নজিবুল্লাহ খান
ব্রাহ্মণবাড়িয়া শহরের কান্দিপাড়া এলাকায় পুলিশের বিশেষ অভিযানে চার চিহ্নিত ছিনতাইকারী গ্রেপ্তার হয়েছে। গতকাল শুক্রবার বিকেলে জেলা শহরের বাবুর বাড়ির সামনে থেকে তাদের গ্রেপ্তার করা হয়। পুলিশের পক্ষ থেকে জানানো হয়েছে, এ চারজন দীর্ঘদিন ধরে শহরের বিভিন্ন এলাকায় ছিনতাইসহ নানা অপরাধমূলক কর্মকাণ্ড চালিয়ে আসছিল।
গ্রেপ্তারকৃতদের পরিচয়
গ্রেপ্তারকৃতরা হলেন:
- মো. রিগ্যান পাঠান (৩৫) – কান্দিপাড়া মাইমল হাটির বাসিন্দা।
- সানজু রাজ (২২) – একই এলাকার বাসিন্দা।
- মো. সায়েম (২০) – শহরের কাজীপাড়া দরগাহ মহল্লার বাসিন্দা।
- তুষার মিয়া (১৯) – কাউতলী এলাকার বাসিন্দা।
পুলিশের অভিযানের বিবরণ : ব্রাহ্মণবাড়িয়া সদর মডেল থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মোজাফফর হোসেন জানান, গোপন সংবাদের ভিত্তিতে শুক্রবার বিকেলে পুলিশের একটি দল অভিযান চালিয়ে তাদের গ্রেপ্তার করে। পুলিশের ভাষ্যমতে, এই চারজন শহরের পরিচিত ছিনতাইকারী এবং তারা সংঘবদ্ধ চক্রের সদস্য হিসেবে কাজ করত।
পুলিশ আরও জানায়, গ্রেপ্তারকৃত রিগ্যান পাঠানের বিরুদ্ধে সদর মডেল থানায় ৯টি মামলা রয়েছে, যা তার অপরাধমূলক কর্মকাণ্ডের স্পষ্ট প্রমাণ। অন্য তিনজনের বিরুদ্ধেও একাধিক মামলা রয়েছে, যা তাদের অপরাধে জড়িত থাকার ইঙ্গিত দেয়।
অপরাধমূলক কর্মকাণ্ড ও শহরের পরিস্থিতি: পুলিশের তথ্য অনুযায়ী, এ চক্রটি দীর্ঘদিন ধরে ব্রাহ্মণবাড়িয়া শহরের বিভিন্ন গুরুত্বপূর্ণ স্থানে ছিনতাই ও চুরি করে আসছিল। পথচারী, ব্যবসায়ী এবং সাধারণ মানুষ তাদের টার্গেট ছিল। তাদের বিরুদ্ধে নগদ টাকা, মোবাইল ফোন ও অন্যান্য মূল্যবান সামগ্রী ছিনিয়ে নেওয়ার অভিযোগ রয়েছে। বিভিন্ন সময় শহরের বাসিন্দারা এদের বিরুদ্ধে অভিযোগ করলেও তারা বারবার আইনের ফাঁক গলে বেরিয়ে যেত। তবে এবার পুলিশের গোয়েন্দা তথ্যের ভিত্তিতে সফল অভিযান পরিচালিত হওয়ায় সাধারণ মানুষ কিছুটা হলেও স্বস্তি পেয়েছে।
গ্রেপ্তারের পর পুলিশ তাদের থানায় নিয়ে যায় এবং প্রাথমিক জিজ্ঞাসাবাদ শেষে আদালতে পাঠানো হয়, এবং আদালতের নির্দেশে তাদের জেলহাজতে পাঠানো হয়েছে।
পুলিশের এক কর্মকর্তা বলেন, “এই ছিনতাইকারী চক্রের বিরুদ্ধে আরও তদন্ত চলছে। আমরা চেষ্টা করছি তাদের নেটওয়ার্ক পুরোপুরি ধ্বংস করতে, যাতে শহরে ছিনতাই ও অন্যান্য অপরাধ বন্ধ করা যায়।”
শহরের সাধারণ জনগণ আশা করছে, পুলিশের এই কঠোর পদক্ষেপের ফলে ব্রাহ্মণবাড়িয়ায় ছিনতাই ও অপরাধমূলক কর্মকাণ্ড কিছুটা হলেও কমবে।
