

মোঃ শাহজাহান বাশার, স্টাফ রিপোর্টার
তিতাস গ্যাস ট্রান্সমিসন এন্ড ডিস্ট্রিবিউশন পিএলসি-এর আওতাধীন বিভিন্ন এলাকায় অবৈধ গ্যাস সংযোগ বিচ্ছিন্নের লক্ষ্যে চলমান উচ্ছেদ অভিযানের অংশ হিসেবে সম্প্রতি বেশ কয়েকটি গুরুত্বপূর্ণ অভিযান পরিচালিত হয়েছে। নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেটের নেতৃত্বে ডেমরা, কেরানীগঞ্জ, কামরাঙ্গীরচর, মুন্সীগঞ্জ, নারায়ণগঞ্জ, সাভার, টঙ্গী, গাজীপুর, ধানমন্ডি, মিরপুর, গুলশান, ময়মনসিংহ, মেঘনাঘাট ও নরসিংদীসহ বিভিন্ন এলাকায় এসব অভিযান চালানো হয়।
গত ২৩ ফেব্রুয়ারি (রবিবার) ২০২৫ তারিখে পরিচালিত অভিযানে তিতাস গ্যাসের মানিকগঞ্জ অঞ্চলের সেওতা ও জয়রা এলাকায় মিটারবিহীন ১১টি আবাসিক সংযোগ বিচ্ছিন্ন করা হয়। এছাড়া, কালিয়াকৈর উপজেলা খাদ্য গুদামের সামনে অবৈধভাবে স্থাপিত গ্যাস সংযোগ অপসারণ করা হয়, যেখানে প্রায় ২০০ ফুট ৩/৪ ইঞ্চি ব্যাসের পাইপ উত্তোলন করে সমূলে ধ্বংস করা হয়।
নারায়ণগঞ্জের রূপগঞ্জে অবস্থিত আশ্রাফিয়া টেক্সটাইল ইন্ডাস্ট্রি লিমিটেডের অবৈধ গ্যাস সংযোগ বিচ্ছিন্ন করা হয়। অভিযানে ৪ টনের ২টি বয়লার, ৩ টনের ১টি বয়লার, ৮ চেম্বারের ১টি স্ট্যান্টার, ৬ চেম্বারের ১টি স্ট্যান্টার, ৫ চেম্বারের ১টি স্ট্যান্টার এবং ৪টি দ্বিমুখী চুলার সংযোগ বিচ্ছিন্ন করা হয়। এতে ৩৮,৭০০ সিএফটি গ্যাস সাশ্রয় সম্ভব হবে। অবৈধ গ্যাস ব্যবহারের জন্য প্রতিষ্ঠানটির মালিককে ১ লক্ষ টাকা জরিমানা করা হয়েছে এবং ৪টি অবৈধ বিতরণ লাইন উৎস পয়েন্ট হতে ধ্বংস করা হয়েছে।
তিতাস গ্যাসের তথ্য অনুযায়ী, সেপ্টেম্বর ২০২৪ থেকে ২৩ ফেব্রুয়ারি ২০২৫ পর্যন্ত পরিচালিত অভিযানে ২০৩টি শিল্প, ১২১টি বাণিজ্যিক ও ২৫,৩০৫টি আবাসিক সংযোগসহ মোট ২৫,৬২৯টি অবৈধ গ্যাস সংযোগ এবং ৫৯,৬৫৫টি বার্নার বিচ্ছিন্ন করা হয়েছে। একইসঙ্গে, ১২৯ কিলোমিটার পাইপলাইন অপসারণ করা হয়।
এ অভিযানে গাফিলতির অভিযোগে তিতাস গ্যাসের ২ জন কর্মকর্তা ও ৬ জন কর্মচারীকে বিভিন্ন মেয়াদে শাস্তি প্রদান করা হয়েছে। পাশাপাশি, ৩ জন অবৈধ গ্যাস ব্যবহারকারীকে কারাদণ্ড দেওয়া হয়েছে এবং ৫টি ১.১ শ্রেণির ঠিকাদারি প্রতিষ্ঠান ও ১টি ১.৩ শ্রেণির ঠিকাদারি প্রতিষ্ঠানকে কালো তালিকাভুক্ত করা হয়েছে।
তিতাস গ্যাস কর্তৃপক্ষ জানিয়েছে, অবৈধ গ্যাস সংযোগ উচ্ছেদে এ ধরনের অভিযান অব্যাহত থাকবে এবং সংশ্লিষ্টদের বিরুদ্ধে কঠোর ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে।