

মোঃ শাহজাহান বাশার, স্টাফ রিপোর্টার
বিশ্বের অন্যতম প্রভাবশালী ব্যক্তিত্ব ড. মুহাম্মদ ইউনূস। বৈশ্বিক সংকট সমাধানে জীবন উৎসর্গকারী এ মহান ব্যক্তি মানবকল্যাণের দূত হিসেবে পরিচিত। শান্তিতে নোবেলজয়ী এই অর্থনীতিবিদ তাঁর ‘থ্রি জিরো’ তত্ত্বের মাধ্যমে বিশ্বকে দারিদ্র্যমুক্ত, বেকারত্বহীন এবং কার্বন নিরপেক্ষ করার লক্ষ্যে নিরলস কাজ করে যাচ্ছেন।
বাংলাদেশের জন্য এক বিশাল সৌভাগ্য যে, গণ অভ্যুত্থানের পর ছাত্র-জনতার সম্মিলিত আকাঙ্ক্ষার প্রতীক হিসেবে ড. ইউনূস দেশের প্রধান উপদেষ্টার দায়িত্ব গ্রহণ করেছেন। বৈশ্বিক স্বীকৃতি ও সম্মান অর্জনে তাঁর ভূমিকা অসামান্য। ইকোনমিস্ট পত্রিকা বাংলাদেশকে ‘কান্ট্রি অব দ্য ইয়ার’ ঘোষণা করেছে, যা তাঁরই দূরদর্শী নেতৃত্বের ফল। বিশ্বখ্যাত বিজ্ঞান সাময়িকী ‘নেচার’ তাঁকে ‘নেশন বিল্ডার’ হিসেবে স্বীকৃতি দিয়েছে, যা বাংলাদেশের জন্য গৌরবের বিষয়।
ড. ইউনূস শুধু অর্থনীতিবিদ নন, বরং মানবকল্যাণে নিবেদিত এক দূরদর্শী নেতা। ক্ষুদ্রঋণ কার্যক্রম ও সামাজিক ব্যবসার ধারণা বিশ্বজুড়ে প্রশংসিত হয়েছে। নারী ক্ষমতায়ন ও তরুণদের উন্নয়নে তাঁর অবদান অনস্বীকার্য। গ্রামীণ ব্যাংকের মাধ্যমে দরিদ্র জনগোষ্ঠীর ভাগ্যোন্নয়ন ঘটিয়েছেন, যা বিশ্বব্যাপী দারিদ্র্য বিমোচনে অনুকরণীয় মডেল হিসেবে স্বীকৃত।
তাঁর অসংখ্য আন্তর্জাতিক পুরস্কার ও স্বীকৃতির মধ্যে রয়েছে ‘প্রেসিডেন্সিয়াল মেডেল অব ফ্রিডম’, ‘অলিম্পিক লরেল অ্যাওয়ার্ড’, ‘চ্যাম্পিয়ন অব গ্লোবাল চেঞ্জ’ সহ আরও বহু সম্মাননা। ২০২৪ সালে বিশ্বের প্রভাবশালী মুসলিমদের তালিকায় ৫০তম স্থানে জায়গা করে নিয়েছেন তিনি।
অত্যন্ত মেধাবী ও অধ্যবসায়ী এই ব্যক্তিত্ব দারিদ্র্য বিমোচন, নারী উন্নয়ন ও জলবায়ু পরিবর্তন মোকাবিলায় নিরলস কাজ করে যাচ্ছেন। বাংলাদেশ ও বিশ্বের মানুষের জন্য তিনি এক আলোকবর্তিকা। তাঁর নেতৃত্বে বাংলাদেশ নতুন পরিচয়ে বিশ্ব দরবারে স্থান করে নেবে, এমনটাই প্রত্যাশা করছে দেশবাসী।