

মো: কায়সার উদ্দিন, সিনিয়র স্টাফ রিপোর্টার
নিরাপদ খাদ্য দিবস-২০২৫ উদযাপন উপলক্ষ্যে জেলা প্রশাসন ও বাংলাদেশ নিরাপদ খাদ্য কর্তৃপক্ষ, শেরপুর এর আয়োজনে রবিবার (২ ফেব্রয়ারী) জেলা প্রশাসকের সম্মেলন কক্ষে ‘খাদ্য হোক নিরাপদ, সুস্থ থাকুক জনগন’ এমন প্রতিপাদ্য বিষয়কে সামনে রেখে শেরপুরে নিরাপদ খাদ্য বিষয়ক এক
সেমিনার অনুষ্ঠিত হয়েছে। অতিরিক্ত জেলা প্রশাসক (সার্বিক)মোসা. হাফিজা জেসমিনের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠিত সেমিনারে প্রধান অতিথি হিসেবে বক্তব্য রাখেন শেরপুরের জেলা প্রশাসক তরফদার মাহমুদুর রহমান। বিশেষ অতিধি হিসেবে বক্তব্য রাখেন অতিরিক্ত পুলিশ সুপার (প্রশাসন ও অর্থ) মিজানুর রহমান ভূঞা।
সেমিনারে নিরাপদ খাবারের গুরুত্ব, খাবার নিরাপদ রাখার কৌশল, অনিরাপদ খাবার গ্রহনের ঝুঁকি এবং নিরাপদ খাদ্য আইন সম্পর্কে মূলপ্রবন্ধ স্থাপন করেন নিরাপদ খাদ্য কর্তৃপক্ষ শেরপুর জেলা কার্যালয়ের সহকারি পরিচালক শাকিলুজ্জামান। সেমিনারে অন্যান্যদের মধ্যে বক্তব্য রাখেন অতিরিক্ত জেলা ম্যাজিস্ট্রেট মো: শাকিল আহমেদ, জনস্বাস্থ্য প্রকৌশল অধিদপ্তরের নির্বাহী প্রকৌশলী সামিউল হক, জেলা প্রাথমিক শিক্ষা কর্মকর্তা মো: ওবায়দুল্লাহ, প্রেসক্লাব সভাপতি কাকন রেজা, মুক্তিযোদ্ধা কমান্ডার মো: মাসুদ, বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের সমন্বয়ক আশরাফুল আলম প্রমুখ। সেমিনারে সরকারি-বেসরকারি দপ্তরের কর্মকর্তা, ক্যাব, বিভিন্ন শিক্ষা প্রতিষ্ঠানের শিক্ষক, ব্যসায়ী
এনজিও প্রতিনিধি, ছাত্র ও তরুন প্রতিনিধি ও মিডিয়া প্রতিনিধিসহ অর্ধশতাধিক সুধীবৃন্দ অংশগ্রহন করেন। সভায় বক্তরা বলেন, ভেজাল খাদ্য নিরব ঘাতক। ভেজাল খাদ্য গ্রহনের ফলে একজন মানুষ ‘স্লো পয়জনিং’য়ের মতো ধীরে ধীরে কর্মশক্তি হারিয়ে মেধাশূন্য হয়ে নানা রোগে আক্রান্ত হয়ে মৃত্যুর দিকে ধাবিত হয়। খাদ্যে ভেজাল করা সবচেয়ে গর্হিত কাজ। যারা খাদ্যে ভেজাল মেশান, তারা ধীরে ধীরে দেশ -জাতিকে ধ্বংস করে দিচ্ছেন।
তাদের বিরুদ্ধে যেমন আইনগতভাবে ব্যবস্থা গ্রহন করা দরকার তেমনি যারা ক্রেতা এবং ভোক্তা তাদেরকেও সচেতন হতে হবে। ভেজাল এবং অনিরাপদ খাদ্য গ্রহন থেকে বিরত থাকতে হবে। এ জন্য আমাদেরকে নিরাপদ খাদ্য ও খাবার নিরাপদ রাখার বিষয়ে অবহিতকরণ কার্যক্রম জোরদার করতে হবে। ব্যাপকভিত্তিক সামাজিক সচেতনতা সৃষ্টি করতে হবে। পরিবার, শিক্ষা প্রতিষ্ঠান এবং সামাজিক সংগঠনগুলো এ ক্ষেত্রে কার্যকর ভূমিকা রাখতে পারে।