

আলাউদ্দিন, লামা
ফরিদুল ইসলাম রাসেল তিনি চকরিয়া পৌরসভার ০৮ নম্বর ওয়ার্ডের চেয়ারম্যান পাড়ার বাসিন্দা এবং লামা সরকারি মাতামুহুরি কলেজের একজন প্রভাষক। তিনি একসময় পৌরসভা ছাত্রলীগের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক ছিলেন এবং বর্তমানে চকরিয়া উপজেলা কৃষকলীগের সাধারণ সম্পাদক হিসেবে দায়িত্ব পালন করছেন। তবে তার বিরুদ্ধে বেশ কিছু গুরুতর অভিযোগ রয়েছে সচেতন মহলের প্রথমত, তার শিক্ষাগত যোগ্যতার প্রতিটি সনদপত্র ভুয়া বলে জানা গেছে।
অভিযোগ রয়েছে, তিনি আওয়ামী লীগ সরকারের আমলে ঘুষ দিয়ে এবং রাজনৈতিক নেতাদের প্রভাব খাটিয়ে চাকরিতে যোগদান করেছেন। দ্বিতীয়ত, প্রতিটি নির্বাচনে দলীয় ক্ষমতা ও প্রভাব খাটিয়ে বিজয় নিশ্চিত করেছেন। উদাহরণস্বরূপ, জাকের হোসেন মজুমদার নামক একজন প্রার্থীকে তিনি জোর করে হারিয়েছেন বলে অভিযোগ রয়েছে।
তৃতীয়ত, কলেজে কোনো সুন্দরী ছাত্রীকে দেখলে তিনি তাদের বাড়িতে যাওয়ার প্রস্তাব দিতেন বলে একাধিক অভিযোগ রয়েছে, যা একজন শিক্ষকের জন্য গুরুতর অনৈতিক আচরণ। পঞ্চমত, ৫ তারিখের পর থেকে তাকে বিএনপি ও জামায়াত সংশ্লিষ্টদের সঙ্গে আড্ডা দিতে দেখা গেছে। এমনকি অভিযোগ রয়েছে, তিনি বিএনপিকে গোপনে সহায়তা করছেন।
আগে আওয়ামী লীগের সময় তিনি বিএনপি ও ছাত্র শিবিরের ছেলেদের কলেজ ছাত্রলীগ দিয়ে পেটাতেন, যার ফলে অনেক ছাত্র গুরুতরভাবে আহত হয়, কারও হাতও ভেঙে গেছে। অথচ বর্তমান সরকারের সময়েও তিনি আগের মতোই প্রভাব খাটিয়ে চলাফেরা করছেন এবং কলেজে অনুষ্ঠানে বাধা সৃষ্টি করছেন। সবশেষে, কলেজে নতুন নিয়োগপ্রাপ্ত প্রিন্সিপালের সঙ্গে সম্পর্ক গড়ে তোলার চেষ্টা হিসেবে তাকে ব্যক্তিগত গাড়িতে কলেজে নিয়ে আসার পরিকল্পনাও করেছেন বলে জানা গেছে। এই সমস্ত অভিযোগ অত্যন্ত গুরুতর এবং সুষ্ঠু তদন্তের দাবি রাখে।