছেন কর্মজীবী খেটে খাওয়া মানুষরা। হার কাঁপানো শীতের মধ্যেই তাদের কর্মস্থলে ছুটে যেতে হচ্ছে। অনেকে শীতের কারণে বাড়িতে বসে অলস সময় পার করছেন খেটে খাওয়া মানুষরা। এদিকে সড়ক-মহাসড়কে সব ধরনের যানবাহন হেডলাইট জ্বালিয়ে চলাচল করতে দেখা গেছে। জরুরী প্রয়োজন ছাড়া কিংবা জীবিকার তাগিদে ছুটে চলা মানুষের দেখা মিলছে না রাস্তাঘাটে। রাত পোহালেই খেটে খাওয়া মানুষ ও কৃষি শ্রমিক অনেকেই বলেন একদিকে ঠান্ডায় হিমেল হাওয়া বাতাস অন্যদিকে ঘন কুয়াশা চারদিক ঢাকা  রাস্তাঘাট কিছু দেখা যাচ্ছে না। আলু সরিষার জমিতে কৃষিকাজ করতে যাওয়া যাচ্ছে না প্রচন্ড শীতের কারণে। গতকালের চেয়ে আজ আরও বেশি শীত মনে হচ্ছে। শ্রমজীবী মানুষরা  জানান প্রচন্ড শীতে কাজ কর্ম করতে না পারায় সংসার নিয়ে চরম বিপদে পড়তে হচ্ছে জানান খেটে খাওয়া মানুষরা।

Loading

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *