

দীনেশ চন্দ্র রায়,পাইকগাছা প্রতিনিধি
পাইকগাছার আলোচিত নড়া নদী’র দ্বিতীয় খন্ডের দখল নিয়ে দু’পক্ষ মুখোমুখি। স্থানীয়দের আশঙ্কা দখল নিয়ে যে কোন দু’ পক্ষের মধ্যে সংঘর্ষের ঘটনা ঘটতে পারে। এক পক্ষের অভিযোগের তীর উপজেলা ছাত্রদল সভাপতির দিকে গড়ালেও যদিও তা অস্বীকার করেন তিনি। জানাগেছে, লতার হানি-মুনকিয়া মৌজার নড়া নদী( ২) খন্ডের ৬,২৫ একরের সরকারি জলমহালে মৎস্য ঘের করতে বাংলা ১৪৩১-১৪৩৩ সন পর্যন্ত চুক্তিবদ্ধ হন সোনারতরী মৎস্যজীবী সমিতির সভাপতি হানিরাবাদের বাসিন্দা অমিতাভ মন্ডল। অমিতাভ মন্ডল মৌসুমের শুরুতে মৎস্য চাষের জন্য হানিরাবাদের বাসিন্দা আবু তুহিন হাওলাদার ও মীর রুবেলের সঙ্গে শর্ত সাপেক্ষে পার্টনারশিপে চুক্তিবদ্ধ হয়ে বাঁধবন্ধী করে মৎস্য চাষ শুরু করেন।
মীর রুবেল জানান, চুক্তিবদ্ধ ৬,২৫ সহ স্থানীয় রেকর্ডিয় জমির মালিক বিধান মালীর ৮৬ শতক,সোহরার হোসেনের ৬৬শতক ও তালার এক ইউপি চেয়ারম্যান জাকির হোসেনের ৬৬ শতক এফসি ডিআইভুক্ত পানিউন্নয়ন বোর্ডের ২৭ বিঘা সব মিলিয়ে ৮৬ বিঘার জলমহালে মজুত বাঁধ বন্ধি করে স্থানীয় ৬০/৬৫ জন দরিদ্র মানুষ এক সঙ্গে ঘের করছি। স্থানীয় বিএনপির এ নেতা অভিযোগ করেন জলমহালভুক্ত ১২ বিঘা জমি ডিড নিয়ে প্রতিপক্ষরা শনিবার রাতে উপজেলা ছাত্রদলের সভাপতি দেবেন মন্ডলের নেতৃত্বে বহিরাগতরা শনিবার রাতে বাঁসা দখল করে পুরো জলমহালটির নিয়ন্ত্রনের চেষ্টা করেন। তিনি আরোও জানান, বিষয়টি নিয়ে দলীয় নেতৃবৃন্দকে অবহিত করা হয়েছে।
জানাগেছে পুর্বে স্থানীয় ইউপি সদস্য শওকত হাওলাদার বিশ্ব মেম্বর গংদের নিকট থেকে ডিড নিয়ে ঘের করতেন। পরবর্তীতে জাতিয় সংসদ নির্বাচনের পর জলমহালটি তার হতছাড়া হলে তিনি দিপঙ্কর নামে এক ব্যক্তির কাছে ডিড হস্তান্তর করেন। সর্বশেষ ,দিপঙ্করসহ অন্য জমির মালিকদের কাছ থেকে চুক্তিবদ্ধ হয়ে দেবেন মন্ডল সহ জাহাঙ্গীর, মিঠু গংরা ডিড নিয়ে নিয়ন্ত্রণের চেষ্টা করছেন। প্রতিপক্ষের অভিযোগ সম্বন্ধে উপজেলা ছাত্রদলের সভাপতি দেবেন মন্ডল জানান, আমি কোন জলমহাল দখল চেষ্টার ঘটনায় জড়িত নই। তবে তিনি জানান, প্রতিপক্ষ তুহিন হাওলাদার ও মীর রুবেল গংরা জলমহালের বৈধ কোন মালিক নন।