

সিনিয়র স্টাফ রিপোর্টার
ঢাকা গেন্ডারিয়া থানার পীরের গলির কাজী এ.বি.এম. সাহালের প্রতারণার শিকার প্রায় অর্ধশত পরিবার। ফ্ল্যাট বন্ধক নিয় বিপাকে পরেছে এ পরিবারবর্গ। শনিবার বিকাল সাড়ে ৪ টায় ১৭নং হোল্ডিং, সাবেক শরাফতগঞ্জ লেন, গেন্ডারিয়ায় পাওনা টাকা ফেরৎ পেতে পথে এসে দাঁড়াতে দেখা মেলে এসকল পরিবারকে।
সাহালের বাসার সামনে অবস্থানরতঃ ভুক্তভোগীরা অভিযোগ করে বলেন, কাজী এ.বি.এম. সাহাল একজন প্রতারক সে তার ৭৫০ বর্গফুট একটি ফ্ল্যাট প্রায় অর্ধশত ব্যক্তির নিকট তথ্য/পরিচয় গোপন করে বন্ধক রেখে কয়েক কোটি টাকা হাতিয়ে নিয়ে পালিয়ে রয়েছে। দির্ঘদিন যাবৎ আমাদেরকে ধোকা দিয়ে, বোকা বানিয়ে প্রতারণা করে আলাদা আলাদা ভাবে প্রত্যেকের কাছে মোট অংকের টাকার বিনিময়ে ফ্ল্যাটি বন্ধক রেখে সেই টাকা নিয়ে উধাও হয়ে পরেছে।
সালমা, শিউলি, আব্দুল আলীম, পিংকি, সফিক, সেক লেয়াকত আলী, আইরিন সুলতানা, মনোয়ারা বেগম, প্রীতি আক্তার, শান্তা ইসলাম, ফিরোজা, ময়না, সাহানাজ, সনিয়া, জয়নাল আবেদীন, সাম্মী, মেহেদী, ফয়সাল, এনি, এনির মা, ফারিয়া, সালেহা, জহুরা, মতিউর রহমান, জেসমি ও রিনাসহ আরোও অনেকেই অভিযোগ করে বলেন, আমরা কেউই কাহাউকে চিনতাম না এবং একে অপরে অপরিচিত বটে। আমাদের প্রত্যেকের সাথে একই নিয়মে প্রতারণা করা হয়েছে। আমাদের কাছে সাহাল তার নিজ নামের ফ্ল্যাটি বন্ধক রেখে মোট অংকের টাকা নিয়ে কর্তক মাস আমাদের সাথে নিয়মিত ভাড়া প্রদান করলেও কয়েক মাস যাবৎ কোন প্রাকার ভাড়া দিচ্ছে না। যার জন্যে অমরা খোজ খবর নেই। পরে জানতে পারি প্রতারক সাহাল অনেকেই সাথেই এহেন প্রতারণা করেছে। আমরা প্রত্যেকেই সাহালের প্রতারণার শিকার আমরা আমাদের কষ্টের টাকা এখানে বিনিয়োগ করে পথে বসেছি। তাই আমরা সরকার ও প্রশাসনের কাছে সহযোগিতা চাই। যাহাতে প্রতারক সাহালকে আইনের আওতায় এনে আমরা আমাদের কষ্টে টাকা ফেরৎ পেতে পারি।
এ বিষয়ে প্রতারক সাহালের সাথে যোগাযোগ করার চেষ্টা করে ব্যাথ হয়ে, সাহালের ফ্ল্যাটে গিয়ে সেখানে তালা বন্ধ দেখতে পাই। সাহালের ভাতিজা এ.বি.এম. মোরাদ বলেন, আমার চাচা প্রত্যকের সাথেই প্রতারণা করেছে। এখন বাসায় অনেক লোকজনই আসে, পাওনা টাকা ফেরৎ চাইতে আমি তাদেরকে তথ্য দিয়ে সহযোগিতার চেষ্টা করছি। আমার চাচা বেশ কিছু দিন আগেই এখন থেকে স্ব-পরিবারে কাউকে কিছু না জানিয়ে কোথায় যেন চলে যান।