
Oplus_131072

এম জি মস্তফা তালুকদার রায়হান, (বিশেষ প্রতিনিধি)
গাজীপুরের কালীগঞ্জে এক সন্তানের জননী মালশিয়া প্রবাসীর স্ত্রী স্বামীর সাথে অভিমান করে আত্মহত্যা করার সংবাদ পাওয়া গেছে। ঘটনার সত্যতা স্বীকার করেছেন কালীগঞ্জ থানার অফিসার ইনচার্জ মো. আলাউদ্দিন। নিহ তের পরিবার সূত্রে জানা যায়, উপজেলার জামালপুর ইউনিয়নের চুপাইর গ্রামের স্বপন দেবনাথ মাষ্টারের বোন চঞ্চলা দেবনাথের সাথে বিগত ৪০ বছর পূর্বে বি.বাড়ীয়ার সুনীল দেবনাথের বিয়ে হয়। পরে সুনীল দেবনাথ নরসিংদীর ঘোড়াদিয়া এলাকায় স্ত্রী সন্তান নিয়ে বসবাস করেন। বিগত ১০ বছর পূর্বে সুনীল মৃত্যুবরণ করলে চঞ্চলা দেবনাথ স্বপরিবারে পিত্রালয়ে চলে আসেন।
চঞ্চলা দেবনাথ ও সুনীল দেবনাথের কণ্যা শ্রাবনী দেবনাথ (২৫) এর সাথে ৩ বছর পুর্বে গাজীপুরের কাপাসিয়া উপজেলার কড়িহাতা গ্রামের মালশিয়া প্রবাসী লিটন দেবনাথের সাথে বিবাহ হয়। তাদের সংসারে সানড্রি দেবনাথ নামে ১৮ মাসের একজন কণ্যা সন্তান রয়েছে। কিছুদিন পূর্বে শ্রাবনী মালশিয়া থেকে দেশে আসে। শ্রাবনী দেবনাথ মোবাইল ফোনে স্বামীর সাথে দীর্ঘ সময় কথা বলেন। ফোনে তাদের মধ্যে মনোমালিন্য হলে শ্রাবনী ঘরের দরজা বন্ধ করে ফ্যানের সাথে গলায় ফাস দিয়ে আত্মহত্যা করেন। শ্রাবনীর মামা স্বপন দেবনাথ ঘরের দরজায় ধাক্কা দিয়ে ঘরের দরজা খুলে ভিতরে প্রবেশ করে শ্রাবনীর লাশ নামায়। এবং স্থাণীয় ডাক্তার এনে পরীক্ষা নিরীক্ষা করে ডাক্তার শ্রাবনীকে মৃত ঘোষণা করেণ। সংবাদ পেয়ে কালীগঞ্জ থানা পুলিশ ঘটনাস্থল হতে নিহতের লাশ উদ্ধার করে থানায় নিয়ে আসেন।
এ বিষয়ে নিহতের মামা স্বপন দেবনাথ বলেন, আমি একজন শিক্ষক। দুপুরে কিছু শিক্ষার্থী আমার কাছে পড়তে আসেন। তাদের পড়া শেষ করে দুপুরে খাওয়ার সময় শ্রাবনীকে মোবাইল ফোনে স্বামীর সাথে কথা বলতে দেখি। একটু পরে আমার মেয়ে বলৈন শ্রাবনী ঘরের দরজা বন্ধ করে দিয়েছে। সাথে সাথে ঘরের দরজা খুলে ভিতরে প্রবেশ করে দেখি শ্রাবনী ফ্যানের সাথে গলায় ফাস দিয়ে ঝুলে রয়েছে। দ্রুত তাকে নামিয়ে ডাক্তার এনে পরীক্ষা নিরীক্ষা করে দেখি সে আর নেই। এ বিষয়ে কালীগঞ্জ থানার অফিসার ইনচার্জ মো. আলাউদ্দিন বলেন,আত্মহত্যা সংবাদ পেয়ে পুলিশ পাঠানো হয়েছে। থানায় লাশ নিয়ে আসবে। তদন্ত সাপেক্ষে পরবর্তী ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে।