

বিশেষ প্রতিনিধি
যশোরের বাঘারপাড়া উপজেলার সাবেক উপ-সহকারী সেটেলমেন্ট অফিসার (বর্তমানে অবসরপ্রাপ্ত) এ.বি.এম মফিদুল ইসলামের বিরুদ্ধে দুদকে মামলা হয়েছে। ১ কোটি ৭৫ হাজার ৯৬৫ টাকার সম্পদ অর্জনের তথ্য গোপন এবং ৪৬ লাখ ৬৮ হাজার ৮১৭ টাকার জ্ঞাত আয় বহির্ভূত সম্পদ অর্জনের অভিযোগে মঙ্গলবার উপ-সহকারী পরিচালক চিরঞ্জীব নিয়োগী দুর্নীতি দমন কমিশন (দুদক) সমন্বিত জেলা কার্যালয় যশোরে মামলাটি করেছেন। অভিযুক্ত এ.বি.এম মফিদুল ইসলাম মাগুরা শহরের জেলেপাড়ার মৃত আব্দুল গফুরের ছেলে।
বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন দুদক যশোরের উপ-পরিচালক মো. আল আমিন। মামলায় দুদকের উপ-সহকারী পরিচালক চিরঞ্জীব নিয়োগী উল্লেখ করেছেন, অভিযুক্ত এ.বি.এম মফিদুল ইসলাম ১৯৮৭ সালের ১৭ আগস্ট সাতক্ষীরা সদর উপজেলা সেটেলমেন্ট অফিসে সার্ভেয়ার পদে চাকরিতে যোগদান করেন। এরপর ২০১৯ সালে তিনি উপ-সহকারী পদে পদোন্নতি পেয়ে যশোরের বাঘারপাড়া উপজেলা অফিসে যোগদান করেন। ২০২০ সালের ১৭ নভেম্বর তিনি অবসরকালীন ছুটিতে চলে যান।
পরবর্তীতে তার বিরুদ্ধে দুর্নীতির মাধ্যমে অবৈধ সম্পদ অর্জনের অভিযোগ পাওয়ায় তাকে সম্পদের তথ্য বিবরণী দাখিলের জন্য নোটিশ করা হয়। এর প্রেক্ষিতে তিনি ২০২৩ সালের ২৭ নভেম্বর দুদক যশোর কার্যালয়ে সম্পদের তথ্য বিবরণী দাখিল করেন। তবে দুদকের প্রাথমিক অনুসন্ধানে প্রকাশ পায়, তিনি স্থাবর ও অস্থাবর সম্পদের যে তথ্য প্রদান করেছেন তাতে ১ কোটি ৭৫ হাজার ৯৬৫ টাকার সম্পদ অর্জনের তথ্য গোপন রেখেছেন। এছাড়া তার বিরুদ্ধে ৪৬ লাখ ৬৮ হাজার ৮১৭ টাকার জ্ঞাত আয় বহির্ভূত সম্পদ অর্জনের তথ্য পাওয়া যায়। এ কারণে দুর্নীতি দমন কমিশন আইন-২০০৪ এর ২৬(২) ও ২৭(১) ধারায় তিনি শাস্তিযোগ্য অপরাধ করেছেন।