

বিশেষ প্রতিনিধি
যশোর নগর ও সদর উপজেলা বিএনপির উদ্যোগে ‘রাষ্ট্র মেরামতের ৩১ দফা ও জনসম্পৃক্তি’ শীর্ষক কর্মশালা অনুষ্ঠিত হয়েছে। মঙ্গলবার হোটেল ওরিয়ন ইন্টারন্যাশনাল চত্বরে অনুষ্ঠিত কর্মশালায় প্রধান অতিথির বক্তব্য রাখেন যশোর বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য অধ্যাপক ড. আব্দুল মজিদ। প্রধান অতিথি তার বক্তৃতায় তিনি বলেন, বিএনপি ৩১ দফা বাস্তবায়ন হলে জনগণের রাষ্ট্র জনগণের কাছে ফিরে যাবে। এর মাধ্যম রাষ্ট্র এক শক্তিশালী কাঠামোর ওপর দাঁড়াতে সক্ষম হবে। যদিও বিএনপি রাষ্ট কাঠামো মেরামাতের জন্য ৩১ দফা উপস্থাপন করেছে।
কিন্তু এটি জনগণের পক্ষ থেকে এসেছে। এই ৩১ দফা মূলত শহীদ রাষ্ট্রপতি জিয়াউর রহমানের ১৯ দফা এবং বিএনপি চেয়ারপার্সন সাবেক প্রধানমন্ত্রী বেগম খালেদা জিয়ার ভিশন ২০৩০ এর একটি সম্প্রসারিত কাঠামো। এটি ২০২৩ সালে প্রণীত। এটি সময় এবং দেশের প্রয়োজনে সম্প্রসারিত হতে পারে। রাষ্ট্র কাঠামো মেরামত হলে দেশ কেবল মজুবত হবে না, এর মাধ্যমে দেশ এবং জনগণ উপকৃত হবে। কর্মশালায় প্রধান আলোচক ছিলেন বিএনপির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যানের উপদেষ্টা কাউন্সিলের সদস্য ড. মাহাদী আমিন। এ সময় তিনি বলেন, বিগত ১৬ বছর রাষ্ট্র কাঠামো প্রতিনিয়ত জনগণের অধিকার হরণ করে ফ্যাসিবাদী শক্তির দোসর হিসেবে কাজ করেছে। দেশে যখন গণতান্ত্রিক সরকার থাকে তখন সেই সরকারের ক্ষমতার উৎস থাকে দেশের জনগণ।
যাদের ক্ষমতার উৎস থাকে জনগণ তারা রাষ্ট্রের প্রতিটা কাঠামো এমনভাবে গড়ে তোলে যেন তারা জনগণের সেবা প্রদান করে। অর্থাৎ একটি দেশে যখন গণতান্ত্রিক ব্যবস্থা থাকে তখন রাষ্ট্র কাঠামোর মূল উদ্দেশ্যে থাকে জনগণের সকল অধিকার এবং স্বাধীনতা নিশ্চিতের পাশাপাশি তাদের কল্যাণ হয় এমন কাজ করা। আর যখন এমন সরকার ক্ষমতায় থাকে যাদের ভোটের প্রয়োজন হয় না। তখন তারা রাষ্ট্র কাঠামোটাকে ব্যবহার করে জনগণের সকল অধিকার কেড়ে নেয়। একটি স্বৈরতান্ত্রিক ব্যবস্থায় যখন ফ্যাসিবাদ মাথা চাড়া দিয়ে ওঠে তখন জনগণের ট্যাক্সের টাকায় চলা এবং বেতন পাওয়া এই রাষ্ট্র কাঠামোগুলোর মুল দায়িত্ব হয়ে যায় জনগণের আকাঙ্খার বিপরীতে সেই অনির্বাচিত সরকারকে সেবা করা।
এটা গণতান্ত্রিক এবং অগণতান্ত্রিক কিংবা স্বৈরতান্ত্রিক সরকারের মধ্যে পার্থক্য। যখন জনগণের ভোটের প্রয়োজন হয় তখন রাষ্ট্র কাঠামো এমনভাবে পরিচালিত হয় যাতে জনগণের সকল সমস্যার সমাধান এবং তাদের কষ্ট লাঘব হয়। আর যখন জনগণের ভোটের প্রয়োজন হয় না তখন ক্ষমতা ধরে রাখার খুটি হয় রাষ্ট্রীয় প্রতিষ্ঠান গুলো। তখন রাষ্ট্র কাঠামো গুলো জনগণের পাশে তো থাকেই না। বিএনপির জাতীয় নির্বাহী কমিটির ভারপ্রাপ্ত সাংগঠনিক সম্পাদক (খুলনা বিভাগ) অনিন্দ্য ইসলাম অমিত, জেলা বিএনপির আহ্বায়ক অধ্যাপক নার্গিস বেগম কর্মশালায় বিশেষ অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন। নগর বিএনপির সভাপতি রফিকুল ইসলাম চৌধুরী মুল্লুক চাঁদের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠিত কর্মশালায় বক্তব্য রাখেন, জেলা বিএনপির সদস্য সচিব অ্যাড. সৈয়দ সাবেরুল হক সাবু, সদর
উপজেলা বিএনপির সাধারণ সম্পাদক আঞ্জুরুল হক খোকন প্রমুখ। কর্মশালা পরিচালনা করেন নগর বিএনপির সাংগঠনিক সম্পাদক মনিরুজ্জামান মাসুম। কর্মশালায় উপস্থিত ছিলেন, জেলা বিএনপির যুগ্ম-আহ্বায়ক দেলোয়ার হোসেন খোকন, সদস্য গোলাম রেজা দুলু, মিজানুর রহমান খাঁন, অ্যাড. জাফর সাদিক, অ্যাড. ইসহক, মুনির আহমেদ সিদ্দিকী বাচ্চু, কাজী আজম, সিরাজুল ইসলাম, দৈনিক লোকসমাজ পত্রিকার প্রকাশক শান্তনু ইসলাম সুমিত, নগর বিএনপির সাধারণ সম্পাদক এহসানুল হক সেতু, সদর উপজেলা বিএনপির সাংগঠনিক সম্পাদক আব্দুর রাজ্জাক, আশরাফুজ্জামান মিঠু প্রমুখ।