মার্চ ১৬, ২০২৫
Home » গঠনতন্ত্র উপেক্ষা করে টঙ্গীবাড়ি উপজেলা বিএনপি’র পূর্ণাঙ্গ কমিটি গঠণ
IMG-20250128-WA0004 (1)

মাহিন হোসেন, মুন্সীগঞ্জ

মুন্সীগঞ্জ জেলার টঙ্গীবাড়ী উপজেলা বিএনপি গঠণতন্ত্র উপেক্ষা করে ১০১ সদস্যের কার্যানির্বাহী পূর্ণাঙ্গ কমিটি ঘোষণা করেছে। এ কমিটি নিয়ে উপজেলা বিএনপির সাবেক নেত্রীবৃন্দ ও পদবঞ্চিতদের মধ্যে তীব্র ক্ষোভ সৃষ্টি হয়েছে। দুই বছর মেয়াদি কমিটিটি
গত ২৩ সেপ্টেম্বর, ২০২৩ খ্রি তারিখে দ্বি-বার্ষিক সম্মেলনের মাধ্যমে আলী আসগর রিপন মল্লিক সভাপতি ও মোঃ আমির হোসেন দোলন সাধারণ সম্পাদক নির্বাচিত হন। এরপর ১২ জানুয়ারী, ২০২৫ খ্রি: তারিখে টঙ্গীবাড়ি উপজেলা

বিএনপি’র ১০১ সদস্য বিশিষ্ট কমিটি অনুমোদন করেন জেলা বিএনপির ১ম যুগ্ন আহ্বায়ক মহিউদ্দিন আহম্মেদ, যুগ্ন আহ্বায়ক এ.কে.এম ইরাদত মানু ও সদস্য সচিব মোঃ কামরুজ্জামান রতন। বিএনপির গঠণতান্ত্রিক নিয়ম অনুযায়ী উপজেলা কমিটিতে ১জন সভাপতি, ৯জন সহ-সভাপতি, ১জন সাধারণ সম্পাদক, ৩জন যুগ্ন সাধারণ সম্পাদক, ১জন কোষাধ্যক্ষ, ১জন সহ কোষাধ্যক্ষ, ২জন সাংগঠনিক সম্পাদক, ২জন সহ সাংগঠনিক সম্পাদক, ১জন দফতর সম্পাদক, ১জন সহ দফতরসম্পাদক, ১জন প্রচার ও প্রকাশনা সম্পাদক

১জন সহ প্রচার ও প্রকাশনা সম্পাদক, ১জন মুক্তিযুদ্ধ বিষয়ক সম্পাদক, ১জন সহ মুক্তিযুদ্ধ বিষয়ক সম্পাদক, ১জন মহিলা বিষয়ক সম্পাদক, ১জন সহ মহিলা বিষয়ক সম্পাদক, ১জন কৃষি বিষয়ক সম্পাদক, ১জন সহ কৃষি বিষয়ক সম্পাদক, ১জন যুব বিষয়ক সম্পাদক, ১জন সহ যুব বিষয়ক সম্পাদক, ১জন ছাত্র বিষয়ক সম্পাদক, ১জন সহ ছাত্র বিষয়ক সম্পাদক, ১জন শ্রম বিষয়ক সম্পাদক, ১জন সহ শ্রম বিষয়ক সম্পাদক, ১জন স্বেচ্ছাসেবক বিষয়ক সম্পাদক, ১জন সহ স্বেচ্ছাসেবক বিষয়ক সম্পাদক, ১জন প্রশিক্ষণ বিষয়ক সম্পাদক

১জন তথ্য ও গবেষণা বিষয়ক সম্পাদক, ১জন প্রবাসী কল্যাণ বিষয়ক, সম্পাদক, ১জন স্বাস্থ্য ও পরিবার পরিকল্পনা বিষয়ক সম্পাদক, ১জন ত্রাণ ও পুনর্বাসন বিষয়ক সম্পাদক, ১জন ক্ষুদ্র ঋণ ও সমবায় বিষয়ক সম্পাদক, ১জন মানবাধিকার বিষয়ক
সম্পাদক, ১জন গণশিক্ষা বিষয়ক সম্পাদক, ১জন স্থানীয় সরকার বিষয়ক সম্পাদক, ১জন ধর্ম সম্পাদক, ১জন সহ ধর্ম সম্পাদক, ১জন ক্রীড়া ও সাংস্কৃতিক সম্পাদক, ১জন তাঁতী/মৎস্যজীবী/উপজাতি

বিষয়ক সম্পাদক ও ৫০জন নির্বাহী সদস্য থাকতে পারবেন। কিন্তু টঙ্গীবাড়ি উপজেলা বিএনপির কমিটিতে ২৩জন সহ-সভাপতি ও ২৩জন যুগ্ন সাধারণ সম্পাদক রাখা হয়েছে। এছাড়াও এ কমিটিতে সহ কোষাধ্যক্ষ সম্পাদক, সহ প্রচার সম্পাদক, সহ মুক্তিযুদ্ধ বিষয়ক সম্পাদক, সহ ধর্ম বিষয়ক সম্পাদক, সহ মহিলা বিষয়ক সম্পাদক, সহ যুব বিষয়ক সম্পাদক, সহ স্বেচ্ছাসেবক বিষয়ক সম্পাদক, সহ ছাত্র বিষয়ক সম্পাদক, সহ কৃষি বিষয়ক সম্পাদক, শ্রম বিষয়ক সম্পাদক, সহ শ্রম বিষয়ক সম্পাদক, প্রশিক্ষণ বিষয়ক সম্পাদক, প্রবাসী কল্যাণ বিষয়ক সম্পাদক, মানবাধিকার বিষয়ক সম্পাদক, তাঁতী/মৎস্যজীবী/উপজাতি বিষয়ক সম্পাদক ও ৩০জন নির্বাহী সদস্য পদ পূরণ করা হয়নি। এছাড়াও এ কমিটিতে ৪জনকে বিশেষ সম্পাদক করা হয়েছে। যা বিএনপির গঠনতন্ত্রে নেই। গঠতন্ত্র বিরোধী টঙ্গীবাড়ি উপজেলা বিএনপির এ পূর্ণাঙ্গ কমিটির তীব্র সমালোচনা করেন টঙ্গীবাড়ি

থানা বিএনপির সাবেক সভাপতি মোঃ নুরুল হুদা, আব্দুল্লাহপুর ইউনিয়ন বিএনপি’র সাবেক সভাপতি ডাঃ আব্দুল আলিম, কেন্দ্রীয় তাঁতী দলের যুগ্ন আহ্বায়ক মোঃ সাখাওয়াত হোসেন আশিক, টঙ্গীবাড়ি ছাত্রদল সাবেক সাধারণ সম্পাদক মোঃ কাজী
জহির, বিক্রমপুর টঙ্গীবাড়ি কলেজ ছাত্রদলের সাবেক যুগ্ন সম্পাদক মোঃ ইয়ার হোসেন, বালিগাও আড়িয়ল ইউনিয়ন যুবদল সাবেক সভাপতি মোঃ শাহ মোয়াজ্জেম, বিক্রমপুর টঙ্গীবাড়ি কলেজ শাখা ছাত্রদল সাবেক  সভাপতি মোঃ ইকবাল শেখ, টঙ্গীবাড়ি থানা স্বেচ্ছাসেবক দল সাবেক সাংগঠনিক সম্পাদক মোঃ সোহেল মল্লিক, মুন্সীগঞ্জ জেলাজাতীয়তাবাদী সমবায় দল সহ সভাপতি

মোঃ লুৎফর রহমান, টঙ্গীবাড়ি উপজেলা জাসাসসাংগঠনিক সম্পাদক মোঃ মাহবুব রহমান উজ্জ্বল, জাতীয়তাবাদী সমবায় দল সহ দপ্তর সম্পাদক মোঃ রাজীব শেখসহ টঙ্গীবাড়ি উপজেলা বিএনপি ও অঙ্গ সংগঠনের সাবেক নেত্রীবৃন্দ ও পদবঞ্চিতরা। তারা বলেন, সাংগঠনিক অদক্ষতা, বিপুল পরিমানে আর্থিক লেনদেন, পদ বিক্রি ও স্বজনপ্রীতির মাধ্যমে এ কমিটি করা হয়েছে। ত্যাগী নেতা কর্মীদের মূল্যায়ন করা হয়নি। প্রবাসীদেরও আঞ্চলিক কমিটিতে অন্তর্ভুক্ত করা হয়েছে। দুঃসময়ে যারা দলের জন্য ত্যাগ স্বীকার করেছে তাদেরকে মূল্যায়ন করা হয়নি। এ কমিটি দ্রুত ভেঙ্গে গঠনতান্ত্রিক নিয়মে কমিটি করার জোর দাবী জানাই।

এ বিষয়ে টঙ্গীবাড়ি উপজেলা বিএনপির সভাপতি আলী আসগর রিপন মল্লিক বলেন, এগুলো জানতে চাইয়েন না। আর জাইনেও লাভ নাই। আমরা দলবল করি। সবাই একটা দাবী দাওয়া করে। সবাইকে খুশি করার জন্যই এটি কইরা রাখছি। এটি অনুমোদন দিয়েছে জেলা কমিটি। তারপর এটি কেন্দ্রীয় কমিটির নেতারা বারবার দেখেছে, জানতে চাইছে ও মিটিং করেছে। নিয়ম আর অনিয়ম, দল কোন নিয়মের মধ্যে থাকে? আর্থিক লেনদেনের বিষয়ে তিনি বলেন, দলের কার্যক্রম পরিচালনা করার জন্য সদস্যদের থেকে চাঁদা নেওয়া হয়েছে। কিন্তু কমিটি নিয়ে বাণিজ্য করেছি এমন ন্যুনতম কোন প্রমাণ যদি কেউ দেখাতে পারে। তাহলে নিজেই নিজের ফাঁসি দিয়ে দিমু।

এ বিষয়ে মুন্সীগঞ্জ জেলা বিএনপির ১ম যুগ্ন আহ্বায়ক মহিউদ্দিন আহম্মেদ বলেন, এ বিষয়টি মুন্সীগঞ্জ জেলা বিএনপির সদস্য সচিব কামরুজ্জামান রতন ভালো বলতে পারবেন। এ বিষয়ে মুন্সীগঞ্জ জেলা বিএনপির সদস্য সচিব মোঃ কামরুজ্জামান রতন এর মুঠোফোনে বারবার যোগাযোগের চেষ্টা করা হলেও তাকে পাওয়া যায়নি। মাহিন হোসেন

Loading

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *