

মোঃওয়াজ কুরনী,দিনাজপুর হিলি প্রতিনিধি
রমজান উপলক্ষে দিনাজপুরের হিলি স্থলবন্দরে কিচমিচ, ছোলাবুটসহ বিভিন্ন জাতের ডালের আমদানি বেড়েছে। দেশের বাজারে এসব নিত্যপণ্যের দাম স্বাভাবিক রাখতে আমদানি করছেন ব্যবসায়ী রা। তবে গত বছরের তুলনায় এবার দাম কিছুটা বেশি বলছেন পণ্য কিনতে আসা পাইকাররা। অন্যদিকে পণ্যগুলো খালাস করতে সব ধরনের সহযোগিতা করছে হিলি কাস্টমস। মঙ্গলবার (১৮ ফেব্রু য়ারি) দুপুরে হিলি বন্দর ঘুরে জানা যায়, রমজান মাসকে সামনে রেখে এ বন্দর দিয়ে ব্যবসায়ীরা প্রয়োজনীয় পণ্যের আমদানি বাড়িয়েছেন। কিছুদিন আগে ছোলা, খেসারি, মসুর, মুগডাল প্রতিমাসে ২/৪ ট্রাক আমদানি হলেও বর্তমানে প্রতিদিনই আমদানি হচ্ছে এসব পণ্য। দেশের বিভিন্ন জায়গা থেকে পাইকাররা হিলিতে এসে ডাল, ছোলা, কিচমিচ কিনে নিয়ে যাচ্ছেন। বর্তমানে এ বন্দরে পাইকারি বিক্রি হচ্ছে ছোলাবুট ৯৫ থেকে ১০০ টাকা, খেসারির ডাল ১০০ থেকে ১০২ টাকা, মুগডাল ১১০ টাকা ও মশুরডাল ১২৮-১৩০ কেজি দরে।
দেশের বিভিন্ন স্থান থেকে এ বন্দরে পণ্য কিনতে আসা পাইকাররা বলেন, গত বছরের তুলনায় এ বছর একটু দাম বেশি। এজন্য দেশের বিভিন্ন স্থানে পণ্য বিক্রি করতে একটু সমস্যা হচ্ছে। তবে আমদানি অব্যাহত থাকায় খুচরা বাজারে কিছুটা দাম কমেছে। রমজান মাস সংযমের মাস। এ মাসে নিত্যপ্রয়োজনীয় পণ্যের বাজারদর স্বাভাবিক রাখতে ব্যবসায়ীরা আরও বেশি আমদানির পাশাপাশি প্রশাসনও বাজার নিয়ন্ত্রণে কড়া নজরদারি রাখবেন এমনটাই প্রত্যাশা সাধারণ মানুষদের। হিলি সিএন্ডএফ অ্যাজেন্ট অ্যাসোসিয়েশনের সভাপতি ফেরদৌস রহমান বলেন, ‘রমজান মাসে যেন নিত্যপ্রয়োজনীয় পণ্যের দাম স্বাভাবিক থাকে, সেজন্য ডাল, ছোলা, কিচমিচসহ বিভিন্ন পণ্য আমদানি করছেন আমদানিকারকরা। আশা করছি আমদানি অব্যাহত থাকলে দাম স্বাভাবিক থাকবে।
হিলি কাস্টমসের রাজস্ব কর্মকর্তা শফিউল ইসলাম বলেন, ‘জানুয়ারি মাস থেকে ফেব্রুয়ারি মাসের ১৭ তারিখ পর্যন্ত ১৮ ভারতীয় ট্রাকে ৩৮০ মেট্রিক টন কিচমিচ, ৫০ ট্রাকে ২ হাজার ৪৫ মেট্রিক টন মসুর ডাল, ২০ ট্রাকে ৮৬০ মেট্রিক টন মুগডাল, ১৩ ট্রাকে ৩৬৫ মেট্রিন টন মাসকালাই, ১০১ ট্রাকে ৩ হাজার ৭৪০ মেট্রিক টন খেসারি ডাল ও ১৫ ট্রাকে ৫২০ মেট্রিক টন ছোলাবুট আমদানি হয়েছে। এদিকে আমদানি বাড়ায় বন্দরে কর্মরত শ্রমিকদের আয়-রোজগারও বেড়েছে। তিনি বলেন, ‘হিলি শুল্ক স্টেশন দিয়ে রমজান উপলক্ষে নিত্যপ্রয়োজনীয় দ্রব্য সামগ্রী বিশেষ করে ছোলা, খেসারি ডাল, কিচমিচ মুগডাল আমদানি পূর্বের তুলনায় বেড়েছে। পণ্যগুলো ভারত থেকে বন্দরে আসার পর কাস্টমস কর্তৃপক্ষ দ্রুত শুল্কায়ন করে থাকে।