এপ্রিল ১৯, ২০২৫
Home » মণিরামপুরে ঈদের বাজার জম জমাট-কেনাকাটা করে শস্তিপাচ্ছে ক্রেতারা
301

সাব্বির হাসান,যশোর জেলা প্রতিনিধি

পবিত্র ঈদুল ফিতর উপলক্ষে মণিরামপুর উপজেলা ঈদের বাজার জমে উঠেছে ব্যাপক আকারে। বাহারি পোশাক, প্রসাধনী, অলংকার ও গ্রোসারী পণ্যের জমজমাট বেচাকেনা শুরু হয়েছে। ব্যস্ততা বেড়েছে পোশাক তৈরির টেইলার্সগুলোতে। বিভিন্ন আয়ের মানুষ পরিবারের সদস্যদের জন্য ঈদের কেনাকাটায় মেতে উঠেছেন। মণিরামপুরের বড় বড় মার্কেট, বিপনি বিতান ও স্থাপনায় করা হয়েছে মনমুগ্ধকর আলোকসজ্জা। যশোর মণিরামপুর জুড়ে ছড়িয়ে পড়েছে উৎসবের আমেজ।

সরেজমিন দেখা যায়, মণিরামপুরের গাজী সুপার মার্কেট,হামিদা শপিং কমপ্লেক্স,খান গার্মেন্টসে, ক্রেতাদের উপচে পড়া ভিড়। সকাল হলেই ক্রেতাদের ভিড় বাড়তে শুরু করে। মণিরামপুরের গাজী সুপার মার্কেট,হামিদা শপিং কমপ্লেক্স,খান গার্মেন্টসের, দোকানগুলোতে ব্যস্ত সময় পার করতে দেখা যায় দোকানিদের। রমজান মাস হওয়ায় ক্রেতা সামলানোর পাশাপাশি ইফতার আয়োজনেও যোগ হয়েছে নতুন মাত্রা। আসরের নামাজের পর থেকেই দোকানি ও কর্মচারীরা ইফতার আয়োজনে ব্যস্ত হয়ে পড়েন। ইফতার শেষে চলে পুরোদমে  বেচাকেনা নিম্ন আয়ের মানুষের ভিড় লক্ষ্য করা গেছে মণিরামপুরের গাজী সুপার মার্কেট,হামিদা শপিং কমপ্লেক্স,খান গার্মেন্টসসহ বিভিন্ন মার্কেটে। সামর্থ্য অনুযায়ী এসব দোকান থেকে পছন্দের পোশাক কিনছেন অনেকেই। পরিবারের সকল সদস্যের মুখে হাসি ফোটাতে পোশাক কেনার পাশাপাশি প্রসাধনী, অলংকার, জুতা, স্যান্ডেল ও দর্জির দোকানগুলোতে বেড়েছে ক্রেতাদের ভিড়।

পোশাক পরিচ্ছদ বেচাকেনার পাশাপাশি মসলা ও মুদিপণ্যের দোকানগুলোতেও ভিড়  বেড়েছে। আসন্ন পবিত্র ঈদুল ফিতরের এখনো ৮-১০দিন বাকি। তবুও ঈদের আমেজ যেন ছড়িয়ে পড়েছে ইট পাথরের শহরে। বাজার ঘুরে জানা যায়, মণিরামপুর ছাড়াও কেশবপুর, অভয়নগর, ঝিকরগাছা,বাঘারপাড়া, শার্শা ও চৌগাছাসহ যশোর সদর উপজেলা শহরগুলোতেও ঈদের কেনাকাটা জমে উঠেছে। গ্রামের প্রান্তিক মানুষ সামর্থ্য অনুযায়ী নতুন পোশাক, অলংকার ও সাজসজ্জা উপকরণ কিনতে ভিড় করছেন দোকানগুলোতে। শেষ সময়ে পোশাক তৈরিতে হিমশিম খাচ্ছেন দর্জিরা। ঈদের কেনাকাটা করতে আসা সাদিয়া ইয়াসমিন বলেন, ‘পরিবারের শিশু ও বয়স্কদের জন্য কেনাকাটা করতে এসেছি। শিশু ও পরিবারের বয়স্ক সদস্যদের হাসি মুখে ঈদ উদযাপন করতে দেখলেই আমাদের ঈদের আনন্দ পূর্ণ হয়ে যায়। আমরাও একসময় ছোট ছিলাম। এখন পরিবারের দায়িত্ব মেটানোর চেষ্টা করে যাচ্ছি।

মাহবুবুর রহমান নামে অপর এক ক্রেতা বলেন,এবছর কেনাকাটা করে ভালো লাগছে। দাম সহনীয় রয়েছে। বিদেশি পোশাকের দাম কিছুটা চড়া। তবে দেশী পোশাকের দাম নাগালেই রয়েছে।ক্রেতা হোসনেআরা বেগম বলেন, অন্যান্য বছর ভারতীয় ও পাকিস্তানী পোশাকের রমরমা ব্যবসা হয়েছে। ক্রেতারা বাধ্য হয়ে বেশি দাম দিয়ে ওইসব পোশাক কিনেছে। এবার বিদেশি পোশাক কেনার আগ্রহ কম। বাজারে পোশাক, প্রসাধনী ও সাজসজ্জা উপকরণের দাম খুব একটা বেশি না। খান গার্মেন্টসের বিক্রয় প্রতিনিধি মাহিন বলেন,তৈরি পোশাকের দোকানে বেচাকেনা বেশি হয়। সিট কাপড় ও থ্রি পিস এর দোকানে রোজার শেষ দিকে এসে বেচাকেনা কম হয়ে যায়। কারণ, দর্জিরা শেষ সময়ে এসে নতুন পোশাকের অর্ডার নেন না। তবে সব মিলিয়ে এ বছর পরিবেশ ভালো।

চঞ্চল গার্মেন্টসের বিক্রয় প্রতিনিধি বলেন, ‘রমজান মাস তার উপর দিনের বেলা চরম গরম পড়ছে। এ কারণে দিনের বেলা ক্রেতাদের ভিড় কম। রাত হলে বেচাকেনা বাড়ে। রাত দশটা পর্যন্ত বেচাকেনা চলে। পোশাকের  কোয়ালিটি অনুযায়ী দাম এবার নাগালেই রয়েছে। মণিরামপুর দোকান মালিক সমিতির সভাপতি বলেন, উৎসবমুখর পরিবেশে বেচাকেনা চলছে। মানুষ প্রয়োজন অনুযায়ী পছন্দের পোশাক-পরিচ্ছদ কিনছেন। দোকান মালিক সমিতির পক্ষ থেকে সার্বিক মনিটরিং করা হচ্ছে। ব্যবসায়িক পরিবেশ ও ক্রেতাদের নিরাপত্তার বিষয়টি গুরুত্ব সহকারে বিবেচনা করা হচ্ছে।

 

Loading

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *