

মোঃ শাহজাহান বাশার, স্টাফ রিপোর্টার
ইতালি প্রবাসী কামরুল হাসানের জীবনে নেমে এসেছে অন্ধকার। প্রবাস জীবনের কষ্টার্জিত টাকা, স্বর্ণালংকার এবং পাঁচ বছরের একমাত্র কন্যা সন্তানকে নিয়ে পরকীয়া প্রেমিকের সাথে পালিয়ে গেছেন তার স্ত্রী পাপিয়া সুলতানা পপি। সন্তানকে ফিরে পেতে কাঁদছেন এবং প্রশাসনের সহায়তা চেয়েছেন প্রবাসী এই বাবা।
জানা যায়, কুমিল্লার বুড়িচং উপজেলার চড়ানল গ্রামের মনিরুল হকের ছেলে কামরুল হাসান ২০১৪ সালে পারিবারিকভাবে বিয়ে করেন বুড়িচং সদর এলাকার মৃত শাহ আলমের মেয়ে পাপিয়া সুলতানা পপিকে।
বিয়ের দুই বছর পর স্ত্রীকে ইতালি নিয়ে যান কামরুল। প্রবাসে সুখের সংসার গড়ার স্বপ্ন দেখলেও, সেই স্বপ্ন ধুলিসাৎ হয়ে যায় কিছুদিন পরই। ইতালিতে এক বাংলাদেশি যুবকের সঙ্গে প্রেমের সম্পর্কে জড়িয়ে পড়েন পপি। বিষয়টি টের পেয়ে স্বামী কামরুল আপত্তি জানালে, পপি গোপনে সেই সম্পর্ক চালিয়ে যেতে থাকেন।
এক পর্যায়ে সুযোগ বুঝে স্বামীর কষ্টার্জিত টাকা, স্বর্ণালংকার ও তাদের একমাত্র শিশুকন্যাকে নিয়ে প্রেমিকের সাথে পালিয়ে যান পপি। স্ত্রীর এমন বিশ্বাসঘাতকতায় দিশেহারা কামরুল ইতালির বিভিন্ন স্থানে খোঁজাখুঁজি করেও তাদের সন্ধান পাননি। অবশেষে তিনি ইতালির থানায় একটি লিখিত অভিযোগ দায়ের করেন।
পরে দেশে ফিরে স্ত্রীর পরিবারের কাছে যোগাযোগ করলে তারা কোনো সহযোগিতা তো করেইনি, বরং কামরুলের সঙ্গে অসৌজন্যমূলক আচরণ করে। বাধ্য হয়ে কাজী অফিসের মাধ্যমে পপিকে তালাক দেন কামরুল এবং পুনরায় ইতালি ফিরে গিয়ে সন্তানের খোঁজ চালান।
এরই মধ্যে জানা যায়, শরীয়তপুর জেলার নড়িয়া থানার সুরেশ্বর গ্রামে হৃদয় হাসান নামে এক যুবকের কাছে অবস্থান করছে পপি ও তার মেয়ে।
এ ঘটনায় কামরুলের বড় ভাই নাজমুল হাসান বাদী হয়ে কুমিল্লা আদালতে পাপিয়া সুলতানা পপি ও তার মা ফরিদা ইয়াসমিনের বিরুদ্ধে মামলা দায়ের করেছেন। নাজমুল হাসান জানান, পপির চাচা শাজাহান কিছুদিন আগে সামান্য ঘটনাকে কেন্দ্র করে এক শিশুকে পানিতে ফেলে হত্যার চেষ্টা করেন, যার ভিডিও সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে ভাইরাল হয়। এমন পরিবারে কামরুলের একমাত্র কন্যা মোটেও নিরাপদ নয় বলে দাবি করেন তিনি। তিনি দ্রুত তার ভাইয়ের একমাত্র কন্যাকে উদ্ধারের পাশাপাশি লুট করে নেওয়া স্বর্ণালংকার ও টাকা ফেরতের দাবি জানিয়েছেন প্রশাসনের কাছে। এই ঘটনায় প্রশাসনের দৃষ্টি আকর্ষণ করে দ্রুত প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহণের জোর দাবি জানিয়েছেন নিঃস্ব ও অসহায় প্রবাসী কামরুল হাসান।