

মোঃ আলাউদ্দিন
বন একটি দেশের মূল্যবান সম্পদ আর্থ-সামাজিক উন্নয়ন ও পরিবেশগত ভারসাম্য রক্ষায় বনের গুরুত্ব অপরিসীম। প্রাকৃতিক ভারসাম্য রক্ষায় একটি দেশের মোট আয়তনের তুলনায় বনভূমির পরি মাণ শতকরা ২৫ ভাগ হওয়া অপরিহার্য। কিন্তু সরকারি হিসাব মতে বাংলাদেশে বনভূমির পরিমাণ মাত্র ১৭ শতাংশ। ইউনেসকোর তথ্য মতে, বর্তমানে বাংলাদেশে বনভূমির পরিমাণ শুধু ১০ শতাং শ। আর পুরো বিশ্বে মোট বনভূমির পরিমাণ স্থলভাগের ৩১ শতাংশ। মূলত বনজ সম্পদের জন্যই বন খুবই গুরুত্বপূর্ণ। এই সম্পদ সংরক্ষণ ও ব্যবস্থাপনার জন্য যে আইন বা বিধি পাস করা হয়, তাকে বন আইন বলে। অর্থাৎ কোনো অঞ্চলে নতুন বনাঞ্চল সৃষ্টি বা সরকারি বনাঞ্চল থেকে গাছ কাটা, অপসারণ, পরিবহন ইত্যাদি বিষয়ে সুনির্দিষ্ট আইন বা বিধান রয়েছে। এসব আইন বা বিধানই হলো বন বিধি বা বন আইন। ১৯২৭ সালে ব্রিটিশ আমলে বন সংরক্ষণ আইন করা হয়, যা ‘বন আইন-১৯২৭’ নামে পরিচিত।
পরবর্তী সময়ে বাংলাদেশ সরকার ১৯৯০ সালে এ আইনের বিভিন্ন সংশোধনী আনয়ন করে, যা ‘বন আইন-১৯৯০’ নামে পরিচিত। এ আইনের পর অবৈধ বন ধ্বংসের প্রবণতা কমে বটে; কিন্তু পুরোপুরি রোধ করা সম্ভব হয় না। সুতরাং ১৯৯০ সালের এ আইনকে সময় উপযোগী করার প্রয়োজনীয়তা দেখা দেয়। ফলে ১৯৯৬ সালে এ আইনের আরো কিছু সংশোধনী আনা হয়। সর্বশেষ সংশোধনী আনা হয় ২০১০ সালে। এ আইন বলে বনজ সম্পদ সংরক্ষণের জন্য কিছু বিধি-নিষেধ আরোপ করা হয়। যেমন—বন আইনের অধীনে বনভূমির ওপর সব অধিকার ও দাবি সংরক্ষণের সময় নিষ্পত্তি করা হয়; এই আইনে যেকোনো ব্যক্তি অথবা গোষ্ঠীকে কোনো ধরনের নতুন অধিকার প্রদান নিষিদ্ধ করা হয়; বন বিভাগের অনুমতি ব্যতীত সংরক্ষিত বনের অভ্যন্তরে যেকোনো কর্মকাণ্ড, যেমন—অনুমতি ব্যতীত বনাঞ্চলে প্রবেশ, বনভূমি থেকে গাছপালা ও অন্যান্য বনজ সম্পদ আহরণ, বনভূমিতে ঘরবাড়ি বানানো ও চাষাবাদ করে বনাঞ্চলের ক্ষতিসাধন করা, বনাঞ্চলে গবাদি পশু চরানো
বনের গাছ কাটা, অপসারণ ও পরিবহন, বনে আগুন জ্বালানো, আগুন রাখা বা বহন, বনে শিকার ও মাছ ধরা, পানি বিষাক্ত করা অথবা বনে ফাঁদ পাতাসহ বন কর্মকর্তা বা রক্ষণাবেক্ষণে নিয়োজিত ব্যক্তির কাজে বাধা প্রদান ইত্যাদি নিষিদ্ধ করা হয়। এগুলোর বেশির ভাগ আইনের লঙ্ঘনই আদালতে মামলাযোগ্য অপরাধ। বন বিধি বলে বন আইন লঙ্ঘনের জন্য বিভিন্ন ধরনের শাস্তির বিধান রয়েছে। বন আইন ভঙ্গের জন্য ন্যূনতম ছয় মাসের জেলসহ পাঁচ হাজার টাকা জরিমানা এবং সর্বোচ্চ পাঁচ বছরের জেলসহ পঞ্চাশ হাজার টাকা জরিমানার বিধান রয়েছে। এসব অপরাধের বিচার প্রথম শ্রেণির ম্যাজিস্ট্রেট আদালতে হয়ে থাকে। অতএব, বন বিধি সম্পর্কে জনসচেতনতা বৃদ্ধি করতে হবে। বন সংরক্ষণ ও বন্য প্রাণী সংরক্ষণ বিধি বাস্তবায়িত হলে সুফল পাওয়া যাবে।
আমাদের দৈনিক মানবঅধিকার সম্পর্কিত খবর টাঙ্গাইলে লালন স্মরণোৎসব বন্ধ
টাঙ্গাইলে লালন স্মরণোৎসব বন্ধ চার কোটি টাকার সোনাসহ যাত্রী গ্রেপ্তার কিছু তোতাপাখি ১০০ বছর পর্যন্ত বাঁচতে পারে তোতাপাখি সবুজ রঙের একজোড়া তোতাপাখি। তোতাপাখি, নামটি শুনলেই চোখের সামনে ভেসে ওঠে উজ্জ্বল রঙের পালকে ঢাকা চঞ্চল এক পাখির ছবি। অনেকটা মানুষের মতো কথা বলে পাখিটি। কেউ লাল, কেউ হলুদ, কেউ সবুজ, আবার কেউ নীল। সত্যিই কি তোতা পাখি মানুষের ভাষায় কথা বলতে পারে? কিভাবে মানুষের মতো শব্দ করে? আসলে তোতাপাখিরা আমাদের ভাষা শেখে না, এরা শুধু আওয়াজ অনুকরণ করে। তোতাপাখির মস্তিষ্কে প্যালিয়াম নামে এক ধরনের নিউরাল কাঠামো আছে, যা মানুষের মস্তিষ্কের নিওকোর্টেক্সের মতো।
এটি ভাষা শেখা, সমাধান খোঁজা ও স্মৃতিশক্তি বৃদ্ধিতে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রাখে। এদের মস্তিষ্কের বিশেষ গঠনের কারণে শব্দের কম্পন অনুকরণ করতে পারে। তাই যখন আমরা কিছু বলি, এরা সেটা শুনে একই রকম আওয়াজ করার চেষ্টা করে, যা শুনতে মানুষের কথার মতো লাগে। মজার ব্যাপার হলো, কিছু তোতাপাখি শুধু নকল করেই থেমে থাকে না, এরা কিছু শব্দের অর্থও বুঝতে পারে। অ্যালেক্স নামের বিখ্যাত আফ্রিকান তোতাপাখি ১৫০টিরও বেশি শব্দ রপ্ত করে ফেলেছিল শুধু দেখতে সুন্দরই নয়, এরা অসাধারণ বুদ্ধিমান ও আবেগপ্রবণও বটে। একে অন্যের সঙ্গে যোগাযোগের জন্য জটিল ধরনের স্বরধ্বনি ব্যবহার করে, যা মানুষের কাছ থেকেই আয়ত্ত করা। বিশ্বে তোতাপাখির ৪০০টির মতো প্রজাতি আছে। লামা উপজেলার মধ্যে চলছে বন ধ্বংসের মহা উৎসব নেই কোনো পদেক্ষপ।