

মো:আজগর আলী, চট্টগ্রাম
৫ই আগষ্টে লজ্জা জনকভাবে জনতার হাতে পরাজিত হয়ে দেশ ছেড়ে পালিয়েছে শেখ হাসিনা এ দৃশ্য সাধারণ জনতার জন্য ছিলো একটি নতুন বাংলাদেশ গড়ার স্বপ্ন কিন্তু ৫আগষ্টের পরে দিন যতো যাচ্ছে সাধারণ জনতার স্বপ্ন ততই ফিকে হতে শুরু করছে।সূচনাটা চাঁদাবাজদের বিরুদ্ধে কথা বলতে গিয়ে জামায়াতে ইসলামীর আমির শুরু করলেও পরবর্তীতে বিএনপি জামায়াতের মধ্যে শুরু হয় বাকযুদ্ধ যা রীতিমতো সাধারণ জনতাকে হতাশ করছে।এর পর শুরু হয় ছাত্র দল-ছাত্র শিবিরের দায় চাপানো আর দায় এড়ানোর রাজনীতি যা এখন প্রকাশ্যে প্র্যাকটিস হচ্ছে।সর্বশেষ খুলনা প্রকৌশল ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ে(কুয়েট)জাতীয়তাবা দী ছাত্রদলের বিরুদ্ধে শিক্ষার্থীদের ওপর হামলার অভিযোগের বিষয়ে বুধবার১৯ ফেব্রুয়ারি ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের টিএসসিতে সংবাদ সম্মেলনের আয়োজন করে ছাত্র দলের কেন্দ্রীয় নেতৃবৃন্দ।
সংবাদ সম্মেলনের শেষের দিকে একজন সাংবাদিক উপস্থিত নেতৃবৃন্দের কাছে দুইটি প্রশ্ন করেন। প্রশ্নের প্রথম পর্বে তিনি বলেছেন, ৫ আগস্ট ফ্যাসিস্টকে বিদায় করার জন্য ছাত্রদল, ছাত্রশিবির এবং বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলন একসাথে আন্দোলন করেছেন। ৬ মাস যেতে না যেতে এমন কী ঘটনা ঘটলো যে কুয়েটে এই বিশৃঙ্খলা হলো? প্রশ্নের দ্বিতীয় পর্বে প্রশ্ন ছিলো, কুয়েটের ইস্যুটি আপনারা সংবাদ সম্মেলনে সীমিত রাখবেন নাকি সিনিয়ররা বসে আলোচনা করে সমাধন করবেন?প্রশ্নের এই প্রথম পর্ব শেষ হতেই উপস্থিত ছাত্রদল সভাপতি রাকিবুল ইসলাম রাকিব সাধারণ সম্পাদক নাছির উদ্দীন নাছিরকে বলেন, ‘শিবিরের উপর দায় দিয়ে দাও।এসময় নাছির হুম বলে সায় দেন।তবে নাছির উদ্দীন ছাত্রশিবিরকে দায় না দিয়ে বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের নেতৃবৃন্দকে দায় দেন।
যা সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে ভাইরান।অবশ্য বিভিন্ন টেলিভিশনে প্রচারিত প্রতিবেদনের এই অংশটুকু কেটে সংবাদ সম্মেলনটি প্রচার করছে।সাধারণ ছাত্রদের অনেক বলছেন, ছাত্রদল এখন
নিষিদ্ধ ছাত্রলীগের মতো আচরণ করছে। কিছু হলেই শিবির ট্যাগ দিয়ে দায় মুক্তি নেওয়া যা নতুন বাংলাদেশে মোটেই কাম্য ছিল না।ইয়াসির নাসাইফ চৌধুরী নামের এক জন বেসরকারি চাকরিজীবি মানবাধিকার প্রতিদিন কে বলেন ৫ই আগষ্টের পরে আমরা নতুন বাংলাদেশ গড়ার স্বপ্ন দেখছি আমরা ভাবছি এ দেশে আর দায় এড়ানো দায় চাপানোর মতো নষ্ট রাজনীতির চর্চা হবেনা কিন্তু আমরা হতাশ দেশ কোন দিকে যাচ্ছে?আবারও কি ঘুম,খুন শুরু হবে?যে বাংলাদেশর জন্য দুই হাজার ছাত্র জনতা জীবন উৎসর্গ করছে তাদের স্বপ্ন কি কোনোদিন পূরণ হবে না?দ্বীন মোহাম্মদ নামে এক জন ব্যবসায়ী মানবাধিকার প্রতিদিন কে বলেন বর্তমানে রাজনৈতিক দলের নেতাদের কথাবার্তায় মনে হয় এখনো ফ্যাসিবাদের প্রেতাত্মারা ঘুরঘুর করছে একদল অপরাধ করে অন্যদলের ওপর চাপিয়ে
দেওয়ার মানসিকতা থেকে বের হতে পারেনি দেশ যা সম্পূর্ণ ফ্যাসিবাদের স্বরূপ।নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক স্থানীয় বিএনপি নেতা বলেন আমাদের অতিউৎসাহী রাজনীতি চর্চায় রাজনৈতিক দল গুলোর ঐক্য নষ্ট হলে আওয়ামীলীগ লাভবান হবে এ সুযোগে আওয়ামীলীগ বিএনপি বা জামায়াতে প্রবেশ করে উভয় দলকে ধ্বংস করবে।নীতিনির্ধারকেরা বিষয়টি উপলব্ধি করা খুব জরুরি।তিনি আরও বলেন আমাদের নেতা তারেক রহমান কিন্তু জাতীয় ঐক্য ধরে রাখার পক্ষে রাতদিন নেতাকর্মীদের নির্দেশনা দিয়ে যাচ্ছেন কিন্তু কিছু দুষ্কৃতকারী বিভিন্ন অপরাধে জড়িয়ে যাচ্ছে ফলে দলের ভাবমূর্তি কিছুটা ক্ষুণ্ন হচ্ছে।জামায়াতে ইসলামীর স্থানীয় এক নেতা বলেন আমাদের সবার কথাবার্তায় সংযত হওয়া উচিৎ নচেৎ জাতীয় ঐক্য নষ্ট হবে তিনি আরও বলেন আমাদের উভয় দলের কর্মীরা অনেকটা লাগামহীন গোড়ার মতো দৌঁড়াচ্ছে তাদের কারনে দলের বদনাম হয়ে যাচ্ছে যা কোনো দলের জন্য শুভ নয়।আবারও যদি রাজনৈতিক সংকট সৃষ্টি হয় তাহলে এবার বেশি ক্ষতিগ্রস্থ বিএনপি-জামায়াত উভয় দল।সাধারণ জনতা এ দু’দলকে আর বিশ্বাস করবে না।
এবার তৃতীয় শক্তির সৃষ্টি হলে বিএনপিই বেশী ক্ষতিগ্রস্থ হবে।তিনি উভয় দলকে সংযত হওয়ার আহ্বান জানান।ছাত্র দলের স্থানীয় এক নেতার সাথে এ বিষয়ে মানবাধিকার প্রতিদিন থেকে মুঠোফোনে যোগাযোগ করলে তিনি কোনো মন্তব্য করতে রাজি হননি। ইসলামি ছাত্র শিবিরের স্থানীয় এক নেতা মুঠোফোনে মানবাধিকার প্রতিদিন কে বলেন আমরা সবাই ক্যাম্পাসে স্ব অবস্থান চাই।ছাত্র দল আমাদের শত্রু নয় বন্ধু সবাইকে নিয়ে আমরা নতুন বাংলাদেশ বিনির্মান করতে চাই,বড় ছাত্র সংগঠন হিসেবে ছাত্র দলকে এবিষয়ে এগিয়ে আসার আহ্বান জানান তিনি।