

রাজু আহমেদ,স্টাফ রিপোর্টার
শ্যামনগর উপজেলার ঈশ্বরীপুর ইউনিয়নে অন্তাখালী গ্রামে অবস্থিত জামিয়া ইসলামিয়া রসিদিয়া হোসাইনাবাদ মাদ্রাসায় কথিত পীর মোঃ মিজানুর রহমান এর ইসলাম বিরোধী কর্মকান্ডের প্রতিবাদে খানকা অভিমুখে লংমার্চ করেছেন উপজেলার ওলামা-মাসায়েখ ও স্থানীয় জনগন। সরজমিনে গিয়ে দেখা গেছে মাদ্রাসায় প্রায় ৪০ জন ছাত্র পড়াশোনা করে যাদের অধিকাংশ ঢাকা, টাঙ্গাইল, নরসিংদী, কুমিল্লা এলাকার। পীর মিজানুর রহমান ছাড়া সকল শিক্ষকরাও বাইরের বিভাগের।
কথিত পীর মিজানুর রহমান এর আপন ভাই জি এম আঃ মান্নান বারী জানান পারিবারিক ভাবে শুরুতে আমরা মাদ্রাসা প্রতিষ্ঠা করি এবং জমি দান করি, মিজান কে মাদ্রাসা পরিচালনার দ্বায়িত্ব দেই কিন্তু তিনি সেখানে নিজেকে পীর দাবি করে ইসলাম বিরোধী কর্মকান্ড চালাচ্ছে। কুফরি মতবাদ চালু করেছে। মিজানুর এর আপন ভাতিজা পল্লীচিকিৎক আঃ রহমান বলেন আমার চাচা সরাসরি আল্লা হর সাথে কথা বলেন বলে দাবি করে থাকেন। তার বিরুদ্ধে জমি দখল, হত্যা মামলা সহ নানাবিধ অভিযোগ আছে। ফ্যাসিস্ট সরকারের আমলে প্রভাব খাটিয়ে এলাকায় নানা অপকর্ম করেছেন।মাদ্রা সায় সামনের একজন চা-দোকানি মোঃ সবুজ বলেন মিজান ও তার ছোট ছেলে ইউসুফ সরাসরি আল্লাহর সাথে কথা বলে এমন দাবি করে ধর্মভীরু মানুষকে ধোঁকা দেন।
সম্প্রতি মিজান মাদ্রাসা দখল হবে এমন অভিযোগ এনে মুফতি আঃ খালেক সহ বিভিন্ন ওলামা ও স্থানীয় ১৬ জনের নামে ১৪৫ ধারায় মিথ্যা মামলা করেছেন বলে লংমার্চের বক্তারা দাবি করেন। অবিলম্বে মিজান কে মাদ্রাসা থেকে অপসারণ ও ইসলাম বিরোধী কর্মকান্ড বন্ধে আল্টিমেটাম দিয়েছে লংমার্চ থেকে হাফেজ মোখলেসুর রহমান সহ সব বক্তারা।পরিস্থিতি স্বাভাবিক করতে সেখানে পুলিশ ও সেনাবাহিনী উপস্থিত ছিলেন এবং পুলিশের পক্ষ থেকে ওসি বিষয়টির তথ্যপ্রমাণ সহ লিখিত অভিযোগ পেলে ব্যবস্থা নিবেন বলে আস্বস্ত করেছেন।