

মোঃ শাহজাহান বাশার, স্টাফ রিপোর্টার
ঢাকার শাহবাগ মোড় অবরোধ করে আন্দোলন করা প্রাথমিক বিদ্যালয়ের সুপারিশপ্রাপ্ত শিক্ষকদের ওপর জলকামান নিক্ষেপ ও লাঠিচার্জ করেছে পুলিশ। এ সময় কয়েকটি সাউন্ড গ্রেনেডের শব্দ শোনা যায়। তবে কিছুক্ষণ পর শিক্ষকদের আবার শাহবাগ মোড়ে জড়ো হতে দেখা গেছে সোমবার (১০ ফেব্রুয়ারি) দুপুর ১টা ২০ মিনিটের দিকে শাহবাগ মোড় অবরোধ করেন আন্দোলনকারীরা। পৌনে ২টার দিকে তাদের ছত্রভঙ্গ করে পুলিশ।
প্রত্যক্ষদর্শীদের বরাত দিয়ে জানা যায়, “সুপারিশপ্রাপ্ত সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয় সহকারী শিক্ষকরা তৃতীয় ধাপ (ঢাকা ও চট্টগ্রাম বিভাগ)”-এর ব্যানারে আন্দোলনকারীরা সকাল থেকে শাহবাগে জাতীয় জাদুঘরের সামনে অবস্থান করছিলেন। বেলা ১টার দিকে তারা শাহবাগ মোড় অবরোধ করেন। ১টা ২০ মিনিটের দিকে পুলিশ তাদের ছত্রভঙ্গ করে দেয়।
শাহবাগ অবরোধ ও যান চলাচল বন্ধ
আন্দোলনকারীদের পক্ষ থেকে দেওয়া সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়, ২০২৩ সালের ১৪ জুন তৃতীয় ধাপের বিজ্ঞপ্তি প্রকাশিত হয়। লিখিত পরীক্ষা অনুষ্ঠিত হয় ২০২৪ সালের ২৯ মার্চ। লিখিত পরীক্ষার ফলাফল প্রকাশ করা হয় একই বছরের ২১ এপ্রিল। ১২ জুন ভাইভা সম্পন্ন হয়। আইন মন্ত্রণালয় ও জনপ্রশাসন মন্ত্রণালয়ের অনুমতি নিয়ে ৩১ অক্টোবর ফলাফল প্রকাশিত হয়। এতে ৬,৫৩১ জন চূড়ান্তভাবে সুপারিশপ্রাপ্ত হন তবে সুপারিশপ্রাপ্ত হননি এমন ৩১ জন হাইকোর্টে রিট করেন। এর পরিপ্রেক্ষিতে ৬,৫৩১ জনের নিয়োগ কার্যক্রম ৬ মাসের জন্য স্থগিত করা হয়। পরে ৬ ফেব্রুয়ারি হাইকোর্ট তৃতীয় ধাপে ঢাকা ও চট্টগ্রাম বিভাগে চূড়ান্ত ফলাফলে উত্তীর্ণ ৬,৫৩১ জনের নিয়োগ কার্যক্রম বাতিল করে রায় দেন।
সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে আরও বলা হয়, সুপারিশপ্রাপ্ত হওয়ার পরও যোগদান করতে না পেরে ৬,৫৩১টি পরিবার সামাজিকভাবে হেয়প্রতিপন্ন হচ্ছে। তারা একপ্রকার মানসিক বিপর্যয় ও মানবেতর জীবনযাপন করছে। তাদের প্রশ্ন, “আর কত ধৈর্য ধরতে হবে? এভাবে আর কত দিন মানসিক যন্ত্রণা সহ্য করতে হবে?” তাদের এখন থাকার কথা ছিল নিজ নিজ কর্মস্থলে, অথচ তারা এখন রাস্তায আন্দোলনকারীরা দ্রুত তাদের কাজে যোগদানের দাবি জানিয়েছেন এবং সরকার ও সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষের হস্তক্ষেপ কামনা করেছেন।