

শেখ শহিদুল ইসলাম মিঠু, ব্যূরো প্রধান খুলনা
খুলনার দিঘলিয়া উপজেলার ভৈরব নদীর তীরে অবস্থিত ক্ষমতাচ্যুত প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার রেস্ট হাউস ভাঙচুর করেছেন বিক্ষুব্ধ লোকজন, রাত ৯ টার দিকে এই ভাঙচুরের ঘটনা সূত্রপাত হয়, প্রত্যক্ষদর্শী ও স্থানীয় সূত্রে জানা গেছে, বিক্ষুব্ধ ছাত্র-জনতা বিক্ষোভ মিছিল সহকারে জামায়াত হয়ে দিঘলিয়া উপজেলার নগর ঘাট এলাকায় রেস্ট হাউস টি ভাঙচুর শুরু করেন, স্বৈরাচারের আস্তানা ,জ্বালিয়ে দাও পুড়িয়ে দাও, খুনি হাসিনার আস্তানা, গুঁড়িয়ে দাও সহ বিভিন্ন স্লোগান দিয়ে রড শাবল ও হাতুড়ি দিয়ে রেস্ট হাউসটি ভাঙ্গা হয়, রেস্ট হাউজের গ্রিল ,লাইট ,দরজা কমোড ,খুলে ফেলেন বিক্ষুদ্ধরা, উত্তেজিত জনতা সেখানে থাকা পাটের গুদামেও ভাঙচুর চালায়, স্থানীয় মানুষ ও আওয়ামী লীগের সূত্রে জানা গেছে, নগর ঘাট এলাকার পাকিস্তান আমলে শেখ মুজিবুর রহমান তার
সহধর্মিনী ফজিলাতুন্নেছা মুজিবের নামে দুটি পাটের গুদাম ও এক কক্ষ বিশিষ্ট ঘরসহ জমি কেনেন, বাবা মায়ের মৃত্যুর পর শেখ হাসিনা মালিক হলেও জমিটির কথা জানতেন না তিনি, ২০০৭ সালে শেখ হাসিনা তার ব্যক্তিগত আইনজীবীর মাধ্যমে এই জমির খোঁজ পান, পরে পুরনো সেই পাট গুদাম ভেঙ্গে আধুনিক গুদামঘর নির্মাণ করা হয়, নদী তীরবর্তী স্থানে বানানো হয় রেস্ট হাউস, যা শেখ হাসিনার রেস্ট হাউস হিসেবে পরিচিত, গুদাম সংলগ্ন পাকা রাস্তার নামকরণ করা হয় শেখ রাসেলের নামে,২০২৩ সালের জানুয়ারিতে ওই গুদাম দেখতে ব্যক্তিগত সফরে সড়কপথে খুলনায় এসেছিলেন শেখ হাসিনা,১ একর ৪৪ শতক (৪ বিঘা) জমিতে নির্মাণ করা হয় পাট গোডাউন যা বর্তমানে শেখ হাসিনার গোডাউন নামে পরিচিত, শেখ মুজিব তার জীবদ্দশায় পাটের গুদাম ও এক কক্ষের আধাপাকা ঘর ছিল, সেই জমিতে, এই পাট গুদাম দেখাশোনা করতেন শেখ মুজিবের ছোট ভাই শেখ আবু নাসের,