

মোঃ শাহজাহান বাশার, স্টাফ রিপোর্টার
কুয়েটে বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলন ও জাতীয়তাবাদী ছাত্রদলের মধ্যে সংঘটিত রক্তক্ষয়ী সংঘর্ষের ঘটনায় গভীর উদ্বেগ ও ক্ষোভ প্রকাশ করেছেন ১২ দলীয় জোটের শীর্ষ নেতারা। বুধবার সংবাদমাধ্যমে পাঠানো এক বিবৃতিতে নেতৃবৃন্দ বলেন, “গণঅভ্যুত্থানের সব শক্তির ঐক্যই আমাদের গন্তব্য। ফ্যাসিবাদবিরোধী ও বাংলাদেশি জাতীয়তাবাদীদের নিজেদের মধ্যে রাজনৈতিকভাবে ইতিবাচক প্রতিযোগিতা করতে হবে। সবাইকে সংযত ও পরমত সহিষ্ণুতার পরিচয় দিতে হবে।”
নেতারা আরও উল্লেখ করেন, মঙ্গলবারের ঘটনায় পতিত স্বৈরাচারের দোসররা অনুপ্রাণিত হতে পারে এবং ষড়যন্ত্রের ফাঁদ বিস্তৃত করতে পারে। তারা সতর্ক করে দিয়ে বলেন, “রাজনীতি হোক প্রকাশ্যে। কেউ যদি এটা ভেবে থাকেন যে জুলাইয়ের মিত্র সাবেক ছাত্রলীগ, ছাত্রশিবির এবং ছাত্রদল জুলাইয়ের শত্রু, তাহলে জুলাইয়ের অর্জিত স্বাধীনতা রক্ষা করা কঠিন হয়ে যাবে।”
নেতৃবৃন্দ অপরাধীদের শাস্তির দাবি জানানোর পাশাপাশি সহাবস্থান ও প্রগতিশীল রাজনীতির পক্ষে অবস্থান নেন। তারা বলেন, “ছাত্রদলকে বাদ দিয়ে জুলাইয়ের স্বাধীনতা রক্ষা করা যাবে না।”
জাতির এই ক্রান্তিলগ্নে নেতারা সকলকে উদারতা, সহনশীলতা, ভিন্নমত ও সমালোচনাকে গ্রহণ করার মানসিকতা নিয়ে ফ্যাসিবাদবিরোধী ঐক্যকে সুদৃঢ় করার আহ্বান জানান। তারা আশঙ্কা প্রকাশ করেন যে, নিজেদের মধ্যে অনৈক্য ফ্যাসিস্টদের নতুনভাবে পুনর্গঠনে সহায়তা করতে পারে। নেতারা বলেন, “আসুন আমরা নতুন বাংলাদেশ বিনির্মাণে ঐক্যবদ্ধ থাকি।”
বিবৃতিতে স্বাক্ষর করেন ১২ দলীয় জোট প্রধান ও জাতীয় পার্টির চেয়ারম্যান মোস্তফা জামাল হায়দার, জোটের মুখপাত্র ও বাংলাদেশ এলডিপির চেয়ারম্যান শাহাদাত হোসেন সেলিম, জোটের সমন্বয়ক ও বাংলাদেশ জাতীয় দলের চেয়ারম্যান সৈয়দ এহসানুল হুদা, জমিয়তে উলামায়ে ইসলাম বাংলাদেশের মহাসচিব ডক্টর গোলাম মহিউদ্দিন ইকরাম, বিকল্পধারা বাংলাদেশের চেয়ারম্যান অধ্যাপক নুরুল আমিন বেপারী, জাতীয় গণতান্ত্রিক পার্টির (জাগপা) সহ-সভাপতি রাশেদ প্রধান, লেবার পার্টির চেয়ারম্যান ফারুক রহমান, কল্যাণ পার্টির চেয়ারম্যান শামসুদ্দিন পারভেজ, ইসলামী ঐক্য জোটের মহাসচিব আব্দুল করিম, ইসলামিক পার্টির মহাসচিব আবুল কাশেম, প্রগতিশীল জাতীয়তাবাদী দল (পিএনপি)র চেয়ারম্যান ফিরোজ মুহাম্মদ লিটন ও নয়া গণতান্ত্রিক পার্টির চেয়ারম্যান এম এ মান্নান।