

দীনেশ চন্দ্র রায়,পাইকগাছা খুলনা
পাইকগাছায় লবন পানির চিংড়ি ঘেরের পানির ঢেউয়ে নিমাইখালির ১৮ ফিট সরকারি রাস্তা ভেঙ্গে সরু হয়ে গেছে। কোথাও কোথাও ভ্যান বা অন্য যানবাহন চলাচল কঠিন হয়ে পড়েছে। সে কারণে ক্ষতি হচ্ছে সরকারকে লক্ষলক্ষ টাকা। এলাকাবাসি বিষয়টি নিরশনে উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা সহ উর্দ্ধতন কর্তৃপক্ষের দৃষ্টি আকর্ষণ করেছে।
সরজমিন জানাগেছে, উপজেলার গদাইপুর ইউনিয়নের ঘোষাল গ্রামের সিমান্ত থেকে নিমাইখালী স্লুইস গেট পর্যন্ত প্রায় দেড় কিলোমিটার কেয়ারের সরকারি রাস্তা রয়েছে। যাহা ১৫/১৬ ফুট চওড়া ছিলো। ওই রাস্তা দিয়ে গদাইপুর ইউনিয়নসহ লতা ও দেলুটি ইউনিয়নের মানুষের যাতায়াত করে থাকে। বর্তমানে ওই কেয়ারের পাশ দিয়ে প্রায় ২০টি চিংড়ি ঘের রয়েছে। চিংড়ি ঘেরের লবন পানির ঢেউয়ে কারণে সরকারী রাস্তাটি ভেঙ্গে যাচ্ছে। এলাকাবাসীর অভিযোগ কোন চিংড়ি ঘেরের মালিকরা বিকল্প রাস্তা না বেঁধে সরকারী রাস্তাকে বাঁধ হিসাবে ব্যবহার করে যাচ্ছে।
গদাইপুর ইউনিয়নের ২ নং ওয়র্ডের সদস্য আবু হাসান জানান, এই রাস্তাটি আমার ওয়ার্ডের মধ্য। ইতোমধ্যে ইউনিয়ন পরিষদ ইটের সলিং রাস্তা করার জন্য ৩ লক্ষ্য টাকা বরাদ্দ দিলেও প্রকল্পের সভাপতি কাজ করতে পারছে না। কারন ১৮ ফুটের মাটির রাস্তা কোথাও ৩-৪ ফুট চওড়া রয়েছে । মৎস্য ঘের মালিকদের উপজেলা মাসিক সমন্বয় সভায় সরকারী রাস্তা পাশ দিয়ে বিকল্প রাস্তা করে তাদের ঘের করার সিদ্ধান্ত থাকলেও অদ্যাবধি কেউ মেনে চলছে না। গদাইপুর ইউনিয়নের সাবেক ইউপি চেয়ারম্যান গাজী জুনাইদুর রহমান বলেন
আমার আমলে কয়েকবার ওই রাস্তার মাটির কাজ করেছি। ওই রাস্তাটি ঘোষাল গ্রাম হয়ে নিমাইখালী ওয়াপদার রাস্তার সাথে মিশে অন্নান্য ইউনিয়ের সাথে যুক্ত আছে । আমি বহুবার ঘের মালিকদের বলেছি, আপনারা চিংড়ি ঘেরের জন্য আলাদা বাঁধ দিয়ে ঘের করার জন্য। তারা ইচ্ছামত বাঁধ হিসাবে সরকারী রাস্তা ব্যবহার করছে। আমি প্রশাসনের নিকট জোর দাবী জানাবো সরকারী রাস্তাটি বাচানোর জন্য। নিমাইখালী রাস্তা ইটের সলিং রাস্তা করার জন্য জরুরি ভাবে উপজেলা নির্বাহী অফিসার সহ সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষের জরুরী হস্তক্ষেপ কামনা করেছেন এলাকাবাসী। পাইকগাছা উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা মাহেরা নাজনীন বলেন, আমাদের আইনশৃঙ্খলা সভায় সিধান্ত রয়েছে যদি কোন ব্যক্তি সরকারী সম্পদ নষ্ট করে তার বিরুদ্ধে আইনগত ব্যবস্তা নেয়া হবে।