মার্চ ২৩, ২০২৫
Home » মসজিদ/মন্দিরের নামে খাস পুকুর দলীয় হস্তক্ষেপ 
IMG_20250208_101719

এম,এ,মান্নান, নিয়ামতপুর নওগাঁ প্রতিনিধি

মসজিদ/মন্দির ধর্মীয় প্রতিষ্ঠান যা নিয়ে দলীয় প্রভাব খাটানো নিজ ধর্মের সাথে বেইমানী ছাড়া কিছু নয়।নিজের কিছু সমস্যা হলেও ধর্মীয় প্রতিষ্ঠান গুলোকে সাহায্যের হাত বাড়িয়ে দেয়া দরকার।পক্ষান্তরে দেশে যে প্রক্ষাপট চলছে তাতে দলীয় প্রভাব খাটিয়ে মসজিদ/মন্দিরের নামে যে পুকুর গুলো বরাদ্দ ছিল তা নিজ নামে নেওয়ার জন্য কিছু নেতা ব্যস্ত হয়ে পড়েছে।নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক বলেন আপনারা যে দলেরই নেতাকর্মী হন এ খাস পুকুর গুলো যা মসজিদ/মন্দিরের নামে আছে সেগুলো নিজ নামে নেওয়া থেকে বিরত থাকবেন বলে আশা রাখছি।
এ বিষয়ে নওগাঁ জেলার নিয়ামতপুর উপজেলার শ্রীমন্তপুর ইউনিয়নের বাংলাদেশ জামায়াত ইসলামীর সাধারণ সম্পাদক ও জামায়াত ইসলামী বাংলাদেশ এর মনোনিত চেয়ারম্যান জনাব আলহাজ্ব কাজী শামসুল আলম বলেন আপনারা অনেক কিছু বিষয় আছে সেগুলো নিয়ে রাজনৈতিক স্বার্থ হাসিল করেন কিন্তু আমার নিজ পক্ষ হতে অনুরোধ মসজিদ/মন্দির নিয়ে কলংঙ্কময় রাজনীতি থেকে বিরত থাকেন।ধর্মীয় উপশনালয় গুলো সব সময় অবহেলিত।যদিও এ পৃথিবীর শ্রেষ্ঠতম স্থান বলতে ধর্মীয় উপশানলয়।নিজ বাড়িঘর করছেন বিলাশ বহুল কিন্তু মসজিদ/মন্দিরের উন্নয়নের কথা হলেই মানুষের হাতে টাকা থাকে না।অবাক এ পৃথিবীর মানুষ গুলো।
সরকার কর্তৃক অনেক পুকুর আছে যা মসজিদ/মন্দিরের নামে ডিট করা আছে এতে সরকার কর্তৃক কোন সমস্যা নেই।সরকার যদিও সরাসরি অনুদান না দিলেও সরকারের জানা আছে সরকারি সম্পত্তি কিছু ধর্মীয় প্রতিষ্ঠান ভোগ করে।তাহলে আমাদের বুঝা দরকার সরকার জেনেও ধর্মীয় প্রতিষ্ঠানের কারনে কোন ব্যবস্থা গ্রহন করেন না।মানুষকে বলা হয় সৃষ্টির সেরা জীব।মানুষের মধ্যে বিবেক বুদ্ধি আছে,বিবেক মানুষের সবচেয়ে বড় আদালত।এ বিবেক বুদ্ধি থাকা সত্ত্বেও কেমন করে ধর্মীয় প্রতিষ্ঠানের নামে সম্পতি নিজ নামে সিডিউল করেন।তাই আমি স্থানীয় নেতা-কর্মীর প্রতি বিশেষ অনুরোধ করব আপনারা মসজিদ/মন্দির নিয়ে রাজনীতি থেকে বিরত থাকবেন। সবশেষে নিয়ামতপুর উপজেলার উপজেলা নির্বাহী অফিসার সহ সরকারী সম্পতি (খাস) ইজারা দানকারী যত কর্মকর্তা আছেন আপনারা মসজিদ/মন্দিরের খাস সম্পতি গুলো বিবেচনা করবেন।

Loading

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *