

মোঃ শাহজাহান বাশার, স্টাফ রিপোর্টার
কক্সবাজারের চকরিয়া থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মনজুর কাদের ভূঁইয়াসহ চার পুলিশ কর্মকর্তার বিরুদ্ধে সাংবাদিক নির্যাতনের অভিযোগ তদন্তের নির্দেশ দিয়েছেন আদালত। কক্সবাজার সিনিয়র জুডিশিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট আদালতের বিচারক আখতার জাবেদ এই নির্দেশ দেন এবং ৪৫ দিনের মধ্যে তদন্ত প্রতিবেদন দাখিলের জন্য পুলিশের অপরাধ তদন্ত বিভাগ (সিআইডি) কে নির্দেশনা প্রদান করেন।
আদালতের নির্দেশনায় বলা হয়েছে, পুলিশ সুপার পদমর্যাদার নিচে নয়—এমন কর্মকর্তাকে দিয়ে এ তদন্ত সম্পন্ন করতে হবে। একই সঙ্গে চকরিয়া থানার ওসি মনজুর কাদের ভূঁইয়ার বিভিন্ন নেতিবাচক কর্মকাণ্ড সম্পর্কে প্রকাশিত সংবাদ প্রতিবেদন পর্যালোচনা করারও নির্দেশ দেওয়া হয়েছে।
অভিযুক্ত পুলিশ কর্মকর্তারা
এ মামলায় অভিযুক্ত অন্য তিন পুলিশ কর্মকর্তা হলেন: ১. এসআই ফরহাদ রাব্বি ওরফে ঈশান 2. এসআই সোহরাব সাকিব 3. এএসআই পারভেজ
ঘটনার বিবরণ
মামলার বাদী সাংবাদিক মনসুর আলম মুন্না, যিনি দৈনিক প্রতিদিনের কাগজ-এর কক্সবাজার প্রতিনিধি, অভিযোগ করেন যে, ওসি মনজুর কাদের ভূঁইয়ার বিরুদ্ধে বিভিন্ন সময়ে সংবাদ প্রকাশ করায় প্রতিহিংসাপরায়ণ হয়ে গত ২৫ ডিসেম্বর ভোরে কক্সবাজার শহরে তাঁর অফিস থেকে চারজন সাদা পোশাকধারী পুলিশ সদস্য তাঁকে অপহরণ করে। অপহরণের পর তাঁর চোখ কাপড় দিয়ে বেঁধে চকরিয়া থানায় নিয়ে যাওয়া হয় এবং সেখানে ব্যাপক শারীরিক নির্যাতনের শিকার হন তিনি।
পুলিশের প্রতিক্রিয়া
এই বিষয়ে জানতে চাইলে চকরিয়া থানার ওসি মনজুর কাদের ভূঁইয়ার সঙ্গে একাধিকবার যোগাযোগের চেষ্টা করা হলেও তিনি সাড়া দেননি।
আইনজীবীর প্রতিক্রিয়া
বাদীপক্ষের আইনজীবী ড. সালাহ উদ্দিন আহমদ বলেন, “একজন সাংবাদিককে অপহরণ করে পুলিশ হেফাজতে নির্মম নির্যাতন ও চাঁদা দাবি করা সম্পূর্ণ বেআইনি এবং মানবাধিকারের চরম লঙ্ঘন। আমরা আশা করি, তদন্তের মাধ্যমে অভিযুক্তদের বিরুদ্ধে যথাযথ ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে। এই ঘটনায় সাংবাদিক মহলে তীব্র প্রতিক্রিয়া সৃষ্টি হয়েছে এবং সুষ্ঠু বিচার দাবিতে বিভিন্ন সাংবাদিক সংগঠন নিন্দা জানিয়েছে।