

মোঃ শাহজাহান বাশার, স্টাফ রিপোর্টার
বাংলাদেশের সাবেক স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী আসাদুজ্জামান খান কামাল সম্প্রতি ভারতীয় সংবাদমাধ্যম ইন্ডিয়ান এক্সপ্রেস এ দেওয়া এক সাক্ষাৎকারে বলেছেন, আইনের শাসন পুনঃপ্রতিষ্ঠিত হলেই আমি দেশে ফিরব।”
তিনি আরও জানান, আমি একজন মুক্তিযোদ্ধা কমান্ডার ছিলাম। ১৯৭১ সালে বাংলাদেশকে সাহায্য করতে ভারত যে ভূমিকা রেখেছিল, তা আমি ভালোভাবেই জানি। ভারত সবসময় আমাদের পাশে থেকেছে এবং এখনো কূটনৈতিকভাবে সাহায্য করতে পারে।”ভারতের প্রতি কূটনৈতিক চাপ প্রয়োগের আহ্বান জানিয়ে তিনি বলেন, বাংলাদেশের বর্তমান বিচারব্যবস্থা অচল অবস্থায় আছে এবং আওয়ামী লীগ সমর্থিত আইনজীবীরা আদালতে প্রবেশের সুযোগ পাচ্ছেন না।
পারিবারিক অবস্থা ও মামলার প্রসঙ্গ কামাল উল্লেখ করেন,”আমার একমাত্র ছেলে এখন কারাগারে। আমার পরিবার ও আত্মীয়স্বজন ভালো নেই। আমার ছেলে কাশিমপুরের একটি কারাগারে রয়েছে, যেখানে আমরা একসময় সন্ত্রাসীদের আটক রাখতাম। সরকারের লোকজন নিয়মিত সেখানে গিয়ে তাকে জিজ্ঞাসা করে, আমি কোথায় আছি। এছাড়া আমার বিরুদ্ধে একের পর এক মামলা দায়ের করা হচ্ছে।”
তিনি আরও বলেন,”আমার বিরুদ্ধে প্রায় ২৯০টি হত্যা মামলা করা হয়েছে। এটি হয়ত আন্তর্জাতিক রেকর্ড। এমনকি ৫৪টি মামলায় যাদের হত্যার শিকার হিসেবে উল্লেখ করা হয়েছে, তারা পরবর্তীতে জীবিত ফিরে এসেছেন। এসব মামলা সাজানো। এসব মামলায় আমাদের সাবেক প্রধানমন্ত্রীসহ আরও কয়েকজন নেতার নাম অন্তর্ভুক্ত করা হয়েছে।”
দেশে ফেরার বিষয়ে আসাদুজ্জামান খান কামাল বলেন, আমি দেশে ফিরে যেতে ভয় পাই না। কিন্তু সেটি তখনই সম্ভব, যখন আইনের শাসন পুনঃপ্রতিষ্ঠিত হবে। বিচারকরা স্বাধীনভাবে মামলা শুনতে পারবেন এবং আমাদের পক্ষের আইনজীবীরা আমাদের পক্ষে লড়তে পারবেন। আমরা নির্বাচনে বিশ্বাস করি এবং সেখানেই আমাদের শক্তি। যদি সুষ্ঠু পরিবেশে নির্বাচন হয়, আমরা লড়াই করতে প্রস্তুত।”
পরিস্থিতি ও প্রতিক্রিয়া*আসাদুজ্জামান খান কামালের এই বক্তব্য ইতোমধ্যেই কূটনৈতিক মহলে আলোচনার কেন্দ্রবিন্দুতে পরিণত হয়েছে। তাঁর অভিযোগ এবং পরিস্থিতির বর্ণনা বাংলাদেশের বিচারব্যবস্থা ও রাজনৈতিক পরিস্থিতি নিয়ে আন্তর্জাতিক মহলেও প্রশ্ন তুলেছে। পরিশেষে আসাদুজ্জামান কামাল বলেন,আমার প্রত্যাশা, দেশে আইনের শাসন প্রতিষ্ঠিত হবে এবং আমরা সবাই একটি সুষ্ঠু পরিবেশে বাস করতে পারব।