মার্চ ২৩, ২০২৫
Home » ভাঙচুর ও লুটপাট অব্যাহত ধানমন্ডি ৩২ নম্বরে
image - 2025-02-09T124636.260

মোঃ শাহজাহান বাশার, স্টাফ রিপোর্টার

ধানমন্ডি ৩২ নম্বরে বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের বাড়িতে ভাঙচুরের পাশাপাশি লুটপাট অব্যাহত রয়েছে। টানা চতুর্থ দিনের মতো ভাঙচুর চলতে দেখা গেছে সেখানে। এদিনও যে যা পেরেছেন, লুটে নিচ্ছেন। একই এলাকার ৫ নম্বর সড়কের শেখ হাসিনার বাসভবন সুধা সদনে অনেকটাই নীরবতা নেমে এসেছে। তবে এই লুটপাটের মধ্যে দুই বাড়ির কোনোটিতেই পুলিশ কিংবা আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর কোনো সদস্যকে দেখা যায়নি।

গতকাল সকাল থেকে দুপুর পর্যন্ত বঙ্গবন্ধুর বাড়িতে গিয়ে দেখা গেছে, বহু শ্রমজীবী মানুষ সেখানে লুটপাটে অংশ নিয়েছেন। বাড়িটির শেষাংশ শাবল ও হাতুড়ি দিয়ে ভাঙার কাজে ব্যস্ত ছিলেন তারা। বিভিন্ন কক্ষের দেয়াল ভেঙে ইট বের করে নিচ্ছিলেন অনেকে। কেউ আবার বাড়ির বিভিন্ন তলা থেকে রড ও লোহা কাটছেন এক যুবককে দেখা গেল একটি ভ্যানে করে পুড়ে যাওয়া ও ভাঙা একটি গাড়ির অংশবিশেষ নিয়ে যেতে। নিজের নাম-পরিচয় উল্লেখ না করে তিনি জানান, ভাঙাড়ির দোকানে বিক্রি করে যা পাওয়া যাবে, সেটাই তার লাভ।

জিগাতলা এলাকা থেকে আসা আসলাম মিয়া তার দুই ছেলে ও স্ত্রীকে নিয়ে ভাঙার কাজে নেমেছেন। সকাল ৮টায় এসে শুরু করা কাজে দুপুর নাগাদ ২০-২৫ কেজি রড সংগ্রহ করতে পারবেন বলে আশা করছেন, যা ৭০০-৮০০ টাকায় বিক্রি করা যাবে ভবনটির সামনের জায়গায় আবদুল আজিজ ও জসীম উদ্দিন নামে দুই যুবক কাঁঠাল গাছ কাটতে ব্যস্ত ছিলেন। তারা জানান, গাছটি ছোট ছোট টুকরো করে লাকড়ি বানিয়ে বিক্রি করবেন এদিকে, ভাঙাড়ি ব্যবসায়ীরাও এখানে দোকান বসিয়ে বসেছেন। শিকদার আলী নামে এক ব্যবসায়ী জানান, তিনি সকাল সাড়ে ৯টায় এসেছেন এবং দুপুর পর্যন্ত ৫০ কেজির মতো রড ও কিছু ভাঙা টিন, কাচ, প্লাস্টিক কিনেছেন। রডের মানভেদে ৪০-৫০ টাকা কেজি দরে কিনে পরে বেশি দামে বিক্রি করবেন।

লুটপাটের এমন দৃশ্যের মধ্যে বহু উৎসুক মানুষও ভিড় জমিয়েছেন বাড়িটির চারপাশে। মোবাইলে ছবি ও ভিডিও ধারণ করতে দেখা গেছে অনেককে ভূতুড়ে পরিবেশ সুধা সদন ধানমন্ডি ৫ নম্বর সড়কের ৫৪ নম্বর বাড়ি সুধা সদনে এখন অনেকটাই নীরবতা নেমে এসেছে। আশপাশের অ্যাপার্টমেন্টের বাসিন্দারা জানান, আগের তিন দিন সেখানে উৎসুক মানুষের ভিড় ছিল, তবে শনিবার তেমন কেউ আসেননি অল্প কয়েকজন শ্রমজীবী ও ছিন্নমূল মানুষ ধ্বংসস্তূপে পরিণত সুধা সদনের ভেতরে শেষ সময়ের লুটপাটে অংশ নিয়েছেন। তারা পুড়ে যাওয়া কাঠ, টুকরো লোহা ও ধাতব বস্তু সংগ্রহ করে নিয়ে গেছেন।

Loading

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *