

রুবেল খান,ভাঙ্গা ফরিদপুর প্রতিনিধি
ফরিদপুরের ভাঙ্গায় সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যম ফেসবুকে ‘হা হা’ রিয়েক্ট দেওয়াকে কেন্দ্র করে দুই যুবককে কুপিয়ে গুরুতর আহত করার ঘটনা ঘটেছে। মঙ্গলবার (১১ ফেব্রুয়ারি) দুপুরে ভাঙ্গা পৌরসভার ৩ নম্বর ওয়ার্ডের দাড়িয়ারমাঠ গ্রামে এ ঘটনা ঘটে। আহতরা হলেন- পৌরসভার ৩ নং ওয়ার্ডের (দাড়িয়ারমাঠ) গ্রামের বাসিন্দা ইকরাম মাতুব্বরের ছেলে সোহান মাতুব্বর (২২) এবং একই গ্রামের ইমরান মাতুব্বরের ছেলে রকিবুল মাতুব্বর (২০)।
স্থানীয় সূত্রে জানা যায়, ভাঙ্গা উপজেলার আলগী ইউনিয়নের বালিয়াচড়া গ্রামের শামীম নামে এক ব্যক্তি ফেসবুকে একটি পোস্ট দেন। সেই পোস্টে দাড়িয়ারমাঠ গ্রামের যুবক সোহান ‘হা হা’ রিয়েক্ট দেন। এ নিয়ে মেসেঞ্জারে শামীমের সঙ্গে সোহানের বাকবিতণ্ডা হয়। এর জেরে মঙ্গলবার দুপুরে শামীমসহ বালিয়াচড়া গ্রামের কয়েকজন যুবকের সঙ্গে দাড়িয়ারমাঠ গ্রামের সোহান ও তার কয়েকজন বন্ধুর সংঘর্ষ হয়। এ সময় ধারালো অস্ত্রের আঘাতে গুরুতর আহত হন সোহান ও রাকিব। পরে স্থানীয়রা তাদের উদ্ধার করে ভাঙ্গা উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে নিয়ে গেলে অবস্থার অবনতি হওয়ায় ফরিদপুর মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে পাঠানো হয়।
এ বিষয়ে সোহান মাতুব্বরের পিতা ইকরাম মাতুব্বরের বলেন, ফেসবুকে হাহা রিয়েক্ট দেয়াকে কেন্দ্র করে আমার ছেলেকে মঙ্গলবার সাড়ে ১১টার দিকে ভাঙ্গা সরকারি কে এম কলেজের সামনে পাকা রাস্তার মাঝে হৃদয়, শামীম, হাসিবুল, রমজান, মাহফুজ, ফরিদ, লিখন সহ আরো ১০ থেকে ১৫ জন আমার ছেলে সোহান ও তার বন্ধু রকিবুলকে মারপিট করে দেশীয় অস্ত্র দিয়ে জখম করে। তাৎক্ষ ণিকভাবে সংবাদ পেয়ে ভাঙ্গা সরকারি হসপিটালের নিয়ে যাই, পরবর্তীতে ডাক্তার আশঙ্কজনক অবস্থায় ফরিদপুর মেডিকেল কলেজ হসপিটালে নিতে বলে এখন গুরুতর অসুস্থ অবস্থায় ফরিদপুর হাসপাতালে ভর্তি আছে। তিনি আরও বলেন, আমি আজ দুপুরে আসামিদের বিরুদ্ধে ভাঙ্গা থানায় মামলা দায়ের করেছি, ওসি সাহেবের অনুপস্থিতিতে ডিউটি অফিসারের কাছে মামলার কপি জমা দিয়ে এসেছি। এ বিষয়ে ভাঙ্গা থানার অফিসার ইনচার্জ (ওসি) মো. মোকছেদুর রহমান জানান, এখন পর্যন্ত এ ঘটনায় কোনো লিখিত অভিযোগ আমার কাছে আসেনি। অভিযোগ পেলে আইনগত ব্যবস্থা নেওয়া হবে।