মে ১৬, ২০২৫
Home » পাইকগাছার আলোচিত নড়া নদীর দখল নিয়ে দু’পক্ষের মধ্যে সংঘর্ষে প্রাণহানীর আশঙ্কা
গগগ

এফ,এম,এ রাজ্জাক, পাইকগাছা খুলনা

পাইকগাছার আলোচিত নড়া নদী’র ( জলমহাল-২) দখল নিয়ে দু’পক্ষ মুখোমুখি অবস্থানে। স্থানীয়দের আশঙ্কা দখল নিয়ে যে কোন মুহুর্তে সংঘর্ষের ঘটনা ঘটতে পারে। অভিযোগের তীর উপজেলা ছাত্রদল সভাপতি দিকে। সরেজমিনে পৌছে জানাগেছে, লতা ইউনিয়নের আলোচিত নাড়া নদী দ্বিতীয় পার্টের ভাগ্য এরকম, যখন যে দল ক্ষমতায় আসে বা এমপি নির্বাচিত হয় তখন সেই দল বা এমপি’র অনুসারীরা কোন না কোন ভাবে ভোগ দখল করেন।
জানাগেছে, লতার হানি-মুনকিয়া মৌজার নড়া নদীর দ্বিতীয় খন্ডের ৮৬ বিঘার জলমহালের দখল নিয়ে দু’পক্ষের মধ্যে বিরোধ এখন তুঙ্গে। এ নিয়ে সংঘর্ষের সম্ভাবনা দেখা দিয়েছে। সুত্র জানান জলমহালের ৬,২৫ একরের সরকারি জলাশয় মৎস্য ঘের করতে বাংলা ১৪৩১-১৪৩৩ সন পর্যন্ত চুক্তিবদ্ধ হন সোনারতরী মৎস্যজীবী সমিতির সভাপতি অমিতাভ মন্ডল। হানির অমিতাভ মন্ডল মৌসুমের শুরুতে মৎস্য চাষের জন্য স্থানীয় বিএনপি সমর্থীত আবু তুহিন হাওলাদার ও মীর রুবেলের সঙ্গে শর্ত সাপেক্ষে পার্টনারশিপের চুক্তিতে মজুত বাঁধ দিয়ে মৎস্য চাষ শুরু করেন।
মীর রুবেল জানান, চুক্তিবদ্ধ ৬,২৫ সহ স্থানীয় রেকর্ডিয় জমির মালিক বিধান মালীর ৮৬ শতক,সোহরার হোসেনের ৬৬শতক ও তালার এক ইউপি চেয়ারম্যান জাকির হোসেনের ৬৬ শতক এফসি ডিআইভুক্ত পানিউন্নয়ন বোর্ডের ২৭ বিঘা সব মিলিয়ে ৮৬ বিঘার জলমহালে মজুত বাঁধ বন্ধি করে স্থানীয় আরোও ৬০/৬৫ জন দরিদ্র মানুষ এক সঙ্গে ঘের করছি। তিনি অভিযোগ করেন, জলম হালের ১২ বিঘা জমি ডিড নিয়ে প্রতিপক্ষরা গতরাতে ছাত্রদল সভাপতি সরোজিৎ ঘোষ দেবেনের নেতৃত্বে বহিরাগতরা গতরাতে বাঁসা দখল করে পুরো জলমহালটির নিয়ন্ত্রনের চেষ্টা করেন। আরোও  জানান, বিষয়টি নিয়ে দলীয় নেতৃবৃন্দকে অবহিত করা হয়েছে।
পুর্বে এ জলমহালটি স্থানীয় ইউপি সদস্য সাবেক এমপি বাবু ঘনিষ্ট শওকত হাওলাদার বিশ্ব মেম্বর গংদের নিকট থেকে ডিড নিয়ে ঘের করতেন। পরবর্তীতে গত সংসদ নির্বাচনের পর জলমহালটি অন্যপক্ষ দখল নিলে তিনি দিপঙ্কর নামে এক ব্যক্তির কাছে ডিড হস্তান্তর করেন। সর্বশেষ দিপঙ্করসহ অন্য জমির মালিকদের কাছ থেকে চুক্তিবদ্ধ হয়ে সরজিৎ ঘোষ দেবেন সহ জাহাঙ্গীর, মিঠু গংরা ডিড নিয়ে নিয়ন্ত্রণের চেষ্টা করছেন। প্রতিপক্ষের অভিযোগ উপজেলা ছাত্রদল সভাপতি সরোজিৎ ঘোষ দেবেন জানান, আমি কোন জলমহাল দখল চেষ্টার ঘটনায় কোন ক্রমে জড়িত না। তবে তিনি পাল্টা অভিযোগ করেন, প্রতিপক্ষ তুহিন হাওলাদার ও মীর রুবেল গংরা জলমহালের বৈধ কোন মালিক নন।

Loading

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *