

শেখ শহিদুল ইসলাম মিঠু, খুলনা
খুলশীতে গোয়েন্দা পরিচয় ডাকাতি এনেছিল ২০ খালি বস্তা শাবল ও খেলনা রিভালবার ১৫ জনের মধ্য ১২ জনই ধরা তিন দিনের রিমান্ড ২,টি মাইক্রো নিয়ে এসেছিল, একটি নিয়ে ৩,জন পালায়, বাসায় নগদ ৫৯০ কোটি টাকা রয়েছে এমন একটি খবর বিশ্বাস করে টাকাগুলো হাতিয়ে নেওয়ার জন্য সংবদ্ধ ডাকাত দল আনা দিয়েছিল নগরীর দক্ষিণ খুলশীর যমুনা অয়েল কোম্পানির সাবেক ব্যবস্থাপনা পরিচালক গিয়াস উদ্দিন আনসারীর ফ্ল্যাটে ডিজিএফ আই পরিচয় তারা ঢুকেছিল ফ্ল্যাটে, টাকাগুলো,বস্তা
ভর্তি করে নেওয়ার জন্য ২০,খালি বস্তা ও এনেছিল, শিন্দুক বা আলমারি ভাঙ্গার জন্য এনেছিল শাবল, অস্ত্র হিসেবে এনেছিল তিনটি খেলনা রিভলবার, তবে অ্যাপার্টমেন্টের ফ্ল্যাটে মালিকদের সম্মিলিত চেষ্টা এবং পুলিশের দ্রুত পদক্ষেপে ১৫ জনের দলটির ১২ জনই ধরা পড়েছে, তাদেরকে গতকাল শনিবার আদালতে হাজির করে তিন দিনের রিমান্ডে আনা হয়েছে, পুলিশ এবং স্থানীয় সূত্র জানিয়েছে, শুক্রবার রাত ১০টার দিকে দুটি কালো মাইক্রোবাসে করে ১৫ জনের একটি দল দক্ষিণ।
খুলশীর ৩,নং সড়কের সানমার রয়্যাল রিচ বিল্ডিংয়ের নিচে পৌঁছে, তারা ভবনটির নিরাপত্তাকর্মীদের কাছে নিজেদেরকে ডিজি,এফ,আই,য়ের লোক বলে পরিচয় দেয় তাদের কারো কারো গলায় ওই গোয়েন্দা সংস্থার ভুয়া পরিচয় পত্র ঝুলছিল তারা তিনজন নিরাপত্তা কর্মীর হাত-পা ও চোখ বেঁধে ফেলে, সেই সঙ্গে তাদের মোবাইল ফোন ছিনিয়ে নেয়, এবং সিসিটিভির হার্ডডিক্স ও নিয়ে নেয়া হয় ডাকাতরা ইন্টারকম সংযোগ ও বিচ্ছিন্ন করে দেয়, পরে ডাকাত,দলের সদস্যরা ভবনের ৮ তলায় যমুনা অয়েল
কোম্পানির সাবেক ব্যবস্থাপনা পরিচালক গিয়াস উদ্দিন আনসারীর ফ্ল্যাটে দরজা ভেঙ্গে ভিতরে প্রবেশ করে বাসার মালামাল লুট করার চেষ্টা করে,এ সময় আশেপাশের ফ্ল্যাটের লোকজন জানতে পেরে ৯৯৯ নাম্বারে ফোন করে, খুলশী থানা পুলিশকে সংবাদ দেয়, খুলশী থানা পুলিশের একটি ডিম দ্রুত ঘটনাস্থলে পৌঁছে ভবনটি ঘিরে ফেলে, পুলিশের উপস্থিতি এর পেয়ে ডাকাতরা পালানোর চেষ্টা করলে পুলিশ উক্ত ভবনের বিভিন্ন স্থান থেকে ১২ জনকে আটক করতে সক্ষম হয়, এবং ৩,জন ডাকাত পালিয়ে
যায়, আটক১২ জনকে জিজ্ঞাসাবাদে এক পর্যায়ে তারা ডিজি,এফ,আইয়ের সদস্য নয় বলে স্বীকার করে, তারা স্রেফ ডাকাতি করতে খালি ফ্ল্যাটটিতে এসেছিল বলে পুলিশকে জানায়,এ ব্যাপারে খুলশী থানায় ডাকাতি চেষ্টার একটি মামলা রেকর্ড করে আটকদের গ্রেপ্তার দেখানো হয়, গতকাল তাদের আদালতে হাজির করে ৭ দিনের রিমান্ডের আবেদন জানানো হলে আদালত ৩ দিনের রিমান্ড মঞ্জুর করে, গ্রেপ্তারকিতরা হচ্ছে মোহাম্মদ ইয়াকুব (৩৫) পিতা মৃত ইদ্রিস মিয়া সাং খৈয়াখালি ১,নং ওয়ার্ড ৯,নং
পাহাড়তলী থানা রাউজান, জেলা চট্টগ্রাম, মোজাহের আলম (৫৫) পিতা মৃত তো তোফাজ্জল আহমদ সাং খৈয়াখালি হাজী আব্দুর রহমান কোম্পানির বাড়ি থানা রাউজান, জেলা চট্টগ্রাম বর্তমানে সাং বাদুরতলা সৈয়দ আল মাদানী রোড থানা চাঁদগাও মোহাম্মদ রুবেল হোসেন ( ২৬) পিতা মোঃ শাহ আলম সাং ওয়াজেদিয়া, পোস্ট বাতুয়া থানা হাটহাজারী জেলা চট্টগ্রাম, বর্তমানে সাং হামজারবাগ রেল বিট মদিনা ভবন তৃতীয় তলা থানা পাঁচলাইশ, মহিউদ্দিন ( ৪৫) পিতা মোঃ আব্দুল শুক্কুর সাং কদমতলী
পোড়া মসজিদ শুক্কুর কমিশনার বাড়ি থানা সদরঘাট ,জেলা চট্টগ্রাম, আব্দুল সবুর ( ৩৭) পিতা আব্দুল খালেক সাং চুরিয়ালটুলী লেন ফিরিঈী বাজার, আব্দুল হাকিমের বাড়ি, থানা কোতোয়ালী, জেলা চট্টগ্রাম, মোহাম্মদ রুকন (৩৯) পিতা,মৃত আমির হোসেন, সাং আলী সিকদার বাড়ি ৬ নং ওয়ার্ড ৪ নং ইউনিয়ন থানা কুতুবদিয়া, জেলা কঙ্গো বাজার, বর্তমানে সাং বদ্দারহাট খাঁজা রোড,
থানা চাঁদগাও জেলা চট্টগ্রাম মোহাম্মদ ওসমান ( ৪০) পিতা মৃত কামাল উদ্দিন, সাং লৌহগ্রাম বাহার ভুইয়া বাড়ি ৮ নং হিলোসিয়া, থানা বাজিতপুর, জেলা কিশোরগঞ্জ, বর্তমানে সাং রোড নং,২ কামাল উদ্দিনের বাসা ব্লক এ থানা হালিশহর জেলা চট্টগ্রাম, মোঃ হোসেন (৪১) পিতা-মৃত সিরাজুল হক , সাং দক্ষিণ বাঁশবাড়িয়া, সিরাজুল ইসলামের বাড়ি, ৩, নং ওয়ার্ড থানা মীরসরাই জেলা চট্টগ্রাম, বর্তমানে সাং বড়পুল, আবু তাহের ভাইয়ের বাসা, থানা হালিশহর জেলা চট্টগ্রাম, মোহাম্মদ ওয়াজেদ প্রকাশ রাকিব ( ৩৬) পিতা মৃত মাহবুব খান, সাং পশ্চিম পটিয়া কাজী,বাড়ি মনষা,গ্রাম কুসুমপুরা থানা পটিয়া জেলা চট্টগ্রাম
বর্তমানে,ওয়াপদা হালিশহর এইচ ব্লক খান ভিলা, হালিশহর জেলা চট্টগ্রাম , আব্দুল মান্নান (৩৫) পিতা নুরুল আমিন, সাং মধ্য করুয়া থানা মেয়ের সরাই জেলা চট্টগ্রাম বর্তমানে সাং সবুজবাগ হালিশহর চট্টগ্রাম শওকাত আকবর ইমন ( ২৮) পিতা নুরুল ইসলাম মাতা খাদিজা খাতুন সাং মধ্য কুতুবদিয়া পাড়া শওকাতের বাড়ি থানা সদর জেলা কক্সবাজার এবং মোহাম্মদ হারুন আর রশিদ ( ৩৬) পিতা মোঃ সালাম সওদাগর, সাং চর খাশরিয়া, মহাজন পাড়া থানা সাতকানিয়া জেলা চট্টগ্রাম, ঢাকার দলের
সদস্যরা দুটি মাইক্রোবাস নিয়ে এলেও একটি নিয়ে তিনজন পালিয়ে যায়, কালো রঙ্গের অপর একটি হাইওয়ে স মাইক্রোবাস (নং চট্র মেট্রো ১২- ৫৯ -৩১) জব্দ,করা হয়েছে, এছাড়া ডাকাত দলের সদস্যদের কাছ থেকে একটি শাবল ৩,টি, খেলনা পিস্তল (পুলিশ লেখা পিস্তল কভার সহ) ডিজিএফ আই পরিচয় দান করে ভুয়া পরিচয় পত্র এবং ২০,টি খালি প্লাস্টিকের বস্তা উদ্ধার করা হয়েছে, গতকাল সংবাদ সম্মেলন নগর পুলিশের উপ- কমিশনার ( অপরাধ) রইস উদ্দিন বলেন, তারা দুটি মাইক্রোবাসে করে খুলশী ৩ নম্বর সড়কের একটি ভবনে যায়, এখানে দিয়ে নিজেদের গোয়েন্দা সংস্থার লোক পরিচয় দিয়ে ভবনে প্রবেশ করে, নিরাপত্তা
কর্মীদের হাত-পা বেঁধে ফেলে, এরপর অষ্টম তলায় গিয়াস উদ্দিন আনসারী নামে এক ব্যক্তির বাসায় ডাকাতি করতে যায়, পুলিশ গোপন সূত্রে খবর পেয়ে ঘটনাস্থলে গিয়ে ১২ জনকে আটক করে, এবং ডাকাতি কাজে ব্যবহৃত বিভিন্ন সরঞ্জাম উদ্ধার করে, তিনি বলেন ঘটনার সময় ওই ফ্ল্যাটের লোকজন ছিলেন না, তারা সবাই বেড়াতে গিয়েছিলেন, আটক দের মধ্য বিদেশ ফেরত সাবেক ব্যাংকার বালু সরবরাহকারী এবং দোকানের কর্মচারী ও রয়েছেন, খুলশী থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা মজিবুর রহমান
সাংবাদিককে কে জানান -৯৯৯-এর মাধ্যমে খবর পাওয়ার সাথে সাথে আমরা ঘটনাস্থলে গিয়ে ভবনটি ঘিরে ফেলি, ওই সময় ১২ জনকে নাটক করি, মামলা হয়েছে, আসামিদের রিমান্ডে আনা হয়েছে, জিজ্ঞাসাবাদে বিস্তারিত জানা যাবে, তিনি বলেন এটি স্রেফ ডাকাতির,চেষ্টা বলে মনে হচ্ছে, তদন্তের পর বিস্তারিত জানা যাবে, তবে ঢাকার দলের সদস্যদের উদ্বৃতি দিয়ে নির্ভরশীল একটি সূত্র জানিয়েছে, উক্ত ফ্ল্যাটে ৫৯০ কোটি নগদ টাকা থাকার খবর পেয়ে তারা হানা দিয়েছে, তাদের ধারণা ছিল গোয়েন্দা সংস্থার নামে তারা বাসায় ঢুকে তল্লাশির নামে টাকাগুলো হাতিয়ে নিয়ে যেতে পারবে