মার্চ ১৫, ২০২৫
Home » রায়পুরে প্রিন্সিপাল কাজী ফারুকী স্কুল অ্যান্ড কলেজে বইমেলা উদ্বোধন
Messenger_creation_29E51D64-EF88-46D4-A476-9205B129DD1D

আশরাফুল আলম জীবন,রায়পুর লক্ষীপুর

লক্ষ্মীপুর জেলার ঐতিহ্যবাহী শিক্ষা প্রতিষ্ঠান প্রিন্সিপাল কাজী ফারুকী স্কুল অ্যান্ড কলেজে মহান শহীদ দিবস ও আন্তর্জাতিক মাতৃভাষা দিবস উপলক্ষে চার দিনব্যাপী একুশে বইমেলার আয়োজন করা হয়েছে। ১৮ ফেব্রুয়ারি মঙ্গলবার সকালে বর্ণাঢ্য আয়োজনে মেলার উদ্বোধন করেন প্রধান অতিথি মোঃ জামিলুল হক, পিপিএম, এএসপি সার্কেল, রায়পুর।
উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে অধ্যক্ষ মোঃ নুরুল আমিন এর সভাপতিত্বে বিশেষ অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন প্রফেসর কাজী ফারুকী কল্যাণ ট্রাস্টের  ভাইস-চেয়ারম্যান আলহাজ্ব মিজানুর রহমান ভূঁইয়া,  ইঞ্জিনিয়ার কাজী রাসেল, সহকারী অধ্যাপক সাইফুল ইসলাম, আনিসুর রহমান,সফিউল আলম টিপু, গাজী গিয়াস উদ্দিন, ইজাজ হোসেন রুমান, মো: ফারুক হোসেন। ষষ্ঠ শ্রেণি থেকে একাদশ শ্রেণির শিক্ষার্থীদের অংশগ্রহণে আয়োজিত এই বইমেলায় প্রায় ১৮টি স্টল স্থাপন করা হয়েছে। স্টলগুলোর মধ্যে রয়েছে একুশের বাতিঘর, জেন জি, অংকুর, কচিকাঁচা, ভাষাবিদ্যা, বইয়ের ফেরিওয়ালা, বিজনেস বিদ্যা বিতান, বর্ণমালা, তারুণ্যের জাগরণ, বিএনসিসি বইঘর, বিজ্ঞান ও সাহিত্য, ইসলামী বইঘর, প্রযুক্তি বইঘর, ইকরা বইঘর, আসসুন্নাহ, আসাদুল্লাহ কেন্দ্রীয় লাইব্রেরি বুক কর্নার ইত্যাদি।
প্রথম দিন থেকেই বইমেলায় শিক্ষার্থী, অভিভাবক ও বইপ্রেমীদের ব্যাপক উপস্থিতি লক্ষ্য করা গেছে। বইমেলার উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে বক্তারা শিক্ষার্থীদের একাডেমিক বইয়ের পাশাপাশি মননশীল ও সৃজনশীল বই পড়ার প্রতি উদ্বুদ্ধ করেন। তারা বলেন, বই পড়ার অভ্যাস গড়ে তুললে জ্ঞানের পরিধি বৃদ্ধি পায় এবং একজন আলোকিত মানুষ হিসেবে সমাজে প্রতিষ্ঠা পাওয়া যায়। বক্তারা অভিভাবকদের প্রতিও আহ্বান জানান, তারা যেন সন্তানদের বই পড়ার প্রতি উৎসাহিত করেন।
প্রতিষ্ঠান সূত্রে জানা গেছে, শিক্ষার্থীদের বইয়ের সাথে সম্পর্ক গড়ে তোলা ও পাঠাভ্যাস বৃদ্ধির লক্ষ্যে ১৮ ফেব্রুয়ারি থেকে ২১ ফেব্রুয়ারি পর্যন্ত চার দিনব্যাপী এই বইমেলা চলবে। প্রতিদিন বিভিন্ন আলোচনা সভা ও সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠানের আয়োজন করা হবে। ২১ ফেব্রুয়ারি মহান শহীদ দিবস উপলক্ষে বিশেষ আলোচনা ও সাংস্কৃতিক পরিবেশনার মাধ্যমে বইমেলার সমাপ্তি ঘোষণা করা হবে।
একুশের চেতনায় বইমেলা আয়োজন নিঃসন্দেহে একটি প্রশংসনীয় উদ্যোগ। শিক্ষার্থীদের মধ্যে বই পড়ার অভ্যাস গড়ে তোলার পাশাপাশি বাংলা ভাষা ও সংস্কৃতির প্রতি শ্রদ্ধাশীল গড়ে তুলতে এ ধরনের আয়োজন গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রাখবে বলে আয়োজকরা আশা প্রকাশ করেন।

Loading

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *