মার্চ ১৬, ২০২৫
Home » “অগ্নিকাণ্ডে পুড়ে ছাই, ক্ষতিগ্রস্ত  ব্যবসায়ীরা”
Oplus_131072

Oplus_131072

সাইফুল ইসলাম তুহিন,স্টাফ রিপোর্টার

আফাজিয়া বাজারে অগ্নিকাণ্ডে ছাই একাদিক ব্যবসায়ীদের দোকান। নোয়াখালী জেলার বিছিন্ন দ্বীপ উপজেলা হাতিয়ায় অগ্নিকা ণ্ডের ঘটনায় ১৪টি দোকান পুড়ে হতাশা ভুগছেন অল্প ক্ষতিগ্রস্ত ব্যবসায়ীরা। বুধবার (২২ জানুয়ারি) রাত ১২ টার দিকে  হাতিয়ার প্রধান বাণিজ্যকেন্দ্র আফাজিয়া বাজারে এই ঘটনা ঘটে। ধারণা করা হচ্ছে, একটি মুদি দোকানের গোডাউন থেকে অগ্নিকাণ্ডের সূত্রপাত ঘটে।
 দোকানের বিভিন্ন মালামাল ও নগদ টাকা পুড়ে যায়। প্রায় দুই কোটি টাকার ক্ষতি হয়েছে বলে জানিয়েছেন  ক্ষতিগ্রস্ত দোকানদারগণ। স্থানীয়রা জানান,শীতের সময় গবীর রাত হওয়ায় চেষ্টা করেও আগুন নিয়ন্ত্রণে আনতে পারেনি এলাকার বাসিন্দারা। প্রায় তিন ঘণ্টব্যাপী আগুন স্থায়ী ছিল। পরবর্তীতে হাতিয়া ফায়ার সার্ভিস খবর পেয়ে  ছুটে  আসলেও দুই ঘন্টা সময় লেগেছে  আগুন নিয়ন্ত্রণ করতে।
আফাজিয়া বাজারের ব্যবসায়ী সাখাওয়াত হোসেন বলেন, আগুনে তিনটি চা দোকান, দুটি মুদি, একটি কসমেটিকস, ফার্মেসি, জ্বালানি তেল, দুটি ফার্নিচার, দুটি সেলুন ও দুটি মুদি দোকানের গোডাউনসহ অন্তত ১৪টি দোকান পুড়ে ছাই হয়ে শুণ্য হয়েছেন এই ব্যবসায়ীরা। বাবুল স্টোরের মালিক সুজন দেবনাথ জানান, তিনি অমৃত কোম্পানির হাতিয়ার এজেন্ট। তার দোকানের পাশে মুদি দোকানের মালামালের গোডাউন ছিল। তাতে প্রায় কোটি টাকা মূল্যের বিড়ি, সয়াবিন তেল, সরিষার তেল ও অমৃত কোম্পা নির কনজ্যুমার আইটেম ছিল। এসব পণ্য পুড়ে একেবারে ছাই হয়ে গেছে।
আবদুল্লাহ আল নোমান নামের ক্ষতিগ্রস্ত এক দোকানি বলেন, ফায়ার সার্ভিস আসতে আসতে আগুনে দোকান পুড়ে গেছে। আমরা ব্যবসায়ীরা কান্না করা ছাড়া কিছুই করতে পারিনি। আমাদের সব শেষ হয়ে গেছে। নিজের চোখের সামনে স্বপ্ন পুড়ে ছাই হয়ে গেছে। হাতিয়া ফায়ার সার্ভিসের স্টেশন কর্মকর্তা মো. জসিম উদ্দিন বলেন, অগ্নিকাণ্ডের খবর পেয়ে আমাদের দুটি ইউনিট ঘটনাস্থলে পৌঁছে স্থানীয়দের সহায়তায় প্রায় দুই ঘণ্টার চেষ্টায় আগুন নিয়ন্ত্রণ করতে সক্ষম হয়েছে। বৈদ্যুতিক গোলযোগের কারণে অগ্নিকাণ্ডের সূত্রপাত হতে পারে। তবে ক্ষয়ক্ষতির পরিমাণ তদন্ত শেষে বলা যাবে।

Loading

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *