

বিশেষ প্রতিবেদক
২০২৪ সালের ৫ আগস্ট সকালেও তিনি ছিলেন ঝিনাইদহ জেলার মহেশপুর পৌরসভার আওয়ামীলীগ নেতা মেয়র রশিদ খানের অতি আস্থাভাজন। বিভিন্ন গ্রামের বিএনপি যুবদল ছাত্রদলের নেতা কর্মীকে তিনি থানার পুলিশ দিয়ে মামলা হামলার সাজানো মামলায় আসামি করতেন। এখন তিনি মহেশপুর উপজেলার গ্রামে গ্রামে বিএনপি ভাঙার মিশন হাতে নিয়ে তা বাস্তবানের অপচেষ্টা করছেন। তার গায়ে থাকতো মুজিব কোর্ট। থানায় করতেন দালালি। সাত সকাল থেকেই তাকে দেখা যেত মহেশপুর থানায় বা থানার সামনে। সাথে থাকতো মহেশপুরের বিভিন্ন পর্যায়ের ভারিক্কি আওয়ামীলীগ নেতারা। মনে হোত মহেশপুরে তার থেকে তাগী আওয়ামীলীগ নেতা বা কর্মী দ্বিতীয়টি আর নেই।
জানা গেছে, ভন্ড ডাক্তার লন্টু মেয়র রশিদ খানের লোক এটি প্রচার ছিল থানা ডিঙিয়ে চৌগাছা পর্যন্ত। বহু বিএনপি নেতা কর্মী এবং নিরীহ সাধারণ গ্রামবাসীকে তিনি বিভিন্ন নাশকতা মামলায় আসামী বানিয়েছেন। সেসব মামলা গুলো এখনো ভুক্তভুগিদের টেনে বেড়াতে হচ্ছে। যশোরের চৌগাছা ও ঝিনাইদহ জেলার মহেশপুর উপজেলার আওয়ামীলীগ পন্থী কথিত সেই ভন্ড ডাক্তার নাসিম রেজা লন্টু কে ক্ষিপ্ত গ্রামবাসী মারধোর করেছে লুশ্চামী করে হাতে নাতে ধরা পড়ায়। ৩১ জানুয়ারি শুক্রবার সকাল ১১ টার দিকে যখন ধর্মপ্রাণ মুসলিমরা জুম্মার নামাজের প্রস্তুতি নিচ্ছিলো ঠিক সেই সময় ওই ভন্ড ডাক্তার বাবুল ময়রার বৌ নিয়ে সাহাবাজার বাড়ি ফুর্তি করছিলো। গ্রামবাসি তাকে হাতে নাতে ধরে কিঞ্চিৎ উত্তম মধ্যম দেয়। অতিষ্ট ও জর্জরিত নিরীহ গ্রামবাসী এই ভন্ড গ্রাম্য ডাক্তারের আটকে প্রশাসনের হস্তক্ষেপ দাবি করেছে ন।
শুক্রবার ৩১ জানুয়ারি সকাল ১১ টায় মান্দারতলা ব্রাক অফিসের সামনে সাহাবাজের বাড়ি সাধারণ জনগন হাতে নাতে আপত্তিকর অবস্থায় ধরা পড়ে। হাল্কা মারধোর করে। এরপর গ্রামের মোড়ল মতুব্বররা তাকে জনরোষ থেকে বাঁচিয়ে দেয় অর্থাৎ ছেড়ে দেয়। কিন্ত শুধরাতে পারেনি ভন্ড ডাক্তার লন্টু। মান্দারতলা ওয়ার্ড বিএনপির এক নেতা জানান, লন্টুর বোন স্বপ্না সারাক্ষন মেয়র রশিদ খানের সাথে থাকতো। তাদের মধ্যে কি সম্পর্ক ছিল বা তা বৈধ না অবৈধ ছিল তা নিয়ে নানান মুখরোচক কথা বার্তা ছড়িয়ে আছে বিভিন্ন স্থানে। এখন রশিদ খান আত্মগোপনে। এখন স্থানীয় কথিত বিএনপি নেতা সাহাবাজ এই গ্রাম্য ভন্ড ডাক্তার কে সেল্টার দেয় বলে জোর অভিযোগ রয়েছে।
মান্দারতলা গ্রামবাসী জানান, এই ভন্ড ডাক্তার নাসিম রেজা লন্টু এর আগে আওয়ামীলীগ নেতা সেজে এবং মুজিব কোটি পরে থানায় দালালি করতো। এই লন্টু মান্দারতলা গ্রামের পশ্চিমপাড়ার আবদার মুন্সীর ছেলে। লুশ্চামি ছাড়াও আদম পাচারে সে জড়িত। বহু নিরীহ মানুষকে বিদেশে পাঠানোর নামে সে নিঃস্ব করে পথের ফকির বানিয়েছে। এবার তার মিশন বিএনপিকে মহেশপুর থানায় ভেঙে টুকরো করা। এর প্রথম পদক্ষেপ হিসাবে সে নিরীহ অনেক গ্রামবাসী ও তাকে লুশ্চামী অবস্থায় যারা আটকস্থলে ছিল বিএনপি করে এবং যারা ছিল না সেই সব বিএনপি নেতাকে মিথ্যা মামলায় আসামি করা।