

মোঃ শাহজাহান বাশার, স্টাফ রিপোর্টার
সারা দেশে আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর বিশেষ অভিযান “ডেভিল হান্টার” পরিচালিত হয়েছে, যার আওতায় মাত্র ২৪ ঘণ্টায় ১৩০৮ জনকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে। পুলিশের পক্ষ থেকে জানানো হয়েছে যে, এই অভিযানের মূল লক্ষ্য ছিল মাদক, সন্ত্রাস ও অবৈধ কার্যকলাপ রোধ করা। অভিযান প্রসঙ্গে পুলিশের বক্তব্যপুলিশ সদর দফতরের এক মুখপাত্র জানান, “সাম্প্রতিক সময়ে বিভিন্ন অপরাধমূলক কার্যক্রম বৃদ্ধি পাওয়ায়, আমরা দেশব্যাপী এই বিশেষ অভিযান পরিচালনা করেছি। এই অভিযানে আমাদের বাহিনী একযোগে কাজ করেছে এবং বিপুল সংখ্যক অপরাধীকে গ্রেপ্তার করা সম্ভব হয়েছে। গ্রেপ্তারকৃতদের মধ্যে মাদক ব্যবসায়ী, অস্ত্রধারী সন্ত্রাসী এবং বিভিন্ন মামলার পলাতক আসামিরা রয়েছেন। পুলিশ সূত্রে জানা গেছে, অভিযানে বেশ কিছু নিষিদ্ধ অস্ত্র, মাদকদ্রব্য এবং অবৈধ অর্থ উদ্ধার করা হয়েছে।
আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর পদক্ষেপডেভিল হান্টার অভিযানের অংশ হিসেবে রাজধানী ঢাকাসহ বিভিন্ন জেলা ও থানায় রাতভর তল্লাশি অভিযান চালানো হয়। অভিযানে পুলিশ, র্যাব এবং অন্যান্য সংস্থা একসঙ্গে কাজ করেছে। নিরাপত্তা বিশ্লেষকদের মতে, এই ধরনের অভিযান দেশের অপরাধ দমন নীতির ক্ষেত্রে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করতে পারে। জনসাধারণের প্রতিক্রিয়াসাধারণ মানুষ এই অভিযানকে ইতিবাচকভাবে দেখছেন। অনেকেই মনে করেন, এর ফলে অপরাধীরা ভয় পাবে এবং অপরাধ প্রবণতা হ্রাস পাবে। তবে কিছু মানবাধিকার সংগঠন এই ব্যাপারে উদ্বেগ প্রকাশ করেছে এবং অভিযানের সময় কোনো ধরনের মানবাধিকার লঙ্ঘন হয়েছে কিনা, তা খতিয়ে দেখার আহ্বান জানিয়েছে। শেষ কথাআইনশৃঙ্খলা বাহিনীর পক্ষ থেকে জানানো হয়েছে, অপরাধ দমন এবং সমাজে শৃঙ্খলা ফেরানোর লক্ষ্যে এ ধরনের অভিযান ভবিষ্যতেও চালিয়ে যাওয়া হবে। গ্রেপ্তারকৃতদের বিরুদ্ধে আইনানুগ ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে এবং তদন্তের মাধ্যমে তাদের অপরাধ প্রমাণিত হলে দোষীদের যথাযথ শাস্তি নিশ্চিত করা হবে।