মার্চ ১৬, ২০২৫
Home » বিদুৎ গেলে চলে না জেনারেটর বন্ধ থাকে হাসপাতালের পরীক্ষা-নীরিক্ষা
27676ba140497db

মোঃ গোলাম মোরশেদ,পাঁচবিবি উপজেলা প্রতিনিধি

পাঁচবিবি উপজেলা ৫০ শয্যা বিশিষ্ট স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে বিদ্যুৎ চলে গেলে বন্ধ থাকে এক্স-রে, আল্ট্রাসনোগ্রাম, ইসিজি, চক্ষু পরীক্ষাসহ ছোটখাটো সব ধরনের অপারেশন ব্যবস্থা। হাসপাতালে জেনারেটর ব্যবস্থা না থাকায় ভোগান্তির শিকার হচ্ছেন হাসপাতালে সেবা নিতে আসা রোগীরা বিদ্যুৎ চলে গেলেই হাসপাতালে পরীক্ষা-নীরিক্ষার কার্যক্রম বন্ধ থাকে। উপায় না পেয়ে জরুরী প্রয়োজনে বাধ্য হয়ে তখন পাঁচবিবিসহ জয়পুরহাটের বিভিন্ন ক্লিনিকে গিয়ে পরীক্ষা করাতে হয়। এতে বাড়তি খরচ পোহাতে হয় সেবা নিতে আসা রোগীদের।
তবে, জরুরী কোনো অপারেশনের ক্ষেত্রে হাসপাতাল কর্তৃপক্ষ আগে থেকে জানিয়ে রাখেন পল্লী বিদ্যুৎ সমীতিকে। অপারেশনের সময় বিদ্যুৎ থাকার বিষয়টি নিশ্চিত করেন হাসপাতাল কর্তৃপক্ষ। শনিবার (১ ফেব্রুয়ারী) পাঁচবিবি উপজেলায় বিদ্যুৎতের নিয়মিত রক্ষনাবেক্ষন কাজের জন্য সকাল নয় টা থেকে বিকেল পাঁচটা পর্যন্ত বিদ্যুৎ সরবরাহ বন্ধ রাখেন পল্লীবিদ্যুৎ সমিতি। তবে শনিবার সরকারি ছুটি থাকায় রোগীদের চাপ ছিল কম। হাসপাতাল কর্তৃপক্ষ বলছেন, হাসপাতালে জেনারেটর না থাকার বিষয়টি উর্ধতন কর্মকর্তাদের জানানো হয়েছে। দ্রুত সময়ের মধ্যে হাসপাতালে একটি জেনারেটর বরাদ্দ পেলেই এ ভোগান্তি আর পোহাতে হবেনা।
জানাগেছে, ১৯৭৩ সালে পাঁচবিবি শহর থেকে প্রায় তিন কিলোমিটার দুরে মহিপুর গ্রামে ১১ একর ১৬ শতাংশ জমির উপর স্থাপিত উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্স। প্রথমে ২৫ শয্যা বিশিষ্ট স্বাস্থ্য কমপ্লেক্স হিসেবে চিকিৎসা সেবা শুরু হলে পরবর্তীতে ৫০ শয্যা বিশিষ্ট হাসপাতালে উন্নতিকরন করা হয়। এরপর পর্যাক্রমে চিকিৎসা সেবার কার্যক্রম চলে আসছে। বর্তমানে হাসপাতালটিতে চিকিৎসক কর্মচারীসহ বেশকিছু পদে জনবল সংকট আছে।
হাসপাতালের পরিসংখ্যান বোর্ডে দেওয়া তথ্যানুযায়ী সূত্রে জানাযায়, হাসপাতালের জুনিয়র কনসালটেন্ট পদে ১১ জনের বিপরীতে আছেন ৬ জন, আবাসিক মেডিক্যাল অফিসার পদে একজনের বিপরীতে নেই কোনো অফিসার, সহকারী সার্জন পদে ৫ জনের বিপরীতে আছেন ৪ জন, মেডিক্যাল অফিসার ইউনিয়ন পোস্টসহ ১০ জনের বিপরীতে আছেন ১ জন, তৃতীয় ও চতুর্থ শ্রেনির কর্মচারী পদে ১১০ জনের বিপরীতে আছেন ৬৩ জন এবং সিএইচসিপি ৩০ জনের বিপরীতে ২৯ জন।
পাঁচবিবি উপজেলা স্বাস্থ্য ও পরিবার পরিকল্পনা কর্মকর্তা ডাঃ তরুণ কুমার পাল বলেন, হাসপাতালে অনেক পুরনো একটি জেনারেটর ছিল সেটি অকেজো। একারনে বিদ্যুৎ চলে গেলে সব ধরনের পরীক্ষ-নিরীক্ষা বন্ধ থাকে। এতে কোনো কোনো সময় বিড়ম্বনায় পরতে হয়। তবে জরুরী বিভাগে ছোট খাটো অপারেশনগুলো আইপিস দ্বারা করা হয়। এছাড়া হাসপাতালে জেনারেটর সংকটের বিষয়টি ঊর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষকে অবগত করা হয়েছে। তিনি আরো বলেন, এছাড়া হাসপাতালে বেশকিছু পদে জনবলও সংকট রয়েছে। জনবল সংকটের বিষয়টি মাথায় নিয়ে আমরা যথাযথ চিকিৎসা সেবা প্রদান করে আসছি।

Loading

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *