মার্চ ১৬, ২০২৫
Home » কালিহাতীতে টেক্সটাইল ইঞ্জিনিয়ারিং কলেজ শিক্ষার্থীদের মানববন্ধন
IMG-20250213-WA0008

শুভ্র মজুমদার, কালিহাতী টাঙ্গাইল প্রতিনিধি

টাঙ্গাইলের কালিহাতী উপজেলার বাগুটিয়াতে অবস্থিত টেক্সটাইল ইঞ্জিনিয়ারিং কলেজের শিক্ষার্থীরা একটি শান্তিপূর্ণ মানববন্ধন কর্মসূচি পালন করেছেন। শিক্ষার্থীরা কলেজের নাম পরিবর্তন করে বাংলাদেশ টেক্সটাইল ইঞ্জিনিয়ারিং কলেজ (বিটেক)” করার দাবি তুলেছেন। এছাড়াও, তারা কলেজের বিভিন্ন প্রশাসনিক ও শিক্ষাগত সমস্যার দ্রুত সমাধান চেয়েছেন। সগত ১৩ ফেব্রুয়ারি (বৃহস্প তিবার) দুপুরে শিক্ষার্থীরা কলেজ চত্বর থেকে মূল ফটকের সামনে এই মানববন্ধন অনুষ্ঠান আয়োজন করেন। এতে শতাধিক শিক্ষার্থী অংশগ্রহণ করেন। তারা ব্যানার  হাতে নিয়ে বিভিন্ন স্লোগান দেন এবং বিশ্ববিদ্যালয় কর্তৃপক্ষের দৃষ্টি আকর্ষণের চেষ্টা করেন।
মানববন্ধনে অংশগ্রহণকারী শিক্ষার্থীদের মধ্যে বক্তব্য রাখেন ১৩ ব্যাচের শিক্ষার্থী ইলিয়াস হোসাইন, নাহিদ পারভেজ লেলিন, মনিরুজ্জামান মনির, তারিকুল ইসলাম প্রমুখ। কলেজের ছাত্র মতিন বলেন, ৭৭আমাদের দীর্ঘদিনের দাবি নিয়ে কর্তৃপক্ষ কোনো কার্যকর ব্যবস্থা নিচ্ছে না। আমরা চাই দ্রুত এ সমস্যাগুলোর সমাধান হোক। শিক্ষার্থীদের অভিযোগ, প্রতিষ্ঠানটিতে অবকাঠামোগত সংকট, শিক্ষক সংকট, কর্মকর্তা ও কর্মচারী সংকট, পর্যাপ্ত শ্রেণিকক্ষ ও ল্যাবের অভাব, ক্যাম্পাস নিরাপত্তা সমস্যা এবং খেলাধুলার মাঠের সংকটসহ নানা সমস্যা বিদ্যমান। তারা আরও অভিযোগ করেন, এসব সমস্যার সমাধান না করেই ক্যাম্পাসে দ্বিতীয় শিফট চালুর পরিকল্পনা নেওয়া হয়েছে, যা শিক্ষার মানের আরও অবনতি ঘটাবে। ক্যাম্পাসে ২য় শিফট চালুর বিষয়ে সরকারের গৃহীত সিধান্ত বাতিল এবং টেক্সটাইল ইঞ্জিনিয়ারিং কলেজ, কালিহাতী টাঙ্গাইল নামে ২য় শিফট চালু করে শিক্ষা কার্যক্রম পরিচালনা না করার জন্য কর্তৃপক্ষের নিকট জোর দাবি জানিয়েছেন শিক্ষার্থীরা।
এদিকে, নরসিংদী টেক্সটাইল কলেজের চলমান সংকটের প্রেক্ষিতে গত ১০ ফেব্রুয়ারি বস্ত্র ও পাট মন্ত্রণালয় একটি স্মারক জারি করে। স্মারকে উল্লেখ করা হয়, নরসিংদী টেক্সটাইল ইঞ্জিনিয়ারিং কলেজের বর্তমান অধ্যয়নরত শিক্ষার্থীদের শিক্ষা কার্যক্রম বস্ত্র অধিদপ্তরের আওতাধীন কালিহাতী টেক্সটাইল ইঞ্জিনিয়ারিং কলেজের দ্বিতীয় শিফট চালুর মাধ্যমে পুনঃভর্তি করে শিক্ষা কার্যক্রম সম্পন্ন করা হবে। তবে, টাঙ্গাইলের কালিহাতী টেক্সটাইল ইঞ্জিনিয়ারিং কলেজের প্রধান স্টেক হোল্ডার হিসেবে শিক্ষার্থীরা এই সিদ্ধান্তকে কঠোরভাবে প্রত্যাখ্যান করেছেন। এ বিষয়ে কলেজের অধ্যক্ষ আব্দুল কাদের ব্যাপারীর সঙ্গে ফোনে যোগাযোগ করার চেষ্টা করা হলে তিনি ফোন রিসিভ করেননি। শিক্ষার্থীরা প্রশাসনের দ্রুত হস্তক্ষেপ কামনা করছেন, যাতে তারা উন্নত শিক্ষা পরিবেশে ফিরতে পারেন।

Loading

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *