

সাইফুল ইসলাম, চট্টগ্রাম
কর্ণফুলী, চট্টগ্রাম: কর্ণফুলী উপজেলার ঐতিহ্যবাহী শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান কর্ণফুলী আব্দুল জলিল চৌধুরী কলেজের ৪১তম বার্ষিক ক্রীড়া প্রতিযোগিতা উৎসবমুখর পরিবেশে সম্পন্ন হয়েছে। ২৭ফ্রেবরুয়ারী বৃহস্পতিবার কলেজ মাঠে দিনব্যাপী এ ক্রীড়া প্রতিযোগিতা অনুষ্ঠিত হয়।
সকাল ১০ঘটিকায় জাতীয় সংগীত পরিবেশন ও পতাকা উত্তোলনের মাধ্যমে ক্রীড়া প্রতিযোগিতার উদ্বোধন করা হয়। উপাধ্যক্ষ সমীর রঞ্জন নাথ এর সভাপতিত্বে অধ্যাপক শামীম আক্তার চৌধুরীর সঞ্চালনায় ক্রীড়া প্রতিযোগিতার আনুষ্ঠানিক উদ্বোধন করেন অত্র কলেজ অধ্যক্ষ মোহাম্মদ জসীম উদ্দীন।
উক্ত অনুষ্ঠানে স্বাগত বক্তব্য রাখেন ক্রীড়া উপ কমিটির আহবায়ক অধ্যাপক আবদুল জলিল।
এবারের ক্রীড়া প্রতিযোগিতায় ১৫ টি ইভেন্টে মোট ২১৭ জন প্রতিযোগী অংশগ্রহণ করে।
শিক্ষার্থীরা ১০০ মিটার, ২০০ মিটার ও ৪০০ মিটার দৌড়, লং জাম্প, হাই জাম্প,দড়ি টানাটানি, যেমন খুশি তেমন সাজো, মিউজিক্যাল চেয়ারসহ বিভিন্ন আকর্ষণীয় খেলায় অংশগ্রহণ করে। এতে দ্বাদশ শ্রেণির ব্যবসায় শিক্ষা শাখার সৈয়দ ওয়াহিদুল হাসান দ্রুততম মানব ও একাদশ শ্রেণির মানবিক শাখার মোছাম্মৎ হাফছা দ্রুততম মানবী হওয়ার গৌরব অর্জন করে।
পরে প্রতিযোগিতার সমাপনী ও র ্যাপল ড্র পুরস্কার বিতরণী অনুষ্ঠিত হয়।
এতে প্রধান অতিথি অধ্যক্ষ মো জসীম উদ্দীন বলেন খেলাধুলা ক্রীড়াবিদদের মানসিক দৃঢ়তা, দলগত নৈপুণ্য ও নৈতিকতার বিকাশ ঘটায়। আমরা খেলাধুলার মাধ্যমে জয়ী হলে কিভাবে আনন্দ উদযাপন করবো এবং পরাজিত হলে কিভাবে শিক্ষাগ্রহণ করে সামনে এগিয়ে যাবো তা শিখায়।
তিনি আরো বলেন আমাদের শিক্ষার্থীরা শুধু পড়াশোনায় নয়, ক্রীড়া প্রতিযোগিতাতেও নিজেদের মেধা ও দক্ষতার প্রমাণ দিয়েছে। আমরা চাই তারা জাতীয় ও আন্তর্জাতিক পর্যায়ে নিজেদের যোগ্যতা তুলে ধরুক।
উদ্বোধন এর পর কলেজ শিক্ষার্থীদের মনোজ্ঞ সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠান ও ডিসপ্লে অনুষ্ঠিত হয়। এতে আরো উপস্থিত ছিলেন অবসরপ্রাপ্ত অধ্যাপক মোহাম্মদ নুর, শিক্ষক পরিষদ সম্পাদক অধ্যাপক এইচ এম আবু ওবায়দা, অধ্যাপক নাজমুল হক, অধ্যাপক তাজনীন ফেরদৌস, অধ্যাপক নাজমা বেগম, অধ্যাপক রোকসানা খাতুন, অধ্যাপক ইন্দ্রজিত কর, অধ্যাপক নাজনীন সুলতানা, অধ্যাপক আবদুল কাইয়ুম, অধ্যাপক সুজন দাশ, অধ্যাপক বিশ্বজিত বিশ্বাস, অধ্যাপক মনোয়ারা বেগম অধ্যাপক মোহাম্মদ হাবিবুর রহমান প্রমুখ। মশাল প্রজ্বলন করে একাদশ শ্রেণির রাশেদুল ইসলাম।
পুরো আয়োজনে শিক্ষার্থীদের মাঝে ব্যাপক উৎসাহ-উদ্দীপনা দেখা যায়। বিজয়ীরা উল্লাসে মেতে ওঠে এবং প্রতিযোগিতায় অংশ নেওয়া শিক্ষার্থীরা ভবিষ্যতে আরও ভালো করার আশাবাদ ব্যক্ত করেন।