

এফ,এম,এ রাজ্জাক. পাইকগাছা খুলনা
পাইকগাছায় চাঁদখালীর আবাসন প্রকল্পে নির্মিত সরকারী পাকা ঘরগুলো লক্ষ টাকায় বিক্রির অভিযোগ পাওয়া গেঋে। সরজমিনে ঘুরে জানা যায় এখানে বসবাসকারী কারো কারো জমির দললি নেই, কেউ কেউ থাকছে জোর করে আবার কেউ কেউ , সরকারি বরাদ্দ দেওয়া ঘর নগদ লক্ষ টাকায় বিক্রি করছে। তাছাড়া কেউ কেউ নিজের নামীয় ঘর ভাড়া দিচ্ছে দিয়ে নগদ টাকা নিচ্ছে বলে অভিযোগ পাওয়া গেছে। জানা গেছে, গত ২০২১ সালে পাইকগাছা উপজেলার চাঁদখালী ইউনিয়নের গড়েরডান্গা নামক স্থানে মুজিব বর্ষের পাকা ঘর তৈরীর উদ্যোগ নেওয়া হয়। তারই ধারাবাহিকতায় ১ম পর্যায়ে
সেখানে ৫ টি পাকা ঘর নির্মাণ করা হয়। যা প্রকৃত ভূমিহীনদের জন্য বরাদ্ধ দেওয়ার কথা থাকলে, সঠিকভাবে বাস্তবায়ন হয়নি এমনি অভিযোগ তুলেছেন স্থানীয়রা। পরবর্তীতে আবারো ২য় পর্যায়ের ৫ টি ঘর নির্মাণ করা হয়। সেখানেও পাওয়া গিয়েছে অনিয়ম। সর্বশেষ ৩য় পর্যায়ে আরো ৪ টি ঘর নির্মাণ করা হয়।এদিকে ১ম পর্যায়ে নির্মিত ৫টি ঘর থেকে ১নং ঘরটির দলিল করে দেওয়া হয় স্থানীয় শাহিন গাজী নামে একজনকে। পরবর্তীতে শাহিন সরকারি বরাদ্দের নিজের নামীয় ঘরটি স্থানীয় ইমরান সরদারের কাছে ১ লক্ষ ৯ হাজার টাকা চুক্তিতে স্টাম্পের মাধ্যমে লেখালেখি করে বিক্রিয় করে।
সেই থেকে ইমরান সরদারের পরিবার উক্ত ঘরে বসবাস করে আসছে বলে প্রাপ্ত তথ্য সূত্রে জানা গেছে। এবিষয়ে ইমরান সরদারের আপন ভাই কাসু সরদার বলেন, আমরা গত ৭/৮ মাস আগে শাহিন গাজীর কাছ থেকে ১ লক্ষ ৯হাজার টাকা নগদ দিয়ে ঘরটি স্টাম্পে লেখালেখি করে কিনে বসবাস করছি। এক প্রশ্নের উত্তরে কাসু সরদার আরো বলেন আমার ছোট ভাই ইমরান সরদারের নামে ঘরটি স্টাম্পে লেখালেখি হয়েছে। আমরা টাকা দিয়ে ঘর কিনে বসবাস করছি, জোর করে নই। এছাড়াও আবাসন প্রকল্পের আরেক ঘর মালিক চাঁদখালীর মৌখালীর বাসিন্দা মোঃ জিনারুল ইসলাম তাহার
নিজের নামীয় ঘর স্থানীয় বেকু ড্রাইভারদের কাছে ভাড়া দিয়েছে মর্মে সত্যতা পাওয়া যায়। এবিষয়ে উপজেলা নির্বাহী অফিসার মাহেরা নাজনীন এর কাছে জানতে চাইলে তিনি বলেন, আবাসন প্রকল্পের সরকারি বরাদ্দের ঘর যাদেরকে দেওয়া হয়েছে তাহারা এটা বিক্রি বা ভাড়া দেওয়ার কোনো সুযোগ নাই। আমরা এ বিষয়ে তদন্ত পূর্বক প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহণ করবো।