

মালিকুজ্জামান কাকা
২২ ফেব্রুয়ারি যশোর জেলা বিএনপির সম্মেলন। সাংগঠনিক সম্পাদক পদে অনেকে আলোচনায় রয়েছেন। তাদের মধ্যে অন্যতম হচ্ছেন দলের দুঃসময়ের কান্ডারি খ্যাত ইঞ্জিনিয়ার রবিউল ইসলাম। এসব বিষয়ে ফেসবুকে প্রচারণার ঝড় তুলেছে বিএনপি ও অঙ্গসংগঠনের তৃণমুলের নেতাকর্মীরা। তাদের সাফ কথা রবিউল কে জেলা বিএনপিr সাংগঠনিক সম্পাদক দেখতে চায়। বিএনপিসহ অঙ্গসংগঠনের নেতাকর্মীরা জানান, রবিউল ইসলামের রয়েছে দারুণ দক্ষতা। রয়েছে ব্যাপক সাংগঠনিক কারিশমা। বিগত দিনে তিনি জেলা যুবদলের সভাপতি বা সাধারণ সম্পাদক দাবিদার ছিলেন। কিন্ত খুলনা বিভাগীয় বিএনপির সাংগঠনিক সম্পাদক জননেতা
তরিকুল ইসলামের ছেলে অনিন্দ ইসলাম অমিত তাকে স্বেচ্ছাসেবক দলের জেলা সভাপতি করে পরিস্থিতি সামাল দেন। সেই পদ মাথা পেতে নিয়ে রবিউল ইসলাম উদারতার পরিচয় দেন। ছাত্রজীবন থেকেই রবিউল ইসলামের রাজনীতি শুরু। জেলা ছাত্রদলের সভাপতি ছিলেন। তিনি কেন্দ্রীয় ছাত্রদলের অন্যতম নেতাও ছিলেন। এছাড়া বর্তমানে তিনি ৩৪টি রাজনৈতিক মামলা কাধে নিয়ে জেলা স্বেচ্ছাসেবকদলের সভাপতির দায়িত্বপালন করছেন। পতিত আওয়ামীলীগ সরকারের শাসন আমলে তিনি বারবার নির্যাতনের শিকার হয়েছেন । ছয় বার কারাবরণ করেছেন। একটানা প্রায় চারমাস তাকে হাজতবাস করতে হয়েছে।
বিএনপির নেতাকর্মীরা বলেন, দলের দু:সময়ে হাতেগোনা কয়েকজন বিএনপির ব্যানার ধরতো তাদের মধ্যে উল্লেখযোগ্য হচ্ছেন রবিউল ইসলাম। তাকে তারা সবসময় পাশে পেয়েছেন। সাংগঠনিক সম্পাদক পদে তার যথেষ্ট যোগ্যতা রয়েছে বলে দাবি করেছেন জেলা ও উপজেলা পর্যায়ের নেতাকর্মীরা। যানা যায়, ১৯৯৭ সালে সরকারি পলিটেকনিক ইনস্টিটিউটের ছাত্র সংসদের নির্বাচনে এজিএস হিসেবে নির্বাচিত হন এবং পরবর্তীতে জিএস ও ভিপি হিসেবে দায়িত্ব পালন করেন। এরপর ২০১০-২০১৮ সাল পর্যন্ত যশোর জেলা ছাত্রদলের সভাপতি হিসেবে দায়িত্ব পালন করেন। এছাড়া ২০১৭ থেকে ২০১৯ সাল পর্যন্ত জাতীয়তাবাদী ছাত্রদলের কেন্দ্রীয় কমিটির সহ-সভাপতির (খুলনা বিভাগ) দায়িত্বপালন করেছেন। ২০১৮ থেকে শুরু করে বর্তমানে তিনি জেলা স্বেচ্ছাসেবকদলের সভাপতির দায়িত্বপালন করছেন। এরবাইরে ২০১৯-২০২২ সাল পর্যন্ত তিনি স্বেচ্ছাসেবক দলের কেন্দ্রীয় সহ-সাংগঠনিক সম্পাদকের দায়িত্ব পালন করেছেন।
অবশেষে এ মাসের ২২ ফেব্রুয়ারী হচ্ছে জেলা বিএনপির কাউন্সিল। রোববার (১৬ ফেব্রুয়ারি) কেন্দ্রীয় বিএনপির মুখপাত্র রুহুল কবির রিজভী জানান, কাউন্সিলের জন্য পাঁচ সদস্যের একটি নির্বাচন কমিশন গঠন করা হয়েছে। সূত্র জানায়, বাজারে শোনা যাচ্ছে জেলা বিএনপির সভাপতি হচ্ছেন জননেতা তরিকুল ইসলামের সহধর্মিনী নার্গিস ইসলাম আর সাধারণ সম্পাদক এডভোকেট সৈয়দ সাবেরুল হক। এর বাইরে রবিউল ইসলাম, গোলাম রেজা দুলু, দেলোয়ার হোসেন খোকন শীর্ষ পাঁচ পদের দাবিদার। এমন ভাবেই কমিটির আকার নির্ধারণ করা হচ্ছে। যদিও কাউন্সিল ও ভোটে সব চূড়ান্ত হবে। কিন্ত ফরম্যাট ওই।
১০ জন সাংগঠনিক সম্পাদক প্রাথী। এদের মধ্যে আছেন, স্বেচ্ছাসেবক দলের জেলা সভাপতি রবিউল ইসলাম ছাড়াও ইবাদত খানের নাম শোনা যাচ্ছে। পাঁচ সদস্যের নির্বাচন কমিশনের আহ্বায়ক অ্যাডভোকেট মো. ইসহাক। এছাড়াও সদস্য হিসেবে রয়েছেন- অ্যাডভোকেট আনিসুর রহমান মুকুল, অধ্যক্ষ মকবুল হোসেন, ডা. এস এম রবিউল আলম এবং সাংবাদিক সাইফুল ইসলাম সজল। নির্বাচন কমিশন নির্বিঘ্নে কাউন্সিল সম্পন্ন করতে আশাবাদ ব্যাক্ত করেছেন। বর্তমান পরিস্থিতি অনুকূল পরিবেশের ইঙ্গিতই দিচ্ছে।