

মোঃ শাহজাহান বাশার , স্টাফ রিপোর্টার
রাশিয়া-ইউক্রেন যুদ্ধ বন্ধ এবং খনিজ সম্পদ সংক্রান্ত চুক্তি স্বাক্ষরের লক্ষ্যে ওয়াশিংটন সফরে গিয়েছিলেন ইউক্রেনের প্রেসিডেন্ট ভ্লাদিমির জেলেনস্কি। তবে যুক্তরাষ্ট্রের প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প এবং ভাইস প্রেসিডেন্ট জে ডি ভ্যান্সের সঙ্গে হওয়া বৈঠকটি শেষ পর্যন্ত উত্তপ্ত বিতর্কে রূপ নেয়। কোনোরকম চুক্তি ছাড়াই ফিরে যেতে হলো জেলেনস্কিকে। ওভাল অফিস সূত্রে জানা যায়, বৈঠকের শুরুতেই ভাইস প্রেসিডেন্ট ভ্যান্স যুদ্ধ বন্ধে কূটনৈতিক প্রচেষ্টার গুরুত্ব তুলে ধরেন। এ বক্তব্যের জবাবে জেলেনস্কি জানতে চান, তিনি কোন ধরনের কূটনীতির কথা বলছেন। ভ্যান্স স্পষ্টভাবে বলেন, এমন কূটনীতি যা ইউক্রেনকে ধ্বংসের হাত থেকে রক্ষা করতে পারে এ পর্যায়ে রাশিয়ার প্রেসিডেন্ট ভ্লাদিমির পুতিনকে ইঙ্গিত করে জেলেনস্কি জানান, খুনীর সঙ্গে কোনো সমঝোতা হবে না। এরপর আলোচনায় যুক্ত হন প্রেসিডেন্ট ট্রাম্প। তিনি জেলেনস্কিকে বলেন, “আপনার হাতে এখন কোনো শক্তিশালী কার্ড নেই। আমাদের সঙ্গে থাকলে সেই কার্ড আসবে।
জেলেনস্কি পাল্টা বলেন, তিনি কোনো কার্ডের খেলায় নেই। তবে ট্রাম্প বলেন, “আপনি শুধু কার্ড নয়, তৃতীয় বিশ্বযুদ্ধের ঝুঁকির সঙ্গে জুয়াও খেলছেন। ট্রাম্প সরাসরি জেলেনস্কিকে পুতিনের সঙ্গে সমঝোতায় যেতে বলেন এবং হুঁশিয়ারি দেন, “সমঝোতা না করলে আমরা সরে যাব, তখন আপনাকে একাই যুদ্ধ করতে হবে। ভ্যান্স আরও অভিযোগ করেন, জেলেনস্কি কখনও যুক্তরাষ্ট্রকে ধন্যবাদ জানাননি। উত্তরে জেলেনস্কি বলেন, তিনি বহুবার যুক্তরাষ্ট্রের জনগণকে ধন্যবাদ জানিয়েছেন। বৈঠক চলাকালীনই পরিবেশ এতটাই উত্তপ্ত হয়ে ওঠে যে ট্রাম্প রুম ছেড়ে বেরিয়ে যান এবং জেলেনস্কিকে চলে যেতে বলা হয়। পরবর্তীতে নিজের বাসভবন মার-এ-লাগো থেকে ট্রাম্প জানান, জেলেনস্কির উচিত ছিল শান্তির আহ্বান জানানো, কিন্তু তিনি উল্টো পুতিনকে দোষারোপ করেছেন। তবে ট্রাম্প আবারও জেলেনস্কিকে আমন্ত্রণ জানিয়েছেন ভবিষ্যতে নতুন বৈঠকের জন্য। ট্রুথ সোশ্যালে এক পোস্টে ট্রাম্প লেখেন, “যেদিন তিনি শান্তির জন্য প্রস্তুত হবেন, সেদিন হোয়াইট হাউসে ফিরে আসতে পারবেন।
সূত্র: রয়টার্স