মার্চ ২১, ২০২৫
Home » পাইকগাছা পাবলিক লাইব্রেরীতে বইপত্র, পত্রিকা নেই এবং ঠিকমত না খোলার কারনে অচল হতে চলেছে। ফলে পাঠকরা শিক্ষা বঞ্চিত হচ্ছে 
IMG-20250209-WA0000 (2)

এফ,এম,এ রাজ্জাক, পাইকগাছা খুলনা

পাইকগাছা পাবলিক লাইব্রেরীতে বইপত্র, পত্রিকা নেই এবং ঠিকমত না খোলার কারনে অচল হতে চলেছে। ফলে পাঠকরা শিক্ষা বঞ্চিত হচ্ছে। জানাযায় গত ১৮৭২ সালের ২২ এপ্রিল সালে পাবলিক লাইব্রেরিট প্রতিষ্টিত হয়। যার নিচ তলায় পাবলিক লাইব্রেরী ও দোতলায় শিল্প কলা একাডেমি এবং অপর পার্শ্বে যাদুঘর নির্মত হয়। তখন সেখানে কয়েক হাজার বই, ম্যাগাজিন ও নিয়মিত ১৪ টি দৈনিক পত্রিকা নেয়া হত। সকাল বিকাল পাঠক পাঠিকা সেখানে বসে বই পত্র পত্রিকা পড়ে জ্ঞান অর্জন করত।
পরবর্তীতে অযতœ অবহেলায় বইপত্র সংকট চেয়ার টেবিল আসবাবপত্র নষ্ট হয়েছে। দরজা জানলা ভেঙ্গে পরেছে। দেয়ালের পলেস্তার ভেঙ্গে খসে পরছে। সেকারন লাইব্রেরীটি বন্ধ হয়ে যায়। পরবর্তীতে এটি উপজেলা পরিষদ থেকে পাইকগাছা পৌরসভা গ্রহণ করে। এরপর তা অচল অবস্থায় চলছে। যাদু ঘরের জিনিস পত্র অযতেœ অবহেলায় নষ্ট হয়ে গেছে। গত ১০ মাস যাবৎ লাইব্রেরীতে কোন দৈনিক পত্রিকা নেয়া হচ্ছে না। এর আগে নয়টি দৈনিক পত্রিকা সেখানে নেয়া হত।
এএস নিউজ কর্নারের মালিক মোহাম্মাদ আসিক মাহমুদ জানান, তিনি লাইব্রেরীতে নয়টি দৈনিক পত্রিকা দিতেন। এখন আর পত্রিকা দেন না। কারণ যানতে চাইলে তিনি দুঃখ্য করে বলেন গত দু বছরের পেপার বিল ৫৮ হাজার ৫ শত টাকা পাবেন। যা এক বছরেও তিনি পাননি। পৌরসভা কর্তৃপক্ষের কাছে টাকা চাহিলে আজ না কাল বলে কাল ক্ষেপন করছেন। সেকারন অর্থভাবে তার পত্রিকার ব্যবসা লাঠে উঠতে বসেছে। সাপ্তাহিক ছুটি ছাড়া প্রতিদিন সকাল ১০ টা থেকে বেলা ২ টা পর্যন্ত পাবলিক লাইব্রেরী খোলা থাকার কথা থাকলেও সিফাত নামীয় একটি ছেলে লাইব্রেরীয়ান হিসাবে দায়িত্ব পালন করছেন বলে পৌরসভার কর্তৃপক্ষ জানান।
তবে উক্ত সিফাত যথারীতি লাইব্রেরীটি খোলেন না। তার সাথে কথা বল্লে জানাযায়, মাসে ১০ হাজার টাকা বেতন দেন। ঐ বেতনে চলে কিভাবে। লাইব্রেরীর পাঠক রবিউল ইসলাম জানান, অনিয়মের কারনে পৌরসভার একমাত্র পাবলিক লাইব্রেরীটি আজ ধ্বংশের পথে। একই সাথে পেপার বিক্রেতা আশিক মাহমুদের ব্যবসাও শেষ হওয়ার পথে। অথচ পৌর কর্তৃপক্ষের এ ব্যাপারে কোন মাথা ব্যাথা নেই। তাই লাইব্রেরীর পাঠকরা যথা শিঘ্র লাইব্রেরীটি সচলের এবং পেপার বিক্রেতা আশিক মাহমুদ আসন্ন রমজান মাসের আগে তার বকেয়া পত্রিকার বিল পাওয়ার জন্য কর্তৃপক্ষের জরুরী হস্তক্ষেপ কামনা করেছেন।

Loading

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *