

মো: কায়সার উদ্দিন, সিনিয়র স্টাফ রিপোর্টার
শেরপুরে অর্থ আত্নসাতের ৭০ মামলায় সাজাপ্রাপ্তসহ মোট ৯২টি মামলায় গ্রেফতারি পরোয়ানাভুক্ত দুই সহোদর ভাইকে গ্রেফতার করেছে শেরপুর সদর থানা পুলিশ। রোববার (৯ ফেব্রয়ারী) ভোরে রাজধানী ঢাকার রাজউক উত্তরা থেকে তাদেরকে গ্রেফতার করা হয়েছে। একইদিন বিকেলে শেরপুর সদর থানায় এক সংবাদ সম্মেলনে এসব তথ্য জানান, শেরপুরের পুলিশ সুপার মো: আমিনুল ইসলাম। গ্রেফতারকৃত ব্যক্তিরা হচ্ছেন:- শেরপুরের বাবর অ্যান্ড কোম্পানি প্রাইভেট লিমিটেডের ব্যবস্থাপনা পরিচালক কামরুজ্জামান সুজন ও তার ভাই পরিচালক কামরুল হাসান শাহীন। তারা শেরপুর শহরের নারায়ণপুর মহল্লার প্রয়াত ব্যবসায়ী আবুল হাসেমের ছেলে।
পুলিশ ও স্থানীয় সূত্রে জানা যায়, শেরপুরে ব্যাংকসহ স্থানীয় ৭ শতাধিক পাওনাদারের কাছে প্রায় ১০০ কোটি টাকা ঋন রেখে ব্যবসায়ী কামরুজ্জামান সুজন ও তার ভাই কামরুল হাসান শাহীন দীর্ঘদিন ধরে পলাতক ছিল। পাওনাদাররা অর্থ আত্নসাতের অভিযোগে কামরুজ্জামান সুজনের নামে ৮৮টি এবং তার ভাই কামরুল হাসান শাহীনের নামে ৪টি মামলা দায়ের করে। এর মধ্যে কামরুজ্জামান সুজন ৭০টি মামলায় বিভিন্ন মেয়াদে সাজাপাপ্ত হয়েছেন। এছাড়া আরও ১৮টি মামলায় তার নামে গ্রেফতারি পরোয়ানা রয়েছে। আর কামরুল হাসান শাহীনের নামে গ্রেফতারি পরোয়ানা রয়েছে ৪টি মামলায়। জানা যায়, প্রয়াত ব্যবসায়ী আবুল হাসেমের মালিকানায় মোট ৩৬ একর জমির উপর স্থাপিত প্রতিষ্ঠানসমুহের মধ্যে দুইটি অটো ব্রিকফিল্ড, ফিলিং স্টেশন, অটো রাইস মিল, পোল্ট্রিফার্মসহ আরো একাধিক প্রতিষ্ঠান এবং শেরপুর সদর জেলা হাসপাতাল রোডের কাছে প্রায় দেড় একর মূল্যবান জমির উপর তিনতলা বাড়ি রয়েছে। তা সত্বেও তারা পাওনাদারদের অর্থ পরিশোধ করছেন না।
এ ব্যাপারে শেরপুরের পুলিশ সুপার মো: আমিনুল ইসলাম জানান, ভুক্তভোগীদের অভিযোগ এবং আদালতের সাজা ও গ্রেফতারি পরোয়ানামূলে বিষয়টি নিয়ে কাজ শুরু করি। প্রায ৫ মাস পর গোপন সংবাদ ও তথ্য প্রযুক্তির মাধ্যমে পুলিশের একটি টিম রোববার ভোর রাজধানী ঢাকার রাজউক উত্তরা থেকে অর্থ আত্নসাতের মামলায় কামরুজ্জামান সুজন ও তার ভাই কামরুল হাসান শাহীনকে গ্রেফতার করে। সোমবার সকালে তাদেরকে আদালতে সোপর্দ করা হবে।