মার্চ ২১, ২০২৫
Home » সাংবাদিকদের নিরাপত্তা ঝুঁকি ও বিচারহীনতার সংস্কৃতি বন্ধের আহ্বান
Eid - Made with PosterMyWall (2)

মোঃ শাহজাহান বাশার ,স্টাফ রিপোর্টার

বাংলাদেশে গণমাধ্যমের স্বাধীনতা নিশ্চিত করার প্রতিশ্রুতি থাকলেও সাংবাদিকদের নিরাপত্তা এখনো নিশ্চিত হয়নি। অন্তর্বর্তী সরকারের দায়িত্ব গ্রহণের পরও সাংবাদিকদের ওপর একাধিক হামলার ঘটনা ঘটেছে। এই পরিস্থিতি থেকে মুক্তি পেতে সাংবাদিক সমাজ বিচারহীনতার দীর্ঘ সংস্কৃতি বন্ধের আহ্বান জানিয়েছে। সাম্প্রতিক হামলার ঘটনা পর্যবেক্ষকদের মতে, সরকারের পক্ষ থেকে ইতিবাচক বার্তা আসলেও সাংবাদিকদের ওপর হামলা অব্যাহত রয়েছে। ৫ ফেব্রুয়ারি: সুপ্রিমকোর্ট প্রাঙ্গণে হামলার শিকার হন সাংবাদিকরা। ঈশ্বরদীতে শেখ হাসিনাকে হত্যাচেষ্টা মামলার রায়ের পর বিএনপির নেতাকর্মীরা এই হামলা চালায় বলে অভিযোগ রয়েছে। এতে এটিএন নিউজের সিনিয়র রিপোর্টার জাবেদ আখতার গুরুতর আহত হন।

৩ ফেব্রুয়ারি: লক্ষ্মীপুর সদর উপজেলার গণশ্যামপুর এলাকায় সাংবাদিক রফিকুল ইসলামসহ চারজনের ওপর মুখোশধারীরা হামলা চালায় ও গুলি ছোড়ে, তবে তারা প্রাণে রক্ষা পান। ৩১ জানুয়ারি: পূর্বাচলে বানিজ্য মেলার শেষ দিনে যমুনা টেলিভিশনের সাংবাদিক জয়নাল আবেদীন জয়ের ওপর হামলা হয়। তিনি মামলাও দায়ের করেছেন। ৬ ফেব্রুয়ারি: ভোলার লালমোহনে দৈনিক মানবজমিন পত্রিকার সাংবাদিক নাইমুল ইসলাম সন্ত্রাসী হামলার শিকার হয়ে গুরুতর আহত হন। ২ ফেব্রুয়ারি: মাদারীপুরে সংবাদ সংগ্রহের সময় বাংলাদেশ প্রতিদিনের বেলাল রিজভীসহ তিনজন সাংবাদিক নির্যাতনের শিকার হন।

বিচারহীনতার সংস্কৃতি ও সরকারের প্রতিক্রিয়া ঢাকা রিপোর্টার্স ইউনিটির সাবেক নারী বিষয়ক সম্পাদক মাহমুদা ডলি বলেন, “সরকার আশ্বাস দিলেও সাংবাদিকদের ওপর হামলা বন্ধ হচ্ছে না। জাতীয় প্রেসক্লাবের সাবেক সাধারণ সম্পাদক ইলিয়াস খান বলেন, “গণতন্ত্র সঠিকভাবে পরিচালিত হলে সাংবাদিকদের নিরাপত্তাও নিশ্চিত হবে। এ বিষয়ে ঢাকা রিপোর্টার্স ইউনিটির সাধারণ সম্পাদক মাইনুল হাসান সোহেল বলেন, “আমরা সব সরকারের সময়ই সহজ টার্গেটে পরিণত হই। আজ থেকে আর একজন সাংবাদিকও যেন হামলার শিকার না হয়, সরকারের পক্ষ থেকে এমন ঘোষণা আশা করি।”

আন্তর্জাতিক প্রতিবেদন ও উদ্বেগ যুক্তরাষ্ট্রভিত্তিক কমিটি টু প্রটেক্ট জার্নালিস্টস (সিপিজে)-এর ২০২৪ সালের প্রতিবেদনে উল্লেখ করা হয় যে, বাংলাদেশে ৪ জন সাংবাদিক আটক হয়েছেন এবং দেশটি কারাবন্দি সাংবাদিকদের সংখ্যার ভিত্তিতে বিশ্বে ১৪তম স্থানে রয়েছে। এছাড়া “রিপোর্টার্স উইদাউট বর্ডার্স (আরএসএফ)”-এর ২০২৪ সালের প্রতিবেদনে বাংলাদেশকে গণমাধ্যমের স্বাধীনতার ক্ষেত্রে বিশ্বের ১৬৫তম অবস্থানে রাখা হয়েছে, যা দক্ষিণ এশিয়ার দেশগুলোর মধ্যে সবচেয়ে খারাপ অবস্থান। সাংবাদিকদের ওপর চলমান হামলা, নির্যাতন ও হয়রানির ঘটনার দ্রুত তদন্ত এবং দোষীদের দৃষ্টান্তমূলক শাস্তি নিশ্চিত করার দাবি জানিয়েছেন গণমাধ্যমকর্মীরা।

Loading

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *