মে ১২, ২০২৫
Home » শারসা কন্দপপুরে ওয়ার্ড বিএনপি সভাপতির বাড়ি সীমাহীন তান্ডব লুটপাট অগ্নিসংযোগ এবার কামরুলের ছেলেকে হত্যার অপচেষ্টা
Screenshot_2025-03-01-08-14-57-694_com.facebook.lite~2

বিশেষ প্রতিবেদক

যশোরের শারসা উপজেলার নিজামপুর ইউপির কন্দপপুরে ওয়ার্ড বিএনপির সভাপতি কামরুলের বাড়ি সীমাহীন তাণ্ডপ চালায় এলাকার সংঘবদ্ধ দূরবিত্তচক্র। এটি ১৭ জানুয়ারির ঘটনা। এবার সেই সন্ত্রাসীরা ঐ সভাপতির ছোট ছেলে সাকিবকে দুই দফা হত্যার চেষ্টা চালিয়েছে। গত বুধবার সন্ত্রাসীরা কে ধাওয়া করলে তিনি পাশের গ্রামে আশ্রয় নেন। এরপর কামরুলের লোকজন বাড়িতে আনে। শুক্রবার ২৮ ফেব্রুয়ারি নাভারণ ক্লিনিকে যাওয়ার পথে তাকে ভ্যান থেকে নামিয়ে হত্যার চেষ্টা চালায়। এসময় পথচারী ও গ্রামবাসী এগিয়ে এসে তাকে ছিনিয়ে নিয়ে রক্ষা করে। এই ঘটনা নাভারণের পাশে কাজীর বেড় গ্রামে ঘটেছে। কামরুলের পরিবারের সদস্যরা এখন চরম নিরাপত্তাহীনতার মধ্যে রয়েছেন। বিএনপির গ্রূপিংয়ের শিকার এই পরিবারটি। যে কোন সময় তাদের জীবন হানি হওয়ার সমূহ সম্ভাবনা রয়েছে। ১৭ জানুয়ারি সোমবার রাতে ঐ চক্রের সদস্যরা বিএনপির সভাপতি কামরুল ইসলামের বাড়ি আক্রমণ করে লুটপাট, ভাঙচুর, আগুন ধরিয়ে প্রায় ২০ লাখ টাকার ক্ষয়ক্ষতি করেছে। কামরুল ইসলাম মৃত সমশের সর্দারের ছেলে।

জানা গেছে, কথিত বিএনপির আসাদুল ও তোতার নেতৃত্বে প্রায় ৪০:জনের একটি সন্ত্রাসী চক্র ঐ দিন রাত ৯ টার দিকে কামরুলের বাড়ি আক্রমণ করে। এরা তিনটি ঘরে লুটপাট করে ভাঙচুর করে আগুন ধরিয়ে দেয়। এসময় এরা বোমাবাজি ও গুলি করে এলাকায় ভীতি সঞ্চার করে। সন্ত্রাসিরা নগদ দুই লাখ টাকা, স্বর্ণের চেইন, দুই জোড়া কানের দুল, বাজু, নুপুর, বিদেশী কম্বল, কাপড় চোপড়সহ বিভিন্ন জিনিসপত্র লুট করে নিয়ে গেছে। ঘরের দরজা জানালা, ফ্রিজ, খাট পালঙ্ক, ড্রেসিং টেবিল, শোকেস, টেলিভিশন ভাঙচুর করে আগুন ধরায়। গোলায় রক্ষিত ২০ মন ধানসহ বস্তা নিয়ে গেছে। একই সাথে সন্ত্রাসীরা ওয়ার্ড বিএনপির সভাপতি কামরুল ইসলামের মুরগি ফার্মে ৪০০ মুরগি লুট করে। এর পর বাচ্চা মুরগিসহ ফার্মে আগুন ধরিয়ে দেয়। এরপর আগত সন্ত্রাসীরা রিনা ও আজগর কে মারধোর করে। ৩ নং ওয়ার্ড সভাপতি কামরুল ইসলাম কন্দপপুরের বাসিন্দা। তার পিতা মৃত সমশের সর্দার।

কামরুল ইসলামের ছেলে রুহুল কুদ্দুস জানায়, মুরগির ৪/৫০০ বাচ্চা পুড়ে শেষ হয়েছে। ঘরের কাপড় চোপড় লুট করে আগুন ধরিয়ে পুড়িয়ে শেষ করেছে। রুহুলের স্ত্রী বিউটি খাতুন জানায় শিশু সন্তান কে নিয়ে সে দৌড়ে ছাদে চলে যায়। দরজা বন্ধ করায় এযাত্রায় মা ও শিশু প্রাণে বাঁচতে পেরেছি। তবু তারা বোমা মারতে উদ্যোত হয়।
গ্রামবাসী জানায়, সোনা সর্দারের দুই ছেলে আসাদুল ও তোতা, ঝোড়োর ছেলে মোহাম্মদ আলী, গোলাম মোস্তফার ছেলে কবির, সিদ্দিক আলীর ছেলে শাহীন, জব্বারের ছেলে হাবিবুর, আকের আলী পিং সুবিদের ছেলে আকের আলীসহ প্রায় ৪০/৫০ জন ওয়ার্ড বিএনপির সভাপতি কামরুল ইসলামের বাড়ি তান্ডব চালায়। জানা গেছে, টিসিবির কার্ড বরাদ্দ ও বন্টন নিয়ে মনোমালিন্যর সূত্র ধরে একই গ্রামের আসাদুল ও রেজাউল সর্দারের ছেলে শহিদুল ইসলাম তোতা এবং তাদের দোসররা নিজেদের বিএনপির হর্তা কর্তা দাবি করে এই লোমহর্ষক লুটপাট, আগুন দিয়ে পোড়ানো, সন্ত্রাসী কার্যক্রম চালিয়েছে। একই সাথে দুই দফা সন্ত্রাসীরা চায়ের দোকানে তান্ডব চালায়। মৃত ফকির চান সর্দারের ছেলে রবিউলের চায়ের দোকানে ভাঙচুর করে আগুন ধরিয়ে দেয়। তার বিচালি গাদায় আগুন ধরিয়ে দেয়। এ ঘটনায় ভুক্তভুগি শারসা থানায় অভিযোগ করেছেন। এস আই আলমগীর হোসেন অভিযোগ তদন্ত করছেন। এতে ক্ষিপ্ত হয়ে ঐ চক্রের হর্তা কর্তারা মোবাইলে কামরুল ও তার লোকজনকে হুমকি দিয়ে আসছিলো। গ্রামে এখনো চরম ভীতি বিরাজ করছে।

Loading

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *